ফর্মে কোস্তা। ছবি: এএফপি
বিশ্বফুটবলে বিতর্কের আর এক নাম হয়ে উঠেছেন দিয়েগো কোস্তা। মাঠে তিনি খারাপ ট্যাকল করেন। ব্রাজিলে জন্মেও স্পেনের হয়ে খেলেন। সরাসরি বলে দেন, স্প্যানিশ মিডিয়া রিয়াল মাদ্রিদ আর বার্সেলোনা ছাড়া কোনও ক্লাবের তোয়াক্কা করে না।
কিন্তু কোস্তা মানে তো শুধু বিতর্ক না। কোস্তা মানে এমন একজন সেন্টার ফরোয়ার্ড যিনি ফর্মে থাকলে যে কোনও ডিফেন্সের দুঃস্বপ্ন হয়ে উঠতে পারেন। সোমবার রাতের লিখতিনস্তেইন সেটারই প্রমাণ পেল। রাশিয়া বিশ্বকাপ যোগ্যতা অর্জন ম্যাচে লিখতিনস্তেইন-কে ৮-০ উড়িয়ে দিল স্পেন। যে ম্যাচে জোড়া গোল করলেন দিয়েগো কোস্তা। ম্যাচ শেষে বলেও দিলেন, ‘‘আমি জানতাম গোল ঠিক করবই।’’
চেলসির হয়ে গোল করলেও স্পেনের জার্সিতে তাঁর পারফরম্যান্স ছিল অতি সাধারণ। ব্রাজিল বিশ্বকাপে কোনও গোল করতে না পারায় দেশজ মিডিয়ার কটাক্ষ শুনতে হয়েছিল তাঁকে। এক সময় মনে হয়েছিল দ্রুত অবসরের রাস্তাতেই হয়তো হাঁটবেন চেলসি স্ট্রাইকার।
কিন্তু লিখতিনস্তেইনের বিরুদ্ধে সেই গোলক্ষুধার্ত স্ট্রাইকারকেই দেখা গেল। যিনি নাস্তানাবুদ করে ছাড়লেন বিপক্ষ ডিফেন্সকে। বেলজিয়ামের বিরুদ্ধে ফ্রেন্ডলি ম্যাচের পর গোল না পেয়ে কোস্তা বলেছিলেন, ‘‘আমি রিয়াল মাদ্রিদ বা বার্সেলোনাতে খেলি না। তাই আমাকে এত কটাক্ষ করা হয়।’’ গত কাল দু’গোল করার পরে সেই রগচটা স্ট্রাইকারের গলায় স্বস্তি। বললেন, ‘‘খুবই কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে গিয়েছি। স্ট্রাইকারদের সব সময় গোলের দরকার হয়। সতীর্থরা আমার পাশে ছিল। আমি খুশি দলকে সাহায্য করতে পেরে।’’
কোস্তা ছাড়াও অবশ্য গোলের তালিকায় ছিলেন দাভিদ সিলভা (২), আলভারো মোরাতা (২), সের্জি রবের্তো ও ভিতোলো। স্প্যানিশ ফরোয়ার্ডের ফর্ম ফেরার নেপথ্যে কারণ হিসেবে বেরিয়ে আসছেন স্পেনের নতুন কোচ জুলেন লোপেতেগুই। যিনি দলের দায়িত্ব নেওয়ার পরেই কোস্তাকে ফর্ম ফিরে পেতে সাহায্য করেছেন। দলের সেরা স্ট্রাইকারের বিধ্বংসী পারফরম্যান্স দেখে খুশি লোপেতেগুই বলছেন, ‘‘শেষমেশ এটা প্লেয়ারের হাতে যে সে কী রকম খেলতে চায়। আমি সব সময় প্লেয়ারদের পাশে আছি। দিয়েগো দুর্দান্ত ফুটবলার। ও সেটা প্রমাণ করে দিল।’’ কোস্তার সঙ্গে জুটি বেঁধে খুশি রিয়াল মাদ্রিদ স্ট্রাইকার আলভারো মোরাতাও। যিনি বলছেন, ‘‘কোস্তা ওর গোলগুলো আমাকে উৎসর্গ করেছে। বুঝতেই পারছেন আমরা কত ভাল বন্ধু।’’
স্পেনের মতো গ্রুপের আর এক হেভিওয়েট দল ইতালিও জয় দিয়ে শুরু করল যোগ্যতা অর্জন পর্ব। ইজরায়েলকে ৩-১ হারাল আজুরি-রা। স্কোরারের তালিকায় ছিলেন গ্রাজিয়ানো পেল্লে, আন্তোনিও কান্দ্রেভা ও সিরো ইমমোবাইল। অন্য গ্রুপ ম্যাচে গ্যারেথ বেলের জোড়া গোলের সৌজন্যে ওয়েলসও ৪-০ হারাল মলদোভা-কে।
তবে এই সব কিছুকে ছাপিয়ে উঠে আসছে এক ছোট্ট দেশের কাহিনি। কসোভোর। যাদের জনসংখ্যা দশ লক্ষের আশেপাশে। কিছু বছর আগে পর্যন্ত যাদের ফুটবলাররা অন্য দেশের হয়ে খেলতেন। সোমবার রাতে বিশ্বকাপ কোয়ালিফায়ার্সে প্রথম বার নেমেছিল তারা। ফিনল্যান্ডের বিরুদ্ধে ১-১ ড্র করল কসোভো। প্রথমে পিছিয়ে পড়লেও নরওয়ে থেকে আসা ভালন বেরিশার গোলে ঐতিহাসিক এক পয়েন্ট পেল কসোভো।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy