মাঠ পরিদর্শনে আইএফএ-র প্রতিনিধিরা। — নিজস্ব চিত্র
কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে আগামী ২৬ ডিসেম্বর থেকে শুরু হতে চলা সাফ মহিলা ফুটবল প্রতিযোগিতার জন্য পর্যাপ্ত মহিলা পুলিশ-সহ সুষ্ঠু নিরাপত্তা ব্যবস্থা চাইলেন ইন্ডিয়ান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তারা। শনিবার শিলিগুড়িতে প্রস্তুতিপর্ব দেখতে এসে পুলিশকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন তাঁরা। তার পরেই কিছুটা চিন্তায় শিলিগুড়ি কমিশনারেটের কর্তারা। কারণ, কমিশনারেটের অধীনে মহিলা পুলিশকর্মী কম, একশোর কিছু বেশি। থানা ছেড়ে সবাইকে খেলার নিরাপত্তার দায়িত্বে পাঠানো যাবে না। চিন্তা তা নিয়েই।
শিলিগুড়ির ডেপুটি পুলিশ কমিশনার ইন্দ্র চক্রবর্তী বলেন, ‘‘উদ্যোক্তারা বিশদে জানালে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ তাঁরা জানান, অন্য জেলা থেকে মহিলা পুলিশ এনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করতে হবে।
ম্যাচের কয়েক দিন আগে ফুটবল দলগুলি শিলিগুড়িতে পৌঁছবে। সেই সময় থেকেই প্রতিটি দলের সঙ্গে মহিলা পুলিশকর্মী নিয়োগ-সহ নিরাপত্তার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রাখতে হবে। ভারত ছাড়াও শ্রীলঙ্কা, নেপাল, মলদ্বীপ, আফগানিস্তান, ভুটান, বাংলাদেশের দল যোগ দেবে এই প্রতিয়োগিতায়। ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে চলবে প্রতিযোগিতা। স্টেডিয়ামের পাশাপাশি হোটেল, অনুশীলনের মাঠে মহিলা পুলিশের নিরাপত্তা রাখতে হবে। এ দিন শিলিগুড়ি মহকুমা ক্রীড়া পরিষদের অফিসে শিলিগুড়ি থানার কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন এআইএফএফ এবং আইএফএ-র প্রতিনিধিরা। তাঁদের তরফে আয়োজক কমিটির সদস্য সুদেষ্ণা মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘পর্যাপ্ত মহিলা পুলিশ রাখার জন্য পুলিশকে জানানো হয়েছে। যথাযথ নিরাপত্তার ব্যবস্থাও করতে বলা হয়েছে।’’
এ দিন শিলিগুড়িতে প্রতিযোগিতার প্রস্তুতিপর্ব দেখতে সুদেষ্ণাদেবী ছাড়াও এসেছিলেন আইএফএ-র সহ-সচিব অমল রাহা, আইএফএ-র মার্কেটিং-এর কর্তা অনির্বাণ দত্ত। মাঠ পরিদর্শনের পাশাপাশি ড্রেসিংরুম এবং অন্য ব্যবস্থা খতিয়ে দেখেন। মহিলা ফুটবলের আন্তর্জাতিক স্তরের ম্যাচের জন্য কিছু খামতির কথাও জানান সুদেষ্ণাদেবী। তার মধ্যে রয়েছে পর্যাপ্ত মাল্টিজিম না থাকায়, অনুশীলনের মাঠ নিয়ে সমস্যা। সাতটি দলের জন্য অন্তত চারটি অনুশীলনের মাঠ রাখা দরকার বলে জানানো হয়েছে। কদমতলা বিএসএফ এবং এসএসবি-র দু’টি মাঠ রয়েছে। আরও দু’টি মাঠ নির্দিষ্ট করার কথা বলা হয়েছে। ড্রেসিংরুমের কিছু সংস্কারের কথাও জানিয়েছেন তাঁরা।
দলের সঙ্গে স্থানীয় টিম ম্যানেজার হিসেবেও মহিলাদের রাখার কথা বলা হয়েছে ক্রীড়া পরিষদকে। জানানো হয়েছে, ভাষা সমস্যা যাতে না হয় সে জন্য স্থানীয় ম্যানেজারদের হিন্দি এবং ইংরেজিতে দক্ষ হওয়া চাই। মেডিক্যাল টিমে মহিলা চিকিৎসকও রাখতে বলা হয়েছে। শিলিগুড়ি মহকুমা ক্রীড়া পরিষদের সচিব অরূপরতন ঘোষ বলেন, ‘‘প্রয়োজন মতো সমস্ত ব্যবস্থাই করা হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy