মিতালির অবসরে খুশি হরমনপ্রীত? ফাইল ছবি
সপ্তাহ খানেক আগেই সব ধরনের ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন মিতালি রাজ। নেটমাধ্যমে নিজের সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেন তিনি। তার পরেই এক দিনের ক্রিকেটে অধিনায়কত্বের দায়িত্ব পাওয়া হরমনপ্রীত কৌর ঠারেঠারে বুঝিয়ে দিলেন, মিতালি অবসর নেওয়ার তিনি হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছেন। মিতালি থাকায় অনেক সিদ্ধান্ত নিতে অসুবিধা হচ্ছিল তাঁর। ভাবনাচিন্তার ফারাক থাকছিল, যার প্রভাব পড়ছিল দলের উপরেও। মিতালি অবসর নেওয়ায় কোনও সিদ্ধান্ত নিতে তাঁর আর দেরি হবে না। দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন।
শ্রীলঙ্কা সফরে যাওয়ার আগে জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমির প্রধান ভিভিএস লক্ষ্মণের কাছে প্রশিক্ষণ নিয়েছে ভারতীয় দল। রওনা হওয়ার আগে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন হরমনপ্রীত। সেখানেই তিনি বলেন, “আগে দু’জন অধিনায়ক থাকায় অনেক বিষয়ই আলাদা ছিল। আমরা দু’জনে অন্য ধরনের ভাবনা-চিন্তা করতাম। এর প্রভাব সতীর্থদের উপরেও পড়ত। এখন আমি এবং আমার সতীর্থদের কাছে গোটা ব্যাপারটা অনেক বেশি পরিষ্কার হয়ে যাবে। আমরা কোনও সিদ্ধান্ত নিয়েই আর দ্বিধাবোধ করব না। অনেক খোলামনে সব আলোচনা করা যাবে।”
উল্লেখ্য, জাতীয় দলে থাকাকালীন কোচ রমেশ পওয়ারের সঙ্গেও মিতালির সম্পর্ক মোটেই ভাল ছিল না। বার বার দু’জনের ভাবনার পার্থক্য প্রকাশ্যে এসেছে। জাতীয় দলও খারাপ খেলেছে। হরমনপ্রীতের সঙ্গেও সম্পর্ক খুব ভাল ছিল না। মিতালি থাকাকালীন পওয়ার হরমনপ্রীতকে বেশি পছন্দ করতেন। কোনও দিনই সেটা মিতালির ভাল লাগেনি। যদিও তিনি কখনও প্রকাশ্যে কিছু বলেননি। কিন্তু বোর্ডকে এক বার চিঠি পাঠিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন।
মিতালির সম্পর্কে সাংবাদিক বৈঠকে অবশ্য ভাল ভাল কথাও বলেছেন হরমনপ্রীত। তাঁর মন্তব্য, “প্রথম বার মিতালিদিকে ছাড়া এক দিনের ক্রিকেট খেলতে যাচ্ছি। ওর জায়গা কেউ পূরণ করতে পারবে না। সব সময়ই ওর অভাব অনুভব করব। তবে দলের প্রত্যেকের মধ্যে ভাল বোঝাপড়া তৈরি হয়ে গিয়েছে। আরও সুসংবদ্ধ দল হিসেবে গড়ে ওঠার জন্য এই রকম একটা সফর খুবই জরুরি। আমরা নিজেদেরও পরীক্ষা করে নিতে পারব।”
২৮ জুলাই থেকে শুরু কমনওয়েলথ গেমস, যেখানে মেয়েদের ক্রিকেট দলকে খেলতে দেখা যাবে। এই প্রতিযোগিতা জেতার লক্ষ্য নিয়েই শ্রীলঙ্কা সফরে নিজেদের তৈরি করে নিতে চান হরমনপ্রীত। ভিভিএস লক্ষ্মণের ক্লাসে এ বিষয়ে আলোচনাও হয়েছে। দলে নতুন মুখদের বেশি করে সুযোগ দিতে চান হরমনপ্রীত। কোচ পওয়ার বলছিলেন, “দল হিসেবে কোন জায়গায় দাঁড়িয়ে আছি, সেটা দেখা খুব জরুরি। আমরা লক্ষ্মণের প্রশিক্ষণ পেয়েছি। পরিস্থিতি অনুযায়ী পরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছে।” যোগ করেন, “এই সময়ে নতুন ক্রিকেটারদের সুযোগ দিতেই হবে। কারণ আমরা নতুন ভাবনা নিয়ে একটা দল গড়ে তুলতে চাই, যারা ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলে। তরুণ ক্রিকেটারদের তৈরি করার ফল ভবিষ্যতে নিশ্চয়ই পাবে এই দল।”
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy