টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ট্রফি হাতে রোহিত শর্মা। —ফাইল চিত্র।
দক্ষিণ আফ্রিকার ৩০ বলে দরকার ছিল ৩০ রান। হাতে ছিল ৬ উইকেট। অতি বড় ভারতীয় সমর্থকও ভাবতে পারেননি, সেই পরিস্থিতি থেকে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে ভারত জিতবে। কিন্তু ভারত খেলায় ফেরে। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতে তারা। ফাইনাল জিততে তাঁরা কী কী করেছিলেন তা জানিয়েছেন ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা। জেতার জন্য যে কোনও মূল্য চোকাতে তৈরি ছিলেন তাঁরা।
একটি অনুষ্ঠানে বিশ্বকাপ ফাইনালের শেষ ৩০টি বলের কাহিনি শুনিয়েছেন রোহিত। তিনি বলেন, “ক্লাসেনকে হার্দিক আউট করার পর থেকে ওদের উপর চাপ বাড়ে। তখন সব ক্রিকেটার ওদের ব্যাটারদের স্লেজ করতে শুরু করে। আমরা কী বলছিলাম, সেগুলো আর এখানে বলছি না। আমরা জিততে চাইছিলাম। যে কোনও মূল্যে জিততে চাইছিলাম। তার জন্য প্রয়োজনে জরিমানা দিতেও তৈরি ছিলাম। আমি সকলকে বলেছিলাম, স্লেজ করার সময় যার যা মনে হচ্ছে বলতে। পরে আম্পায়ার ও রেফারিকে সামলে নেব।”
৩০ বলে যখন ৩০ রান দরকার তখন খেলা কিছু ক্ষণের জন্য বন্ধ ছিল। হাঁটুতে সমস্যা হয়েছিল পন্থের। টেপ লাগান তিনি। অনেক বিশেষজ্ঞ পন্থের এই কাজের প্রশংসা করেছেন। তাঁদের মতে, ব্যাটারদের মনঃসংযোগ নষ্ট করেন তিনি। একই কথা শুনিয়েছেন রোহিতও। তিনি বলেন, “আমি ফিল্ডিং সাজাচ্ছিলাম। হঠাৎ দেখলাম পন্থ মাঠে শুয়ে পড়েছে। তার পর ফিজিয়ো ছুটে এল। ওর হাঁটুতে টেপ লাগানো হল। ক্লাসেন বিরক্ত হয়ে গিয়েছিল। ও চাইছিল যত তাড়াতাড়ি সম্ভব খেলা শুরু করতে। তার পরেই ক্লাসেন আউট হয়ে গেল। ওর মনঃসংযোগ নষ্ট হয়েছিল। আমি বলব না যে পন্থের কারণেই সেটা হয়েছিল। তবে ওর এই সিদ্ধান্ত আমাদের কাজে লেগেছিল।”
চলতি বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা সবগুলি ম্যাচ জিতে ফাইনালে উঠেছিল। দু’দলই যোগ্য ছিল। প্রথম ব্যাট করতে নেমে সমস্যায় পড়া ভারতীয় দলকে টেনে তোলেন বিরাট কোহলি। পরে বল করার সময় ক্লাসেনের তাণ্ডবের পরেও ভয় পায়নি ভারত। যশপ্রীত বুমরা, আরশদীপ সিংহ ও হার্দিক পাণ্ড্য শেষ পাঁচ ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হাত খুলতে দেননি। শেষ ওভারে বাউন্ডারিতে দুর্দান্ত ক্যাচ ধরেন সূর্যকুমার যাদব। শেষ পর্যন্ত ১১ বছর পরে আবার একটি আইসিসি ট্রফি জেতে ভারত। অধিনায়ক হিসাবে প্রথম আইসিসি ট্রফি জেতেন রোহিতও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy