ইংল্যান্ডের অধিনায়ক বেন স্টোকস এবং পেসার স্টুয়ার্ট ব্রড। ছবি: রয়টার্স।
নিজেরা হেরে গেলেও প্রতিপক্ষের সমালোচনা করা থামাচ্ছে না ইংল্যান্ড। অ্যাশেজের প্রথম টেস্টে ২ উইকেটে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে দেয় অস্ট্রেলিয়া। টেস্টের শেষ দিনে প্যাট কামিন্সের ৪৪ রানের ইনিংস জয় এনে দেয় সদ্য বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপজয়ী দলকে। কিন্তু ‘ব্যাগি গ্রিন’দের সমালোচনা করা থামাচ্ছে না ইংল্যান্ড। অলি রবিনসন মনে করেন যে, অস্ট্রেলিয়ার খেলা অত্যন্ত রক্ষণাত্মক।
ইংরেজ পেসার রবিনসন প্রথম টেস্টে পাঁচটি উইকেট নেন। সেই টেস্টের পর তিনি বলেন, “প্রথম টেস্টে অস্ট্রেলিয়াকে রক্ষণাত্মক খেলতে দেখে অবাক হয়ে যাই। ওরা আমাদের সঙ্গে সমানে-সমানে টক্কর দেওয়ার চেষ্টাই করছিল না। প্রথম ম্যাচে অবশ্যই সেটা ওদের পক্ষে গিয়েছে। কিন্তু আমার মনে হয় যে, এই ভাবে খেললে ওদের পরের টেস্টগুলোতে ভুগতে হবে। যে পিচে সুইং বেশি থাকবে, সেখানে পারবে না ওরা। অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটারদের সাধারণত ব্যাকফুটে গিয়ে খেলতে দেখা যায় না। ওদের ফিল্ডিং সাজানো দেখে প্রথম ওভারেই বুঝে গিয়েছিলাম যে আমরা এগিয়ে আছি।”
ইংল্যান্ডের আক্রমণাত্মক খেলা যদিও ওদের জয় এনে দিতে পারেনি। অ্যাশেজের প্রথম টেস্টেই হেরে গিয়েছে তারা। কিন্তু ইংল্যান্ড নিজেদের খেলার ধরন পাল্টাবে না। রবিনসন জানিয়েছেন যে, কোচ ব্রেন্ডন ম্যাকালাম হারার পরেও ইতিবাচক মনোভাব ধরে রেখেছেন। ইংল্যান্ডের পেসার বলেন, “ম্যাচের পর কোচ বলেন, ‘মনে হচ্ছে আমরাই জিতেছি। গোটা বিশ্বকে আনন্দ দিয়েছি। অস্ট্রেলিয়াকে ব্যাকফুটে খেলতে বাধ্য করেছি।’ ম্যাকালামের থেকে এমন কথা আমাদের জন্য খুব দরকার ছিল।”
হেরে গিয়েও কোচের এমন কথা যে অবাক করে দেওয়ার মতো, তা বুঝতে পারছেন রবিনসন। কিন্তু তাঁর মতে, “অস্ট্রেলিয়া জেতার পর এমন কথা সত্যিই অবাক করে দেওয়ার মতো। কিন্তু সত্যিই যদি ওরা ভাল খেলার ইচ্ছা রাখে আর নিজেদের ঠিক ভাবে বিচার করে, তা হলে অস্ট্রেলিয়া নিজেদের খেলার ধরন পাল্টাবে। আমরা যে ভাবে খেলছি, সেই ভাবে খেলতে হবে। পাল্লা দিতে হবে আমাদের সঙ্গে। লর্ডসে যদি বল সুইং করে, তা হলে কিন্তু আমাদের বিরুদ্ধে খেলা মুশকিল হবে অস্ট্রেলিয়ার।”
২৮ জুন থেকে শুরু দ্বিতীয় টেস্ট। মোট পাঁচটি টেস্ট খেলা হবে অ্যাশেজে। প্রথম টেস্ট জিতে ১-০ এগিয়ে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া। পরের টেস্টেই সিরিজ়ে সমতা ফেরাতে চাইবে ইংল্যান্ড।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy