অলিম্পিক্সে ভারতের গুডউইল অ্যাম্বাস্যাডর বা শুভেচ্ছা দূত সলমন খান কেন? প্রশ্ন তুললেন মিলখা সিংহ।
পিটি ঊষা, রাজ্যবর্ধন সিংহ রাঠৌড়ের মতো পদকজয়ী ক্রীড়াবিদ থাকতে একজন বলিউড তারকাকে কেন ভারতের গুডউইল অ্যাম্বাস্যাডর করা হল, দু’বারের এশিয়ান গেমস সোনাজয়ী কিংবদন্তি অ্যাথলিটের প্রশ্ন এটাই। তাঁর বক্তব্য, ‘‘দেশের জন্য ঘাম-রক্ত ঝরিয়ে পদক আনা ক্রীড়াবিদের তো অভাব নেই ভারতে। ঊষা, রাঠৌড়, অজিত পালদের মতো অনেকেই আছে। তাদের ছেড়ে একজন বলিউড নায়ককে এই পদে আনার কী দরকার ছিল জানি না।’’
সলমন খানের আসন্ন ছবি ‘সুলতান’-এ তিনি কুস্তিগীরের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। ক্রীড়ামহলে অনেকের ধারণা, কুস্তিগীর সলমনের ইমেজকে কাজে লাগাতেই তাঁকে এই সম্মান দিয়েছে ভারতীয় অলিম্পিক্স সংস্থা। শনিবার দিল্লিতে এমসি মেরি কম, সর্দার সিংহদের উপস্থিতিতে এক অনুষ্ঠানে সলমনকে গুডউইল অ্যাম্বাস্যাডর ঘোষণা করা হয়।
মিলখার বক্তব্য, ‘‘আমি সলমনের বিরোধী নই। কিন্তু আমার মনে হয় সিদ্ধান্তটা ভুল। বলিউডের কোনও মেগা ইভেন্টে কখনও কোনও ক্রীড়াবিদকে অ্যাম্বাস্যাডর করা হয়েছে? আমার মনে হয় সিদ্ধান্তটা নিয়ে আর একবার ভেবে দেখুক সরকার ও আইওএ।’’
সলমনের মতো একজন জনপ্রিয় চিত্রতারকার মাধ্যমে অলিম্পিক্সে ভারতের যোগদান সম্পর্কে সাধারণ মানুষের আগ্রহ বাড়িয়ে তোলার উদ্দেশ্যেই এই সিদ্ধান্ত, যুক্তি আইওএ-র। ভবিষ্যতেও এ রকম একাধিক জনপ্রিয় তারকাদের এই ভূমিকায় দেখা যাবে বলে জানিয়েছে তারা।
কিন্তু এই সিদ্ধান্ত পছন্দ হয়নি মিলখার মতো ক্রীড়ামহলের অনেকেরই। লন্ডন অলিম্পিক্সে ব্রোঞ্জজয়ী শুটার যোগেশ্বর দত্ত যেমন। এই খবর শোনার পর তিনি কড়া ভাষায় টুইট করেন, ‘‘অলিম্পিক্স নিশ্চয়ই কারও ছবির প্রচারের জায়গা নয়। তা ছাড়া আমায় কেউ বলে দেবেন, গুডউইল অ্যাম্বাস্যাডরের কাজটাই বা কী? এ ভাবে মানুষকে বোকা বানানোর মানে কী?’’
একই কথা বলেছেন হকির প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক ধনরাজ পিল্লাই। তাঁর মতে, ‘‘খেলার জগতের অ্যাম্বাস্যাডর একজন খেলোয়াড়েরই হওয়া উচিত।’’ তবে মেরি কম, সর্দাররা তাঁদের সঙ্গে একমত নন। তাঁদের ধারণা, ভারতের রিও অলিম্পিক্সে যোগদান নিয়ে মানুষের মনে আগ্রহ বাড়াতে সলমনের জনপ্রিয়তা কাজে লাগবে। দেশের একমাত্র অলিম্পিক্স সোনাজয়ী অভিনব বিন্দ্রারও এতে কোনও আপত্তি নেই বলে জানিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy