শাহিন আফ্রিদি। —ফাইল চিত্র।
অধিনায়ক হিসাবে শাহিদ আফ্রিদির পছন্দ বাবর আজ়মকেই। তিনি চাননি শাহিন আফ্রিদি টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক হোক। শাহিন এবং শাহিদ সম্পর্কে জামাই এবং শ্বশুর। শাহিদ জানিয়েছেন, তিনি কখনও শাহিনকে অধিনায়ক হওয়ার জন্য উৎসাহ দেননি। ক্রিকেটার জীবনে পাকিস্তানকে দীর্ঘ দিন নেতৃত্ব দিয়েছেন শাহিদ।
বুধবার বাবর নেতৃত্ব ছেড়ে দিতেই শাহিনকে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে অধিনায়ক করে পাকিস্তান। লাল বলে অধিনায়ক করা হয়েছে শান মাসুদকে। শাহিন এর আগে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দলকে নেতৃত্ব না দিলেও পাকিস্তান সুপার লিগে লাহোর কালান্দার্সকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। লিগও জিতেছে তাঁর দল। শাহিদ বলেন, “শাহিনকে অধিনায়ক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বোর্ড। সঙ্গে মহম্মদ হাফিজও ছিল। সবাই জানে আমার সঙ্গে শাহিনের সম্পর্ক। তাই আমি যদি শাহিনকে অধিনায়ক করতে বলতাম, তা হলে সকলে বলত যে, আমি ওর পক্ষ নিয়ে কথা বলছি। তাই এই ব্যাপারে আমি কথা বলি না।”
শাহিদ চেয়েছিলেন বাবরই অধিনায়ক থাকুক। বিশেষ করে লাল বলের ক্রিকেটে বাবরকেই অধিনায়ক রেখে দেওয়ার পক্ষে জোর দিয়েছিলেন বলে জানালেন শাহিদ। তিনি বলেন, “আমার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর কথা হয়। আমরা নেতৃত্ব নিয়েও কথা বলি। আমি বলেছিলাম যে, বাবরকে অধিনায়ক রাখা উচিত। বিশেষ করে টেস্ট দলে। সাদা বলে যদি অধিনায়ক বদলাতেই হয়, তা হলে মহম্মদ রিজ়ওয়ানকে দায়িত্ব দেওয়া উচিত। এটা আমি আগেও অনেক বার বলেছি। বোর্ডের প্রধানও আমাকে ফোন করেছিলেন। তাঁকেও আমি বলেছিলাম যে, বাবরকে লাল বলে অধিনায়ক রাখা উচিত।”
বুধবার পাকিস্তানের তিন ফরম্যাট থেকেই নেতৃত্ব ছেড়ে দিয়েছিলেন বাবর। তিনি লিখেছিলেন, “তিন ফরম্যাটের ক্রিকেটে পাকিস্তানের নেতৃত্ব ছাড়ছি। এই সিদ্ধান্ত নেওয়া খুব কঠিন ছিল, কিন্তু আমার মনে হয় এটাই সঠিক সময়। নেতৃত্ব ছাড়লেও আমি পাকিস্তানের হয়ে তিন ফরম্যাটেই ক্রিকেট খেলব। নতুন অধিনায়ককে সব রকম সাহায্য করব। আমার সব অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেব তাঁর সঙ্গে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy