রোহিত শর্মা। ছবি: পিটিআই।
বিশ্বকাপে টানা ১০টি ম্যাচ জিতে আমদাবাদ পৌঁছে গিয়েছে ভারত। রবিবার ফাইনালে প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া। এখনও পর্যন্ত বিশ্বকাপে ভারত অপ্রতিরোধ্য। খেলছেও সে ভাবেই। দলের প্রায় সবাই ছন্দে রয়েছেন। তবুও দলের মধ্যে রয়েছে বেশ কিছু খামতি। বেশ কিছু সমস্যা। ফাইনাল ম্যাচের আগে সেগুলি সমাধান করতে হবে রোহিত শর্মার দলকে। আনন্দবাজার অনলাইন খুঁজে বার করল এমনই ৫ বিষয়।
১) মহম্মদ সিরাজের বোলিং: ভারতের প্রধান বোলারদের এক জন তিনি। নতুন বলে শুরু করেন। কিন্তু সিরাজের বোলিং চিন্তায় রাখবে একটা কারণেই, গুরুত্বপূর্ণ সময়ে মার খেয়ে যান। বিশ্বকাপে চারটি ম্যাচে ওভার প্রতি ছয়ের বেশি রান দিয়েছেন। তার মধ্যে দু’টি ম্যাচে ওভার প্রতি আটের বেশি রান। ওয়াংখেড়েতে শেষ ম্যাচে নিউ জ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে তার উদ্দেশ্যহীন বোলিংয়ে বিপদে পড়েছিল ভারত। রাউন্ড দ্য উইকেটে দিশাহীন বল করছিলেন। বিশ্বকাপে ১৩টি উইকেট রয়েছে। কিন্তু ইকনমি রেট বেশ খারাপ।
২) লোয়ার মিডল অর্ডার পরীক্ষিত নয়: ভারত যে ১০টি ম্যাচে জিতেছে, প্রতিটিতেই প্রথম পাঁচ ব্যাটারেরা রান পেয়েছেন। রোহিত শুরুটা ভাল করছেন। পরের দিকে বিরাট কোহলি, শ্রেয়স আয়ার, কেএল রাহুলেরা রান করে দিচ্ছেন। কিন্তু ফাইনালে যদি প্রথম পাঁচের দু-তিন জন ব্যর্থ হন, তা হলে ভারত চাপে পড়বে। কারণ বিশ্বকাপে এখনও রবীন্দ্র জাডেজা বা সূর্যকুমার যাদবের মতো ব্যাটারদের পরীক্ষার মুখে পড়তে হয়নি। সেই পরিস্থিতিতে তাঁরা কী ভাবে চাপ সামলান সেটা দেখার।
৩) খারাপ ফিল্ডিং: নিউ জ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে সেমিফাইনালের ম্যাচ তাঁর আদর্শ উদাহরণ। ক্যাচ ফেলা, ফিল্ডিং মিস্, ওভারথ্রোয়ে রান দেওয়া— কী না দেখা গিয়েছে। স্কোরবোর্ডে বড় রান থাকার সুবাদে ভারত জিতেছে বটে। কিন্তু রান একটু কম হলে চাপ বাড়ত সন্দেহ নেই। ফাইনালের মতো ম্যাচে ‘হাফ চান্স’ও কাজে লাগাতে হবে। সেখানে ক্যাচ ফেলা বা ওভারথ্রোয়ে রান দেওয়া আত্মহত্যার শামিল হতে পারে।
৪) ষষ্ঠ বোলারের অভাব: এখানেও তুলনায় আসছে নিউ জ়িল্যান্ড ম্যাচ। কেন উইলিয়ামসন এবং ড্যারিল মিচেল ক্রিজে থাকার সময় বেশ চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলেন রোহিত শর্মা। হাতে যে পাঁচ বোলার ছিল, কাউকে দিয়েই কাজ হচ্ছিল না। হার্দিক পাণ্ড্য না থাকায় বাড়তি কাউকে এনে চাপে ফেলা যায়নি। নেদারল্যান্ডস ম্যাচে বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা, শুভমন গিল বল করেছিলেন। কিন্তু নিউ জ়িল্যান্ড মোটেই নেদারল্যান্ডস ছিল না। আত্মঘাতী ঝুঁকি রোহিত নিতে চাননি। মহম্মদ শামি দলকে জেতালেও, ফাইনালে কোনও এক বা দু’জন বোলারের দিন খারাপ গেলে চাপে পড়তে পারে ভারত।
৫) টানা দেড় মাসের ক্লান্তি: দেড় মাসে টানা ১১ নম্বর ম্যাচ খেলতে নামছে ভারত। বিশ্বকাপে তারা ৯টি ম্যাচই খেলেছে আলাদা আলাদা শহরে। কয়েক হাজার কিলোমিটার যাতায়াত করতে হয়েছে। এত যাতায়াত আর কোনও দলকে করতে হয়নি। পাশাপাশি, হার্দিক পাণ্ড্য চোট পাওয়ার পর থেকে একই দল প্রতি ম্যাচে খেলে যাচ্ছে। গত ৫টি ম্যাচে একই দল নামিয়েছে ভারত। নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে গুরুত্বহীন ম্যাচেও তারা দল বদলায়নি। ফাইনালে ক্লান্তি গ্রাস করতে পারে ক্রিকেটারদের। শেষ পর্বে এসে যাতে হোঁচট না খেতে হয়, তার খেয়াল রাখতে হবে ক্রিকেটারদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy