ওয়াংখেড়ের পিচ পরীক্ষা রোহিতের। — ফাইল চিত্র।
ভারত বনাম নিউ জ়িল্যান্ড সেমিফাইনাল ম্যাচের আগেই ওয়াংখেড়ের পিচ নিয়ে তুমুল বিতর্ক তৈরি হয়। পরে সেই বিষয়ে সরকারি বিবৃতি প্রকাশ করে আইসিসি-ও। তবে পিচ বিতর্কে আয়োজক দেশ ভারতের দিকে যে ভাবে আঙুল তোলা হয়েছে তাতে বেজায় ক্ষিপ্ত সুনীল গাওস্কর। সমালোচকদের ‘গাধা’ বলে অভিহিত করে মুখ বন্ধ রাখতে বললেন তিনি।
ম্যাচের পর গাওস্কর বলেন, “যে সব গাধারা ম্যাচের আগে পিচের বদল নিয়ে বকবক করছিল, আশা করব এ বার ওরা মুখ বন্ধ করে বসে থাকবে এবং কথায় কথায় ভারতের সমালোচনা করা বন্ধ করবে। পিচের বদল নিয়ে কথা বলা এ বার বন্ধ হোক। একই পিচে দুই দল খেলেছে।”
এখানেই থামানো যায়নি গাওস্করকে। তিনি আরও বলেন, “ভাবুন এক বার, দ্বিতীয় সেমিফাইনাল এখনও খেলাই হল না। এখন থেকেই কেউ কেউ বলছে আমদাবাদের পিচেও নাকি বদল হবে! কোন দলকে খেলতে হবে সেটাই তো কেউ জানে না। যত সব উল্টোপাল্টা কথা বলে বাজার গরম করার চেষ্টা।”
বুধবার সকালে ডেইলি মেলে একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়। সেই অনুযায়ী, ভারতে বিশ্বকাপের জন্য পিচ তৈরি করার দায়িত্ব অ্যান্ডি অ্যাটকিনসনের উপর। তাঁর নেতৃত্বে আইসিসি ও বিসিসিআই-এর কয়েক জন পিচ প্রস্তুতকারক সব ম্যাচের উইকেট তৈরি করেন। মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে ভারত-নিউ জ়িল্যান্ড ম্যাচের জন্য একটি অব্যবহৃত পিচ বেছে নিয়েছিলেন অ্যান্ডি। সেই পিচ বদলে একটি ব্যবহৃত পিচে খেলা হবে বলে জানানো হয় রিপোর্টে।
রিপোর্টে আরও বলা হয়, প্রথমে ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামের ৬ নম্বর পিচে খেলা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পরে তা বদলে ৭ নম্বর পিচ করা হয়েছে। এই পিচে এর আগে অস্ট্রেলিয়া বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা ও ভারত বনাম শ্রীলঙ্কা ম্যাচ হয়েছে। যে পিচে আগে খেলা হওয়ার কথা ছিল সেখানে ঘাস ছিল। কিন্তু যে পিচে খেলা হওয়ার কথা সেটি খুব মন্থর। মূলত ভারতীয় বোলারদের সুবিধা করে দিতেই নতুন পিচ বেছে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। পিচ বদলের কথা হোয়াটস্অ্যাপ করে জানানো হয়ে অ্যন্ডিকে। সেখানে বলা হয়, বিশেষ একটি কারণে ৬ নম্বর পিচের জায়গায় ৭ নম্বর পিচে খেলা হবে। কী কারণ, তার ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি বলেই অভিযোগ।
ভারতের ম্যাচের মাঝেই আইসিসি একটি বিবৃতিতে বলেছে, ‘‘এই ধরনের প্রতিযোগিতার শেষ দিকে পিচে বদল স্বাভাবিক ব্যাপার। আগেও এই ঘটনা দেখা গিয়েছে। আয়োজক দেশের যে মাঠে খেলা হচ্ছে, সেই মাঠের পিচ প্রস্তুতকারকের পরামর্শে বদল হতে পারে। আইসিসির পিচ প্রস্তুতকারককে এই বিষয়ে জানানো হয়েছে। পিচ বদল হলে যে সেই পিচে খেলা ভাল হবে না তার কোনও কারণ নেই।’’ বিবৃতিতে আরও জানানো হয়েছে, ‘‘কোন পিচে খেলা হবে সেই পিচ বেছে নেওয়া ও তার পর তা তৈরি করার দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট রাজ্য সংস্থা ও সেই সংস্থার পিচ প্রস্তুতকারকের। এ ক্ষেত্রে সেই দায়িত্ব মুম্বই ক্রিকেট সংস্থার।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy