মত: ভারতকে সব দিকেই এগিয়ে রাখছেন জোন্স। ফাইল চিত্র
ভারত-অস্ট্রেলিয়া টেস্ট সিরিজের প্রথম বল পড়ার আগেই ভবিষ্যদ্বাণী করার ধুম পড়ে গিয়েছে ডন ব্র্যাডম্যানের দেশে। আর সে ব্যাপারে অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন ক্রিকেটারেরা কেউ উত্তর মেরুতে তো কেউ দক্ষিণ মেরুতে!
এক দিন আগে অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন অধিনায়ক রিকি পন্টিং ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন, টেস্ট সিরিজে তাঁর দেশ হারাবে ভারতকে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার আর এক প্রাক্তন ব্যাটসম্যান ডিন জোন্স বলে দিচ্ছেন, ভারত ২-০ বা ৩-০ ফলে টেস্ট সিরিজ জিতবে।
অস্ট্রেলীয় প্রচারমাধ্যমে জোন্স পরিষ্কার বলেছেন, ‘‘ভারত যদি এ বার জিততে না পারে, তা হলে কোনও দিন অস্ট্রেলিয়া থেকে টেস্ট সিরিজ জিততে পারবে না।’’ জোন্স আরও বলেন, ‘‘আমি জানি, অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ভারতের টেস্ট ইতিহাসটা কী। কিন্তু ভারত এই সিরিজটা ২-০ বা ৩-০ জিতবে। অস্ট্রেলিয়া কোনও টেস্ট জিতবে, আমি ভাবতেই পারছি না।’’
কেন নিজের দেশকে একেবারেই হিসেবের মধ্যে ধরছেন না জোন্স? প্রাক্তন ব্যাটসম্যানের ব্যাখ্যা, ‘‘ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়াকে হারানোটা খুবই কঠিন কাজ। কিন্তু এখন কোথায় স্টিভ স্মিথ, কোথায় বা ডেভিড ওয়ার্নার? এরা দু’জনেই অস্ট্রেলিয়ার প্রায় ৪০ শতাংশ রান করে দিত। অস্ট্রেলিয়াকে জিততে গেলে এই দু’জনের অভাব ঢেকে দিতে হবে। সেই কাজটা করার লোক কই?’’
সিরিজ শুরুর আগে আরও যে ব্যাপারটা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে, তা হল, মাঠে অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটারদের আচরণ কী রকম হওয়া উচিত? অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটারদের জন্য জোন্সের পরামর্শ, ‘‘কোহালির সঙ্গে বেশি কথা বোলো না বা ওকে চটিয়ে দিয়ো না। কোহালিকে তোমাদের সেরা বন্ধু বানিয়ে নাও।’’ এখানেই শেষ নয়। কোহালিকে কী করে থামানো যায় প্রশ্নে জোন্স বলেছেন, ‘‘কোহালির খেলায় দুর্বলতা খুঁজে বার করার চেষ্টা মানে মোনালিসার ছবিতে খুঁত খুঁজতে যাওয়া।’’ তবে এর পরে কোহালিকে আটকানোর জন্য কয়েকটি পরামর্শও দিয়েছেন জোন্স।
যেগুলো হল:
এক) কোহালির কভার ড্রাইভ বন্ধ করতে হবে। দুই) ইনিংসের শুরুতে কোহালিকে চতুর্থ স্টাম্পের লাইনে বল করে ওকে ব্যাকফুটে খেলাতে হবে। তিন) প্রথমে শর্ট বল করে কোহালিকে ব্যাকফুটে ঠেলে দিতে হবে। তার পরে একটু অফস্টাম্পের বাইরে বল ফেলে ড্রাইভ করাতে হবে। যাতে ক্যাচ হওয়ার একটা সম্ভাবনা থাকে। এরই মাঝে এ দিন এক টিভি চ্যানেলে অস্ট্রেলীয়দের ক্রিকেট মাঠে আচরণকে এক হাত নেন সুনীল গাওস্কর। তাঁর কথায়, ‘‘প্রতারণা ও গেমসম্যানশিপে অনেক সময় সীমা ছাড়িয়ে যায় অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটাররা।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy