এশিয়া কাপ। —ফাইল চিত্র।
পাকিস্তানের সম্ভাব্য চেয়ারম্যান জ়াকা আশরফের কথা শুনতে নারাজ এশীয় ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি)। এশিয়া কাপ আয়োজক এসিসি-র মতে আশরফ যা খুশি তাই বলতেই পারেন। কিন্তু তাঁর কথাকে গুরুত্ব দিতে রাজি নয় এসিসি।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এসিসি-র এক কর্তা বলেন, “এশিয়া কাপ কী ভাবে হবে তা ঠিক হয়ে গিয়েছে। সেটাতে কোনও পরিবর্তন হবে না। আশরফ যা খুশি তাই বলতে পারেন। যায় আসে না।” এ বারের এশিয়া কাপ হবে ‘হাইব্রিড মডেল’ মেনে। পাকিস্তানে চারটি ম্যাচ হবে। বাকি সব ম্যাচ হবে শ্রীলঙ্কায়। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের বিদায়ী চেয়ারম্যান নাজাম শেট্টী এই প্রস্তাব দিয়েছিলেন। সেটাই মেনে নেয় এসিসি। কিন্তু আশরফ এই মডেলের সঙ্গে একমত নন। তিনি মনে করেন এই ভাবে খেলা হলে পাকিস্তানের কোনও লাভ নেই।
ভারতীয় দল পাকিস্তানে খেলতে যাবে না বলে জানিয়ে দিয়েছিল। এর পরেই জটিলতা তৈরি হয়। পরে পাকিস্তানের দেওয়া ‘হাইব্রিড মডেল’ মেনে নেয় এশিয়া ক্রিকেট কাউন্সিল। সেই অনুযায়ী প্রথম চারটি ম্যাচ পাকিস্তানে হওয়ার পর, বাকি ম্যাচ হবে শ্রীলঙ্কায়। শেট্টি এতে খুশি হলেও নতুন সম্ভাব্য বোর্ড প্রধান আশরফ এটি মানতে পারেননি। পরে অবশ্য তিনি নিজের বক্তব্য থেকে খানিকটা পিছিয়ে আসেন। বৃহস্পতিবার প্রথমে তিনি বলেন, “এই ‘হাইব্রিড মডেল’ পাকিস্তানের জন্য লাভজনক নয়। আমি খুশি নই। পাকিস্তান এ বারের এশিয়া কাপের আয়োজক। আরও ভাল কোনও চুক্তি করতে পারত। পাকিস্তান মাত্র চারটে ম্যাচ পাবে। দেশের জন্য এটা একদমই ভাল নয়।”
আশরফের কথায় জটিলতা বারে। এক ভাবে এশিয়া কাপ করার সিদ্ধান্ত হয়ে যাওয়ার পর আবার তা বদলানোর প্রয়োজন হবে কি না সেই নিয়েও আলোচনা শুরু হয়। পরে যদিও নিজের কথা থেকে ফিরে আসেন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের সম্ভাব্য চেয়ারম্যান। তাঁর পছন্দ না হলেও আশরফ বাধা দেবেন না বলে জানান। তিনি বলেন, “সিদ্ধান্ত হয়ে গিয়েছে। তাই আমাদের এখন এই ‘হাইব্রিড মডেল’ মেনেই এগোতে হবে। আমি আটকাব না। মেনে নেওয়া ছাড়া আমার কোনও কিছু করার নেই। তবে আগামী দিনে সব সিদ্ধান্ত দেশের ভালর কথা ভেবেই নেওয়া হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy