প্রথম ম্যাচে হারের পর স্বস্তি ফিরল কলকাতা নাইট রাইডার্স শিবিরে। আইপিএলের দ্বিতীয় ম্যাচে রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে ৮ উইকেটে জয় পেলেন অজিঙ্ক রাহানেরা। প্রথমে ব্যাট করে ৯ উইকেটে ১৫১ রান তুলেছিলেন রিয়ান পরাগেরা। জবাবে কেকেআর করল ২ উইকেটে ১৫৩। জয় এল ১৫ বল বাকি থাকতেই।
জয়ের জন্য ১৫২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা প্রত্যাশা মতো করতে পারেনি কেকেআর। তবু জয় পেতে সমস্যা হল না। সুনীল নারাইনের অনুপস্থিতিতে কুইন্টন ডি’ককের সঙ্গে বুধবার ওপেন করতে নামেন মইন আলি। কিন্তু বিশেষ সুবিধা করতে পারলেন না। প্রথম ওভারে একটি বলও ব্যাটে লাগাতে পারেননি। ১২ বলে ৫ রান করে আউট হয়ে যান তিনি। ইংরেজ অলরাউন্ডার আউট হওয়ার পর ডি’ককের সঙ্গে কলকাতার ইনিংস এগিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব নেন অধিনায়ক রাহানে। প্রথম ম্যাচের মতোই আগ্রাসী মেজাজে শুরু করলেও রান পেলেন না তিনি। করলেন ১৫ বলে ১৮ রান। ১টি করে চার এবং ছক্কা মারেন তিনি।
২২ গজের এক প্রান্ত আগলে রেখেছিলেন ডিকক। ৭০ রানে ২ উইকেট হারানোর পর তাঁর সঙ্গে জুটি বাঁধেন অঙ্গকৃশ রঘুবংশী। তাঁরাই দলকে পৌঁছে দিলেন প্রতিযোগিতার প্রথম জয়ের দরজায়। ডি’ককের ব্যাট থেকে এল ৬১ বলে ৯৭ রানের অপরাজিত ইনিংস। ৩ রানের জন্য শতরান পেলেন না দক্ষিণ আফ্রিকার উইকেটরক্ষক-ব্যাটার। মারলেন ৮টি চার এবং ৬টি ছক্কা। অন্য দিকে, রঘুবংশী অপরাজিত থাকলেন ২টি চারের সাহায্যে ১৭ বলে ২২ রান করে। বোলিং সহায়ক উইকেট পেয়েও রাজস্থানের বোলারেরা কেউই সুবিধা করতে পারলেন না। রাজস্থানের সফলতম বোলার ওয়ানিন্দু হাসরঙ্গ ৩৪ রানে ১ উইকেট নিলেন।
এর আগে টস জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন রাহানে। ঘরের চেনা মাঠে প্রথমে ব্যাটিং পেয়ে প্রথমে খুশিই দেখাচ্ছিল প্রথম তিন ম্যাচের জন্য রাজস্থানের অধিনায়ককে পরাগকে। অসমের ক্রিকেটার বড় রান তুলে প্রতিপক্ষকে চাপে রাখতে চেয়েছিলেন। কিন্তু রাজস্থানের ব্যাটারেরা তাঁদের ‘দ্বিতীয় ঘর’এ প্রত্যাশা মতো ব্যাট করতে পারলেন না। চেনা ২২ গজে সফল হলেন না পরাগও।

গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।
শরীর ভাল না থাকায় বুধবার কেকেআরের হয়ে খেলতে পারেননি নারাইন। ২০২১ সালের পর এই প্রথম তিনি কেকেআরের কোনও ম্যাচে মাঠে নামতে পারলেন না। তাঁর পরিবর্ত হিসাবে কলকাতার প্রথম একাদশে আসেন ইংল্যান্ডের অলরাউন্ডার মইন। তিনি বল হাতে নারাইনের অভাব ঢেকে দিলেন। ভাল বল করলেন বরুণ চক্রবর্তীও। নাইটদের স্পিনের জোড়া ফলার সামনে অস্বস্তিতে দেখাল রাজস্থানের ব্যাটারদের। ছন্দ হারাল তাদের ইনিংস।
আইপিএলের সব মাঠেই ব্যাটারদের জন্য সহায়ক পিচ তৈরি করা হয়েছে। বর্ষাপারা স্টেডিয়ামের ২২ গজের আচরণ অন্যরকম। বল থমকে ব্যাট যাচ্ছে। সুবিধা পাচ্ছেন স্পিনারেরা। রাজস্থানের ইনিংসের মধ্যেই তাদের ব্যাটিং কোচ বিক্রম রাঠৌর জানান, গুয়াহাটির পিচে ১৬০ রানই চ্যালেঞ্জিং। কিন্তু সেই রানও তুলতে পারলেন না রাজস্থানের ব্যাটারেরা। পারলে হয়তো অন্য রকম হতে পারত। প্রয়োজনীয় জুটিই তৈরি করতে পারলেন না তাঁরা। আয়োজকদের সফলতম ব্যাটার ধ্রুব জুরেল করলেন ২৮ বলে ৩৩। ওপেন করতে নেমে যশস্বী জয়সওয়াল করলেন ২৪ বলে ২৯ রান। অন্য ওপেনার সঞ্জু স্যামসন করলেন ১১ বলে ১৩। তিন নম্বরে নেমে পরাগের অবদান ১৫ বলে ২৫। এ ছাড়া রাজস্থানের কোনও ব্যাটার বলার মতো রান পেলেন না। শেষ দিকে জফ্রা আর্চার করেন ৭ বলে ১৬। তিনিই রাজস্থানের ইনিংসকে কিছুটা ভদ্রস্থ জায়গায় পৌঁছে দেন।
আরও পড়ুন:
কলকাতার বোলারদের মধ্যে সফলতম বরুণ ১৭ রানে ২ উইকেট নিলেন। মইন ২৩ রানে ২ উইকেট নিলেন। ৩৩ রানে ২ উইকেট বৈভব অরোরার। হর্ষিত রানা ২ উইকেট নিলেন ৩৬ রান খরচ করে। বোলারদের সহায়ক উইকেটেও চিন্তা থাকল অস্ট্রেলিয়ার স্পেনসার জনসনকে নিয়ে। ৪২ রান দিয়ে ১ উইকেট নিলেন তিনি। তাঁর কাছে আরও ভাল বোলিং প্রত্যাশিত। কারণ এ বছর তাঁকেই জোরে বোলিং আক্রমণকে নেতৃত্ব দেওয়ার দায়িত্ব দিয়েছেন কেকেআর কর্তৃপক্ষ।
- চলতি বছর আইপিএলের ১৮তম বর্ষ। ২০০৮ সাল থেকে শুরু হয়েছিল এই প্রতিযোগিতা। এখন এই প্রতিযোগিতায় খেলে মোট ১০টি দল। তাদের মধ্যেই চলে ভারতসেরা হওয়ার লড়াই।
- গত বার আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। তিন বার এই ট্রফি জিতেছে তারা। মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ও চেন্নাই সুপার কিংস পাঁচ বার করে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু, দিল্লি ক্যাপিটালস, পঞ্জাব কিংস ও লখনউ সুপার জায়ান্টস এখনও পর্যন্ত এক বারও আইপিএল জিততে পারেনি।
-
১৮:৪৫
স্টার্কের ৫ উইকেট, ব্যাটে ঝড় ডুপ্লেসি-অভিষেকের, দিল্লির কাছেও হার হায়দরাবাদের -
১৮:২২
স্টার্কের সামনে আবার ব্যর্থ হেড, সর্বোচ্চ পর্যায়ের ক্রিকেটে ষষ্ঠ বার আউট হলেন দেশজ সতীর্থের বলে -
১৭:৫৯
আইপিএলের ইতিহাসে মন্থরতম বল? মুম্বই বোলারের বলের গতি ধরতেই পারল না প্রযুক্তি -
১৭:১১
স্টার্কের ৫ উইকেট, দিল্লির বিরুদ্ধে দু’বার ধস হায়দরাবাদের ইনিংসে! অক্ষরদের জয়ের লক্ষ্য ১৬৪ -
১৬:৫৪
এই বয়সে ক্রিকেট খেলতে যাওয়া উচিত হয়নি, হুইলচেয়ারে বসেই মজা করলেন দ্রাবিড়