রুটদের শিবিরে অশান্তি। ছবি রয়টার্স
অ্যাশেজের প্রথম দুই টেস্টে হেরে এমনিতেই বেসামাল ইংল্যান্ড। তার উপরে দলের অন্দরে দাউদাউ করে জ্বলছে ক্ষোভের আগুন। এক বৈঠকে দল পরিচালন সমিতির সঙ্গে তুমুল বিতর্ক হয়েছে ক্রিকেটারদের। মেলবোর্নে তৃতীয় টেস্ট শুরুর আগেই অশান্তির আঁচ ইংরেজ শিবিরে।
অ্যাডিলেডে ২৭৫ রানে হারের পর দলের বৈঠক ডাকা হয়েছিল। সেখানে ব্যাটারদের ধরে ধরে আউট হওয়ার ধরন দেখান কোচ ক্রিস সিলভারউড। তিনি প্রচণ্ডই ক্ষুব্ধ ছিলেন ব্যাটারদের আউট হওয়ার ধরন দেখে। বার বার কেন বাইরের বলে খোঁচা দিয়ে ইংরেজ ব্যাটাররা আউট হচ্ছেন, তার কারণ জানতে চান কোচ। আরও জানতে চান, যে বল খেলার দরকারই নেই সেই বল কেন খেলার চেষ্টা করা হচ্ছে।
এতেই ক্ষেপে ওঠেন দলের অলরাউন্ডার বেন স্টোকস। দলের কোচিং স্টাফের সঙ্গে একপ্রস্থ তর্কাতর্কি হয় তাঁর। চুপ ছিলেন না জস বাটলারও। দলের এক বিশেষজ্ঞ বলতে চেয়েছিলেন প্রথম ২০টি বল মনোযোগ দিয়ে খেলতে। বাটলার তাঁকে একহাত নিয়ে বলে দেন, প্রথম ২০টি বল নয়, গোটা ইনিংস ধরেই মনোযোগ না থাকলে এ রকমই ফল হতে চলেছে বাকি সিরিজে।
বাটলার তুলে আনেন মার্নাস লাবুশেনের কথাও। দেখিয়ে দেন, কী ভাবে প্রথম ইনিংসে খেলেছিলেন লাবুশেন। ৩০৫ বলে খেলা তাঁর ১০৩ রানের ইনিংসে ৮৩টি বল ছেড়ে দিয়েছিলেন লাবুশেন। সামগ্রিক ভাবে, নতুন বলের চার ভাগের তিন ভাগ বলই ছেড়ে দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটাররা। প্রথম ৩০ ওভারেই এটি দেখা গিয়েছে। ইংল্যান্ডের ক্ষেত্রে বল ছাড়ার পরিমাণ সিকি ভাগ। দু’দলের বোলাররাই একই লাইন এবং লেংথে বল করলেও অজি বোলারদের সাফল্যের হার অনেক বেশি।
বৈঠকে আগুন জ্বললেও একটা বিষয়ে ক্রিকেটাররা এককাট্টা। প্রত্যেকেই মেনে নিয়েছেন নিজেদের ভুলত্রুটি। ঠিক করেছেন, ঘুরে দাঁড়ানোর এটাই সেরা সময়। ঠিক হয়েছে, পায়ের নড়াচড়ার ক্ষেত্রে আরও বেশি জোর দেওয়া হবে। অ্যাডিলেডে ইংল্যান্ড ব্যাটারদের দেওয়া ১৪টি ক্যাচের মধ্যে আটটিই হয়েছে উইকেটকিপার এবং গালির মধ্যবর্তী অঞ্চলে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy