ভারতীয় দলের উচ্ছ্বাসের একটি মুহূর্ত। ছবি: পিটিআই।
সিডনি টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে চার রানে এগিয়ে গিয়েছিল ভারত। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে নেমেও ব্যাটিং ব্যর্থতা অব্যাহত। ১৪১ রান তুলতেই তারা হারিয়েছে ৬ উইকেট। এগিয়ে মাত্র ১৪৫ রানে। ঠিক কত রান তুলতে পারলে সিডনি টেস্ট জেতা যাবে তা নিয়ে নিশ্চিত নয় ভারত। দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে জোরে বোলার প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ জানিয়ে দিলেন, যত বেশি সম্ভব রান তোলাই তাঁদের লক্ষ্য।
প্রসিদ্ধ বলেছেন, “পিচ বেশ কিছু জায়গায় কঠিন হয়ে গিয়েছে। বল আচমকাই নিচু হয়ে যাচ্ছে। তবে বাউন্স এখনও রয়েছে, যেটা আমাদের সাহায্য করতে পারে। আশা করি প্রলোভন দেখিয়ে খোঁচা দেওয়াতেও পারব। কত রান তুলতে হবে সেটা নিয়ে আমরা ভাবছি না। যত বেশি রান তুলতে পারব ততই ভাল। যা-ই রান হোক তার থেকে কমে ওদের আউট করে দেওয়ার চেষ্টা করব।”
প্রথম সেশনে স্টিভ স্মিথকে আউট করলেও প্রসিদ্ধ ভাল বল করতে পারেননি। সঠিক লেংথে বল ফেলতে পারছিলেন না। তাঁর বল হয় খুব ফুল অথবা খাটো লেংথে হচ্ছিল। সে সম্পর্কে প্রসিদ্ধ বলেছেন, “মধ্যাহ্নভোজের বিরতির পর একটা পরিবর্তন অবশ্যই হয়েছিল। কোথায় বল করছি সেটা দেখতে চাইছিলাম। তাই দলের বিশ্লেষকের সঙ্গে বসে ওর সাহায্য নিই। এর পরে কোথায় বল করলে সুবিধা পাব সেটা নিয়ে আলোচনা করি। দ্বিতীয় সেশনে সেটা আমাকে খুব সাহায্য করেছে।”
বাকিদের থেকে তিন সপ্তাহ আগে অস্ট্রেলিয়ায় এসেছিলেন প্রসিদ্ধ। ভারত ‘এ’ দলের হয়ে খেলেছেন। কর্নাটকের বোলারের মতে, অস্ট্রেলিয়ায় আগে আসার কারণেও কিছুটা সুবিধা পেয়েছেন তিনি। বলেছেন, “অস্ট্রেলিয়ায় বোলিং করার ফলে একটা আত্মবিশ্বাস পেয়ে গিয়েছিলাম। তার আগে দলীপ ট্রফিতে খেলেছি। ফলে ছন্দ ছিলই। তবু হাতে বল নেওয়ার সময় একটা চিন্তা কাজ করছিল। প্রথম ওভার ভালই গিয়েছে। পরের কয়েকটা ওভার ভাল বল করতে পারিনি। তবে এই দলে এমন অনেকে রয়েছে যারা আমাকে সাহায্য করতে পারে।”
দলে বোলিং কোচ মর্নি মর্কেলের ভূমিকা নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন। তবে প্রসিদ্ধের মতে, বোলিংয়ে পরিকল্পনা করতে মর্কেল অনেক সাহায্য করছেন। ভারতীয় বোলার বলেছেন, “কী করতে হবে তা নিয়ে মর্নির সঙ্গে আমার অনেক কথা হয়। এখনও পর্যন্ত সব ঠিকই আছে।”
এ বছরের শুরুতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে শেষ বার টেস্ট খেলেছিলেন। মাঝে অনেকগুলি ম্যাচ থাকলেও প্রসিদ্ধ জায়গা পাননি। মাঝে নিউ জ়িল্যান্ডে গিয়ে অস্ত্রোপচার করাতেও হয়েছে। প্রসিদ্ধ জানিয়েছেন, মানসিক পরিবর্তনই আসল।
প্রসিদ্ধের কথায়, “রাজ্য দলের হয়ে খেলার সময় নতুন বলে বল করেছি। এখানে প্রথম পরিবর্তন হিসাবে বল করেছি। বাকি বিশ্বের বোলারেরা কী ভাবে এটার সঙ্গে মানিয়ে নিয়েছে সেটা দেখতে চেয়েছি। বোলিংয়ে নিয়ন্ত্রণ থাকাই আসল কথা। সেই সঙ্গে লাইন এবং লেংথ নিয়ে ধারাবাহিক থাকতে চেয়েছি। তাতেই সাফল্য এসেছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy