হরমনপ্রীত কউরের দুরন্ত ব্যাটিংয়ের সাহায্যে গত বারের চ্যাম্পিয়ন স্মৃতি মন্ধানাদের আরসিবিকে হারাল মুম্বই ইন্ডিয়ানস।
শুক্রবার ডব্লিউপিএলে জয়ের জন্য ১৬৮ রান তাড়া করতে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই যস্তিকা ভাটিয়ার (৮ বলে ৮) উইকেট হারায় মুম্বই। তাঁকে ফেরান কিম গার্থ। ষষ্ঠ ওভারে ফিরে যান হেইলি ম্যাথেউজও (১০ বলে ১৫)। সেখান থেকে মুম্বইয়ের ইনিংস টানেন ন্যাট শিভার ব্রান্ট। ২১ বলে ৪২ করে ব্রান্ট ফিরে যান। কিছুক্ষণ পরে অ্যামিলিয়া কের আউট হলে মুম্বইয়ের রান দাঁড়ায় ৯.১ ওভারে ৮২-৪। সেখান থেকে অধিনায়ক হরমনপ্রীত কউরের ব্যাট মুম্বইয়ের জয়ের আশা ধরে রাখে। তিনি শেষপর্যন্ত ৩৮ বলে অর্ধশতরানের ইনিংস খেলে ফিরে যান। শেষে আমনজ্যোৎ কউর (২৭ বলে অপরাজিত ৩৪) ও কমলিনী গুনালন (৮ বলে অপরাজিত ১১) মুম্বইয়ে জয় এনে দেন। বল হাতেও তিন উইকেট নেন আমনজ্যোৎ। তাই ম্যাচের সেরা তিনি।
এর আগে এলিস পেরির অর্ধশতরানের সাহায্যে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ২০ ওভারে তোলে ১৬৭-৭। তবে একটা সময় আরসিবির ৫৭ রানে ৪ উইকেট চলে গিয়েছিল। সেখান থেকে মাত্র ৪৩ বলে ৮১ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলে পেরি দলকে টানেন। তাঁর ইনিংস সাজানো ১১টি বাউন্ডারি ও দুটি ছক্কা দিয়ে। পাশাপাশি রান পেয়েছেন রিচা (২৫ বলে ২৮) ও অধিনায়ক স্মৃতি মন্ধানাও (১৩ বলে ২৬ রান)। বরোদায় এ বারের ডব্লিউপিএলের প্রথম পর্ব আয়োজিত হয়েছিল। বেঙ্গালুরু পর্বের এটাই ছিল প্রথম ম্যাচ।
এ দিকে, শনিবার ডব্লিউপিএলে দিল্লি ক্যাপিটালস মুখোমুখি হবে ইউপি ওয়ারিয়র্সের। পরপর দু’ম্যাচে হেরে দীপ্তি শর্মাদের ইউপি এই ম্যাচে ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া। দিল্লি আবার তিন ম্যাচে দুটো জিতেছে। তাঁদের লক্ষ্য থাকবে শীর্ষে ওঠা। তাদের সবচেয়ে বড় আশা মেগ ল্যানিংয়ের ছন্দে ফেরা।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)