শুটিংয়ে সোনা তেজস্বিনী সবন্তের। ছবি: এএফপি।
একই দিনে শুটিংয়ে জোড়া সোনা এবং রুপো এল ভারতের ঝুলিতে।
৫০ মিটার রাইফেল ৩ পজিশনে সোনা জিতলেন তেজস্বিনী সবন্ত। ওই একই ইভেন্টে রুপো জিতেছেন অঞ্জুম মডগিল।
অন্য দিকে, ২৫ মিটার র্যাপিড ফায়ার পিস্তল শুটিংয়ে সোনা জিতেছেন হরিয়ানার ছেলে বছর পনেরোর অনিশ ভানওয়ালা।
আরও পড়ুন: মেহুলির পাখির চোখ এখন অলিম্পিক্স
নিলিং অ্যান্ড প্রোন রাউন্ড পর্যন্ত সিঙ্গাপুরের জিয়াং ওয়েই বেশ দাপটের সঙ্গে পারফর্ম করে গিয়েছেন। কিন্তু খেলার মোড় নেয় স্যান্ডিং এলিমিনেশন রাউন্ড আসতেই।
ওই রাউন্ডে ঘুরে দাঁড়ান ভারতের তেজস্বিনী এবং অঞ্জুম। তার পর আর ফিরে তাকাতে হয়নি। স্ট্যান্ডিং এলিমনেশন রাউন্ডে তেজস্বিনীর পারফরম্যান্স ছিল চোখে প়রার মতো। এই রাউন্ডে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছিলেন তিনি। কিন্তু তেজস্বিনী যতটা নিজেকে মেলে ধরতে পেরেছিলেন, তুলনায় অঞ্জুম একটু পিছিয়েই ছিলেন। যথেষ্ট চাপের মধ্যে ছিলেন স্ট্যান্ডিং এলিমিনেশন রাউন্ডের প্রথম থেকেই। কিন্তু চূড়ান্ত পর্যায়ে স্নায়ুর চাপ সামলে নিয়ে দ্বিতীয় স্থান ধরে রাখতে সক্ষম হন।
তেজস্বিনী শুটিংয়ে ৪৫৭.৯ পয়েন্ট অর্জন করে কমনওয়েলথের রেকর্ড ভেঙে দিয়েছেন। অন্য দিকে, অঞ্জুমের স্কোর ছিল ৪৫৫.৭।
কোয়ালিফাইং রাউন্ডে কিন্তু অঞ্জুম শীর্ষে ছিলেন। সেখানে তেজস্বিনী তৃতীয় স্থান অর্জন করেছিলেন। কথায় আছে, ওস্তাদের মার শেষ রাতে। ইভেন্টের চূড়ান্ত পর্বে গিয়ে সেই কাজটাই করে দেখালেন মহারাষ্ট্রের কোলাপুরের মেয়ে অর্জুন পুরস্কারজয়ী তেজস্বিনী।
২৫ মিটার র্যাপিড ফায়ার পিস্তল শুটিংয়ে সোনা পেলেন অনিশ ভানওয়াল। ছবি: এএফপি।
আরও পড়ুন: ডিসকাসে জোড়া পদক ভারতের, হার রানিদের
অন্য দিকে, কোয়ালিফিকেশন রাউন্ডে ৫৮০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে ছিলেন অনিশ। ৫৭৯ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন নীরজ কুমার। চূড়ান্ত পর্যায়ে গিয়েও নিজের পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছিলেন অনিশ। অস্ট্রেলিয়ার সার্গেই এভলেভস্কির সঙ্গে কাঁটায় কাঁটায় টক্কর হয়। কবে শেষ পর্যন্ত নিজের আধিপত্যই বজায় রেখে সোনা জিতে নেন।
শুটিংয়ে জোড়া সোনা পাওয়ার পর এখনও পর্যন্ত ভারতের প্রাপ্ত স্বর্ণপদকের সংখ্যা ১৬।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy