Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Irfan Pathan

এক দিনের ক্রিকেটে দেশের সেরা অলরাউন্ডার হতে পারতাম, কিন্তু...

ক্রমশ পাঠানের ভূমিকা বদলে গিয়েছিল। নতুন বলে দৌড় শুরু নয়, প্রথম বা দ্বিতীয় পরিবর্ত হয়ে ওঠেন তিনি। একদিনের ক্রিকেটে ভারতের হয়ে দ্রুততম একশো উইকেটের পরে পাঠানের পরের ৭৩ উইকেট আসে ৬১ ম্যাচে।

কেরিয়ারে ২৯ টেস্ট, ১২০ ওয়ানডে ও ২৪ টি-টোয়েন্টি খেলেছেন ইরফান পাঠান। ছবি: রয়টার্স।

কেরিয়ারে ২৯ টেস্ট, ১২০ ওয়ানডে ও ২৪ টি-টোয়েন্টি খেলেছেন ইরফান পাঠান। ছবি: রয়টার্স।

নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ জুন ২০২০ ১৬:০০
Share: Save:

এক দিনের ক্রিকেটে ভারতের সর্বকালের সেরা অলরাউন্ডার হয়ে ওঠার মশলা ছিল, কিন্তু কেরিয়ার ঠিকঠাক এগোয়নি, আক্ষেপ ইরফান পাঠানের

১৯ বছর বয়সে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন বডোদরার অলরাউন্ডার। দুরন্ত সুইংয়ে কেড়েছিলেন নজর। তার পর ব্যাটিংয়েও গুরুত্ব দেন। কিন্তু, তার পর চোটের জন্য জাতীয় দলে নিয়মিত খেলতে পারেননি তিনি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তাঁকে শেষ বার দেখা গিয়েছিল মাত্র ২৭ বছর বয়সে। এক ওয়েবসাইটে তিনি বলেছেন, “আরও অনেক সাফল্য পেতে পারতাম। আমার বিশ্বাস এক দিনের ক্রিকেটে দেশের সেরা অলরাউন্ডার হয়ে উঠতে পারতাম। কিন্তু তা ঘটেনি। কারণ, যতটা খেলার কথা, ততটা ক্রিকেট খেলিইনি। মাত্র ২৭ বছর বয়সে দেশের হয়ে শেষ বার খেলেছিলাম।”

আরও পড়ুন: ২৪ বছর আগের সেই দিন... অভিষেক টেস্টকে টুইটে স্মরণ সৌরভের

মাত্র ৫৯ ম্যাচে ভারতের দ্রুততম বোলার হিসেবে এক দিনের ক্রিকেটে ১০০ উইকেট নিয়েছিলেন ইরফান। এই রেকর্ড ১৩ বছর টিকে ছিল। যা ভাঙেন মহম্মদ শামি। ক্রমশ পাঠানের ভূমিকা বদলে গিয়েছিল। নতুন বলে দৌড় শুরু নয়, প্রথম বা দ্বিতীয় পরিবর্ত হয়ে ওঠেন তিনি। শততম উইকেটের পরে পাঠানের পরের ৭৩ উইকেট আসে ৬১ ম্যাচে। তখন ব্যাটিংয়ে জোর দিতে থাকেন তিনি। টেস্টে অলরাউন্ডার হিসেবে নেমে সেঞ্চুরিও করেন।

ইরফান বলেছেন, “যদি প্রথম ৫৯ ওয়ানডে ম্যাচের দিকে তাকান, দেখবেন যে ওই সময় নতুন বল হাতে দৌড়ে এসেছিলাম। নিউ বল বোলার হলে নতুন, পুরনো দুই রকম বলেই হাত ঘোরানোর সুযোগ আসে। লক্ষ্য, মানসিকতা, শরীরী ভাষা ও দায়িত্ব হয়ে ওঠে উইকেট নেওয়া। কিন্তু প্রথম পরিবর্ত বোলার হিসেবে বল করলে ভূমিকায় বদল ঘটে। তখন রক্ষণাত্মক ভূমিকা নিতে হয়। সেই সময় কোচ ও ক্যাপ্টেন দেখতে থাকে ডিফেন্সিভ বোলার হিসেবে। তখন রান আটকানোর দায়িত্ব ঘাড়ে চাপে। ভূমিকা পাল্টে গেলে তখন তা প্রভাব ফেলে পরিসংখ্যানে।”

আরও পড়ুন: বিশ্বকাপ ফাইনালে গড়াপেটার অভিযোগ নিয়ে ফের মুখ খুললেন জয়বর্ধনে​

টিম ম্যানেজমেন্টের ভূমিকা নিয়ে ইরফান যে অসন্তুষ্ট, তা তাঁর কথাতেই পরিষ্কার। ইউসুফ পাঠানের ভাই বলেছেন, “আমার মনে হয় এটা নিয়ে দলের তরফে কথা বলা উচিত। বলতে হত যে, ইরফান সাধারণত উইকেট নেওয়ায় জোর দেয়। কিন্তু আমরা ওকে একটা অন্য ভূমিকায় দেখতে চাইছি। আমরা প্রথম পরিবর্ত বোলারের দায়িত্ব দিয়েছি ওকে। যে কিনা এক দিনের ক্রিকেটে সাত-আট নম্বরে নামবে। এক দিকের ক্রিকেটে যা খুব গুরুত্বপূর্ণ জায়গা।”

২০১২ সালের অগস্টে শ্রীলঙ্কায় শেষ এক দিনের ম্যাচে পাঁচ উইকেট নিয়েছিলেন ইরফান। যা এসেছিল নতুন বল হাতে দৌড়ে এসেই। তাঁর কথায়, “২০১২ সালে নতুন বল হাতে আবার পাওয়ার পর পরিসংখ্যান পাল্টে যাচ্ছিল। শেষ ম্যাচেও তো নিয়েছিলাম পাঁচ উইকেট। এটা মোটেই বলছি না যে, শুধু নতুন বলেই বল করতে পারি। পুরনো বলে হাতে দৌড়ে আসতেও আমি তৈরি ছিলাম। কিন্তু, দলগত খেলায় ভূমিকা পাল্টে গেলে তা প্রতিফলিত হয় পরিসংখ্যানেও।”

আরও পড়ুন: আইপিএলে চিনা স্পনসরশিপ নিয়ে আলোচনা, বৈঠকে গভর্নিং কাউন্সিল​

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy