ভারত-ইংল্যান্ড টেস্ট সিরিজ়ের সময় বিদেশের ক্লাবের হয়ে খেলার জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন যুজবেন্দ্র চহল। তখনই জল্পনা শুরু হয়েছিল, দেশের হয়ে খেলার আশা সম্ভবত ছেড়ে দিয়েছেন লেগ স্পিনার। সেই জল্পনা আরও বৃদ্ধি পেল চহলের কথাতেই। জানিয়ে দিলেন ভারতের হয়ে খেলার কথা তিনি নাকি আর ভাবছেনই না!
ভারতীয় দলে ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত। বুঝে গিয়েছেন চহল। তাই আর দেশের হয়ে খেলার কথা ভাবতে চান না তিনি। তবে প্রিয় বন্ধু কুলদীপ যাদবের সাফল্যে উচ্ছ্বসিত তিনি। মহেন্দ্র সিংহ ধোনি ভারতীয় দলের অধিনায়ক থাকার সময় সাদা বলের ক্রিকেটে ‘কুলচা’ জুটি প্রতিপক্ষের আতঙ্কের কারণ হয়ে উঠেছিল। সেই জুটির অন্যতম কুলদীপ নিজেকে বদলে আবার নিয়মিত হয়ে উঠেছেন ভারতীয় দলে। অথচ চহল এখন ভারতীয় দল থেকে অনেক দূরে। গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে থাকলেও একটিও ম্যাচ খেলার সুযোগ পাননি চহল। তার পর আর ভারতীয় দলে সুযোগ হয়নি তাঁর। ২০২৩ সালে অগস্টের পর ভারতের হয়ে খেলার সুযোগ পাননি।
আপাতত আইপিএলের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত চহল। লক্ষ্য পঞ্জাব কিংসকে সাফল্য এনে দেওয়া। এক সাক্ষাৎকারে ভারতীয় দলে ফেরার প্রসঙ্গে চহল বলেছেন, ‘‘যেটা আমার হাতে নেই, সেটা নিয়ে ভেবে সময় নষ্ট করতে চাই না।’’ একই সঙ্গে বন্ধু কুলদীপকে নিয়ে উচ্ছ্বসিত চহল বলেছেন, ‘‘এই মুহূর্তে বিশ্বের সেরা রিস্ট স্পিনার কুলদীপ। আইপিএল এবং আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ও যে ভাবে বল করছে, সেটাই ওর শ্রেষ্ঠত্বের প্রমাণ।’’
কুলদীপের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে চহল বলেছেন, ‘‘কুলদীপের সঙ্গে বোলিং সব সময় উপভোগ করি। আমাদের মধ্যে একটা সুন্দর বোঝাপড়া রয়েছে। মাঠের ভিতরে এবং বাইরেও। আমরা দু’জনে একই মানসিকতা নিয়ে বল করি। তাই ব্যাপারটা খুব উপভোগ্য হয়। দু’জনেই ব্যাটারদের আক্রমণ করতে ভালবাসি। দু’জনের জুটিও কার্যকর হয়। এক জন বেশি রান দিয়ে ফেললে ২২ গজের অন্য প্রান্ত থেকে আর জন প্রতিপক্ষকে চেপে ধরার চেষ্টা করি। পরস্পরের প্রতি আমাদের ভরসা রয়েছে।’’ উল্লেখ্য, দেশের হয়ে ‘কুলচা’ জুটি ৩৭টি এক দিনের ম্যাচে ১৩০টি উইকেট নিয়েছে।
আরও পড়ুন:
আইপিএলের গত নিলামে চহলকে ১৮ কোটি টাকা দিয়ে কিনেছে পঞ্জাব। প্রতিযোগিতার ইতিহাসে আর কোনও স্পিনার এত টাকা কখনও পাননি। সে দিক থেকে নজির গড়েছেন চহল।