ম্যাচ হেরে হতাশ বিরাট কোহলী ছবি: টুইটার থেকে।
প্রায় সবাই ভারতকে ফেবারিট ধরেছিলেন। অনেকটাই এগিয়ে রেখেছিলেন বিরাট কোহলীদের। কিন্তু টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই পাকিস্তানের কাছে একেবারে ১০ উইকেটে উড়ে গেল ভারত। কেন এ ভাবে হারতে হল কোহলীদের?
এক, কোহলী টস হারায় আগে ব্যাট করতে বাধ্য হয়েছে ভারত। এটাই ম্যাচে সবথেকে বড় তফাৎ গড়ে দেয়। ভারতের পাঁচ বোলার মহম্মদ শামি, যশপ্রীত বুমরা, ভুবনেশ্বর কুমার, রবীন্দ্র জাডেজা এবং বরুণ চক্রবর্তীর বোলিং দেখে পরিষ্কার বোঝা যায়, তাঁরা বল ঠিক মতো গ্রিপই করতে পারেননি। ভুবনেশ্বর, শামির হাত থেকে স্লোয়ার দেখা যায়নি। বুমরার ইয়র্কার দেখা যায়নি। পাকিস্তান টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করায় তাদের বোলারদের এই সমস্যা হয়নি।
দুই, কোহলী এবং ঋষভ পন্থ ছাড়া ভারতের আর কোনও ব্যাটসম্যানই রান পাননি। বিশেষ করে প্রথম ওভারেই রোহিত শর্মা আউট হয়ে যান। আফ্রিদি পরের ওভারে তুলে নেন লোকেশ রাহুলকে। এরপর আর রান তোলার গতি বাড়াতে পারেনি ভারত। কোহলী ৫৭ রান করলেও স্ট্রাইক রেট আহামরি নয়, ১১৬.৩২।
তিন, হার্দিক পাণ্ড্যকে খেলানো নিয়ে প্রশ্ন উঠবে। বিশ্বকাপের আগে জানানো হয়েছিল, হার্দিক সুস্থ, কিন্তু বল করবেন কিনা নিশ্চিত নয়। কিন্তু প্রথম ম্যাচে মাঠে যে হার্দিককে দেখা গেল, তিনি মোটেই সুস্থ নন। বলও করেননি। এরকম আধা সুস্থ ক্রিকেটারকে বিশ্বকাপের ম্যাচে কেন খেলানো হল? আইপিএল-এ ভাল বল করা রাহুল চাহারকে কেন খেলানো হল না?
চার, আইপিএল-এ খেলা ভারতীয় ক্রিকেটারদের যেমন অভিজ্ঞ করেছে, তেমনই বিশ্বের কাছে তাঁরা অনেক বেশি পরিচিত হয়ে গিয়েছেন। পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা কেউ আইপিএল-এ না খেলায় তাঁদের শক্তি, দুর্বলতা সম্পর্কে অন্তত কোহলীদের কোনও ধারনা ছিল না। বরং পাকিস্তান সুপার লিগে খেলে বাবর আজম, শাহিন শাহ আফ্রিদিরা নিজেদের নিঃশব্দে তৈরি করেছেন।
পাঁচ, ফেভারিটের তকমা নিয়ে নামা কোহলীরাই যে চাপে ছিলেন, তা স্পষ্ট হয়েছে। বাবরদের হারানোর কিছু ছিল না। চাপহীন, ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলে বাজিমাৎ করেছেন তাঁরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy