গৌতম গম্ভীর। —ফাইল চিত্র।
ভারতীয় দলের কোচ হওয়ার পর থেকে খুব একটা সাফল্য এখনও পর্যন্ত দিতে পারেননি গৌতম গম্ভীর। উল্টে তাঁর কোচিংয়ে ব্যর্থতাই বেশি এসেছে। ঘরের মাটিতে নিউ জ়িল্যান্ডের কাছে সিরিজ় চুনকাম হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধেও সিরিজ় হারের আশঙ্কা রয়েছে। ক্রমশ দূরে যাচ্ছে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ওঠার স্বপ্ন। জানা গিয়েছে, গম্ভীরের কোচিংয়ে খুশি নয় ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডও। দল এ ভাবে খেলতে থাকলে চাকরি যেতে পারে গম্ভীরেরও।
চলতি সিরিজ়ে আর একটি টেস্ট বাকি। সিডনিতে জিততে না পারলে সিরিজ়ে হারতে হবে ভারতকে। পাশাপাশি স্বপ্ন শেষ হয়ে যাবে টেস্ট বিশ্বকাপেরও। গম্ভীরের কোচিংয়ে শেষ সাতটি টেস্টের মধ্যে পাঁচটি হেরেছে ভারত। ড্র হয়েছে একটি। মেলবোর্ন টেস্টের পর নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের এক আধিকারিক সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে বলেন, “সিডনি টেস্ট বাকি। তার পরে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। যদি দল ভাল খেলতে না পারে, তা হলে গম্ভীরের জায়গাও সুরক্ষিত নয়। সিডনিতে হারলে চাপ আরও বাড়বে গম্ভীরের উপর। এটাই ওর শেষ সুযোগ।” ওই আধিকারিকের কথা থেকে পরিষ্কার, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি বেশি দূরে না থাকায় তার আগে হয়তো কোচবদল হবে না। কিন্তু সিডনিতে হারলেই বোর্ড সিদ্ধান্ত নিয়ে নিতে পারে।
কিন্তু কেন এমনটা ভাবছে বোর্ড? রাহুল দ্রাবিড় কোচের পদ ছাড়ার পরে গম্ভীরকে কোচ করা হয়েছিল। এক জন নতুন কোচকে তো সময় দিতেই হবে। তা হলে কেন শুরু থেকেই আতশকাচের তলায় রয়েছেন গম্ভীর। ওই আধিকারিক জানিয়েছেন, গম্ভীর নাকি তাঁদের প্রথম পছন্দই ছিলেন না। তিনি বলেন, “গম্ভীর কখনওই আমাদের প্রথম পছন্দ ছিল না। প্রথম পছন্দ ছিল লক্ষ্মণ (ভিভিএস লক্ষ্মণ বেঙ্গালুরুর জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমির দায়িত্বে রয়েছেন)। বেশ কয়েক জন বিদেশি কোচের সঙ্গেও কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু তাঁরা কেউ তিন ফরম্যাটেই কোচ হতে চাননি। সেই কারণে বাধ্য হয়ে গম্ভীরকে কোচ করা হয়েছে। তাই ওর দিকে তো বোর্ডের নজর থাকবেই।”
প্রশ্ন উঠছে গম্ভীরের অভিজ্ঞতা নিয়েও। ক্রিকেটার হিসাবে অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডে গম্ভীরের রেকর্ড খুব একটা ভাল নয়। অস্ট্রেলিয়ায় চারটি টেস্ট খেলেছেন গম্ভীর। করেছেন ১৮১ রান। গড় ২২.৬৩। মাত্র একটি অর্ধশতরান করেছেন। ইংল্যান্ডে পাঁচটি টেস্টে গম্ভীরের রান ১২৭। গড় ১২.৭০। এই রকম অভিজ্ঞতা থাকা এক জনকে ভারতের কোচ করা উচিত হয়নি বলে মত ভারতের হয়ে ৯০টির বেশি টেস্ট খেলা এক প্রাক্তন ক্রিকেটারের। তিনি বলেন, “গম্ভীর কেরিয়ারে অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডে অফ স্টাম্পের বল শুধু পিছনের দিকে খেলার চেষ্টা করেছে। ওর তো অন্তত জানা উচিত কোহলির কোথায় সমস্যা হচ্ছে। সেটা যদি জানত তা হলে ওর উচিত ছিল কোহলিকে সমাধানের পথ দেখানো। সেটাও গম্ভীর পারছে না। ও দলের কোচ হওয়ারই যোগ্য নয়।”
জয় শাহ আইসিসির চেয়ারম্যান হওয়ার পর থেকে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সচিবের পদ ফাঁকা রয়েছে। ১২ জানুয়ারির পর সেই পদে পাকাপাকি ভাবে কাউকে দায়িত্ব দেওয়া হবে। তার পরেই কোচ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। গম্ভীরের পারফরম্যান্সে হতাশ ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। যদি সিডনিতে দল জিততে না পারে তা হলে তা হলে আরও টলমল হবে তাঁর জায়গা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy