১৯৯৬ সালে বিচ্ছেদ হয়ে যায় আজহারউদ্দিন এবং নওরিনের। ওই বছরেই বলি অভিনেত্রী সঙ্গীতা বিজলানিকে বিয়ে করেছিলেন আজহার। সেই সময় ভারতীয় ক্রিকেটারের ব্যক্তিগত জীবন প্রায় সব সংবাদমাধ্যমের শিরোনামেই উঠে এসেছিল। উল্লেখ্য, ২০১০ সালে সঙ্গীতার সঙ্গেও বিচ্ছেদ হয়ে যায় আজহারউদ্দিনের। এর পর বিদেশিনি শ্যানন মেরিকে বিয়ে করেন তিনি।
ভারতীয় ক্রিকেটার দীনেশ কার্তিক এবং নিকিতা বাঞ্জারার বিবাহবিচ্ছেদ ছিল ভারতীয় ক্রিকেটের অন্যতম আলোচিত বিষয়গুলির মধ্যে একটি। সতীর্থের সঙ্গে স্ত্রীর সম্পর্কের জেরে ভেঙে গিয়েছিল দীনেশের সংসার। দীনেশের সঙ্গে বিচ্ছেদের কয়েক মাসের মধ্যে আর এক ক্রিকেটার মুরলী বিজয়কে বিয়ে করেছিলেন নিকিতা। ত্রিকোণ সম্পর্কের এই জটিলতা নিয়ে তখন বিশেষ মুচমুচে সংবাদ হয়নি। কারণ, তিন জনেই এই টানাপড়েন সচেতন ভাবে গোপন রেখেছিলেন।
ওয়ার্নের প্রথম স্ত্রী সিমোনে কাল্লাহান। বিয়ে হয় ১৯৯৫ সালে। তিন সন্তানের বাবা-মা তাঁরা। ওয়ার্নের সঙ্গে সিমোনের বিবাহবিচ্ছেদ হয় ২০০৫ সালে। কিন্তু তাঁদের সম্পর্কে চিড় বোধহয় ধরেছিল পাঁচ বছর আগেই। ২০০০ সালে অস্ট্রেলিয়ার সহ-অধিনায়কের দায়িত্ব কেড়ে নেওয়া হয় ওয়ার্নের। অভিযোগ, এক ব্রিটিশ নার্সকে যৌন ইঙ্গিতপূর্ণ বার্তা পাঠিয়েছিলেন তিনি। শোনা যায়, সন্তানদের কথা ভেবে বিচ্ছেদের পরেও সিমোনের সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখেছিলেন ওয়ার্ন।
সিমোনের সঙ্গে বিচ্ছেদ হওয়ার পর ব্রিটিশ অভিনেত্রী এলিজাবেথ হার্লির সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান ওয়ার্ন। ২০১১ সালের শেষের দিকে, হার্লি এবং ওয়ার্ন ঘোষণা করেন যে, তাঁরা বাগ্দান করেছেন। কিন্তু দু’বছরের মাথায় বাগ্দান বাতিল করে দেন তাঁরা। সম্পর্কেরও ইতি হয়। ২০২২ সালের ৪ মার্চ হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হন ওয়ার্ন।
বিয়ের আট বছর পর বিচ্ছেদ হয় ভারতীয় ক্রিকেটার শিখর ধাওয়ান ও তার স্ত্রী আয়েশা মুখোপাধ্যায়ের। ২০১২ সালের অক্টোবরে ধাওয়ানের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল প্রাক্তন কিকবক্সার আয়েশার। ধাওয়ান ছিলেন তাঁর দ্বিতীয় পক্ষের স্বামী। প্রথম পক্ষের দুই কন্যাসন্তানও রয়েছে আয়েশার। ২০২১ সালে প্রথম বার সমাজমাধ্যমে ধাওয়ানের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলেন আয়েশা।
পরে ২০২৩ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি উদয়পুরে বিয়ের উৎসব করেন হার্দিক-নাতাশা। পরিবার, বন্ধু এবং পুত্র অগস্ত্যকে নিয়ে অনুষ্ঠান করেছিলেন তাঁরা। এর পর ২০২৪ সালে তাঁদের বিচ্ছেদ হচ্ছে বলে জল্পনা তৈরি হয়। জুলাই মাসে নাতাশা সেই সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে ইনস্টাগ্রামে জানিয়ে দেন যে, তাঁদের চার বছরের সম্পর্কে ইতি টানছেন। একই পোস্ট করেন হার্দিকও।
দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাক্তন অধিনায়ক গ্রেম স্মিথের বিচ্ছেদ নিয়েও অনেক আলোচনা হয়েছিল সে সময়। আইরিশ গায়িকা মর্গ্যান ডিয়েনেকে বিয়ে করেছিলেন স্মিথ। ২০১১ সালের অগস্টে কেপটাউনে হয়েছিল স্মিথের প্রথম বিয়ের অনুষ্ঠান। মর্গ্যান এবং স্মিথের দুই সন্তান রয়েছে। মেয়ের নাম ক্যাডেন্স ক্রিন্সিন স্মিথ, ছেলের নাম কার্টার ম্যাকমরিন স্মিথ।
কেরিয়ারে পতনের পাশাপাশি বিনোদের ব্যক্তিগত জীবনও খুব একটা সুখকর ছিল না। নব্বইয়ের দশকে যখন ক্রিকেটের জগতে তিনি প্রশংসায় জড়িয়ে রয়েছেন, সেই সময় তাঁর আলাপ হয় নোয়েলা লিউইস নামে এক তরুণীর সঙ্গে। পুণের এক হোটেলের রিসেপশনে কাজ করতেন নোয়েলা। কর্মসূত্রে সেই হোটেলেই গিয়েছিলেন বিনোদ। সেখানে গিয়ে নোয়েলার সঙ্গে আলাপ, বন্ধুত্ব এবং সেই বন্ধুত্ব থেকে প্রেম। ১৯৯৪ সালের মে মাসে পুণের এক গির্জায় নোয়েলাকে বিয়ে করেন বিনোদ।
বিয়ের পর বিনোদের কেরিয়ারের রেখচিত্র আরও নীচের দিকে নামতে শুরু করে। সেই সময়ে মদে আসক্ত হয়ে পড়েন বিনোদ। বিয়ের পর বহু নারীর আনাগোনা বাড়তে থাকে ক্রিকেটারের জীবনে। নোয়েলার সঙ্গে বিনোদের সংসার বেশি দিন স্থায়ী হয়নি। বিয়ের পাঁচ বছর পর ১৯৯৯ সালে বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে যায় দু’জনের। নোয়েলার সঙ্গে বিচ্ছেদের পর বিনোদের আলাপ হয় আন্দ্রেয়া হিউইটের।
স্বামী এবং দুই সন্তান নিয়ে সংসার হলেও সেই সংসারে নাকি শান্তি পাননি আন্দ্রেয়া। আন্দ্রেয়ার অভিযোগ, মদ পান করে তাঁর উপর শারীরিক হেনস্থা করতেন বিনোদ। এক বার নাকি রান্না করার পাত্র ছুড়ে মেরেছিলেন আন্দ্রেয়াকে। তার ফলে মাথায় গুরুতর চোট পেয়েছিলেন তিনি। মাথায় আঘাত পাওয়ার ফলে মুম্বইয়ের এক হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় আন্দ্রেয়াকে। বিনোদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগও দায়ের করেন তিনি। ২০২৩ সালে বিনোদের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে যায় আন্দ্রেয়ার।
অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন জোরে বোলার ব্রেট লি ২০০৬ সালে এলিজাবেথ কেম্পকে বিয়ে করেন। তাঁদের এক পুত্রসন্তান রয়েছে। বিয়ের দু’বছর পর কেম্পের সঙ্গে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন লি। ২০০৯ সালে বিচ্ছেদ হয় তাঁদের। সেই সময় জল্পনা তৈরি হয়, ব্রিসবেনে এক রাগবি খেলোয়াড়ের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন কেম্প। কিন্তু কেম্প এবং লি— উভয়েই বিষয়টি উড়িয়ে দেন। এর পর এক বছর সম্পর্কে থাকার পর ২০১৪ সালে বান্ধবী লানা অ্যান্ডারসনকে বিয়ে করেন লি। তাঁদের দুই সন্তান রয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy