সাংবাদিক বৈঠকে পাশে ছিলেন স্ত্রী ক্যানডিস। ছবি: এপি
বরাবরই সোজা ব্যাটে খেলতে ভালবাসেন তিনি। কিন্তু সেই ডেভিড ওয়ার্নার যে সাংবাদিক বৈঠকে এত রক্ষণাত্মক ব্যাটিং করবেন, তা ভাবা যায়নি। শনিবার তাই প্রশ্ন উঠে গেল, বল-বিকৃতি কাণ্ডে অনেক কিছুই কি গোপন রেখে দিলেন তিনি? সাংবাদিক বৈঠকে নিজের বিবৃতি পড়ে শোনানোর পরে বেশিরভাগ প্রশ্নেরই উত্তর দিলেন না। যা দেখে এক অস্ট্রেলীয় সাংবাদিক টুইট করেন, ‘‘ডেভিড ওয়ার্নারকে অফ স্টাম্পের বাইরে এত হাফভলি ছাড়তে দেখিনি কখনও।’’
ওয়ার্নার জবাব না দিলেও তাঁর স্ত্রী ক্যানডিস কিন্তু মুখ খুলেছেন। অস্ট্রেলীয় সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেছেন, ‘‘ওয়ার্নারের এই অবস্থার জন্য আমিই দায়ী। যা ভেবে আমি শেষ হয়ে যাচ্ছি।’’ কেন ক্যানডিস নিজেকে দায়ী করছেন? একটা সময় ক্যানডিসের সঙ্গে রাগবি খেলোয়াড় সনি বিল উইলিয়ামসের একটা সম্পর্ক ছিল। যা নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার সমর্থকদের বিদ্রুপের মুখে পড়তে হয় ক্যানডিস-কে। টেস্ট চলাকালীন দর্শকদের একটা অংশ বিলের মুখোশ পরেও মাঠে এসেছিল। সব মিলিয়ে প্রচণ্ড চাপে ছিলেন ক্যানডিস এবং ওয়ার্নার। সে জন্যই ওয়ার্নার মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন বলে মনে করেন তাঁর স্ত্রী। ওয়ার্নার অবশ্য এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি। শনিবার অনেক প্রশ্নেরই জবাব দেননি তিনি।
তা হলে অনেক কিছুই কি গোপন করে গেলেন কলঙ্কিত অস্ট্রেলীয় ওপেনার? টুইটার-ফেসবুকে এই গুঞ্জন শুরু হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই ওয়ার্নার নিজের টুইটারে লেখেন, ‘জানি অনেক প্রশ্নই নিরুত্তর থেকে গেল। সময় এলে এই প্রশ্নগুলির উত্তর নিশ্চয়ই দেব। কিন্তু তার আগে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার কিছু নিয়ম মানতে হবে আমাকে। সেইসব নিয়ম মেনে যাতে সঠিক সময় ও জায়গায় এই প্রশ্নগুলোর উত্তর দেওয়া যায়, তার জন্য পরামর্শ নিচ্ছি।’’ তাঁর শাস্তি পুনর্বিবেচনার জন্য যে বোর্ডের কাছে আবেদন করতে পারেন ওয়ার্নার, এ হয়তো তারই ইঙ্গিত। টুইটারে তিনি আরও লেখেন, ‘‘সাংবাদিক বৈঠকে এ কথা স্পষ্ট জানিয়ে দিলে বোধহয় ভাল হতো। আসলে পরিবার ও ক্রিকেটের কাছে আমি এতটাই দায়বদ্ধ যে, এই নিয়মগুলো মানতেই হবে আমাকে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy