গৌতম গম্ভীর (বাঁ দিকে) এবং সূর্যকুমার যাদব। — ফাইল চিত্র।
টেস্ট সিরিজ়ের পরেই বাংলাদেশের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজ় খেলতে নামবে ভারত। সেই সিরিজ়ের দল ঘোষণা করে দিল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। দীর্ঘ দিন পরে জাতীয় দলে ডাক পেলেন কেকেআরের স্পিনার বরুণ চক্রবর্তী। এ ছাড়া প্রথম বারের মতো জাতীয় দলে ডাক পেয়েছেন মায়াঙ্ক যাদব।
আগামী দিনে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে ভারত যাঁদের উপর নির্ভরশীল তাঁদের নিয়েই দল গড়া হয়েছে। নজর দেওয়া হয়েছে আগামী প্রজন্মের দিকে। বেছে নেওয়া হয়েছে তরুণ ক্রিকেটারদেরই। সেই মতোই দলে সুযোগ পেয়েছেন রিয়ান পরাগ, হর্ষিত রানা, নীতীশ রেড্ডির মতো আইপিএলে ভাল খেলা ক্রিকেটারেরা।
গুরুত্বপূর্ণ হল বরুণকে নেওয়া। ২০২০ সালে সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে হওয়া আইপিএলে কেকেআরের হয়ে বরুণ ভাল খেলার পর তাঁকে নেওয়া হয়েছিল ২০২১ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দলে। প্রায় প্রতিটি ম্যাচ খেলেও দাগ কাটতে পারেননি বরুণ। মাত্র ছ’টি টি-টোয়েন্টি খেলার পরেই আচমকা হারিয়ে যান জাতীয় দল থেকে।
তবে গত বারের আইপিএলে ভাল খেলেছেন। কেকেআরকে চ্যাম্পিয়ন করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছেন বরুণ। ১৫টি ম্যাচে ২১টি উইকেট নিয়েছেন। ইকনমি রেট আটের আশেপাশে। ফলে খুব খারাপ পারফরম্যান্স নয়। ঘরের মাঠে তাঁর স্পিনের কার্যকারিতার কথা ভেবেই বেছে নেওয়া হয়েছে বরুণকে।
এ ছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ হল মায়াঙ্ক যাদবকে ডাকা। লখনউ সুপার জায়ান্টসের বোলার গত আইপিএলে একটানা দেড়শো কিলোমিটারের উপর বল করে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন। তবে বেশি দিন টানতে পারেননি। চোট পান। সেই চোট সারাতে অনেক দিন ধরেই পড়ে রয়েছেন জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে। প্রতিশ্রুতিমান বোলারকে নিয়ে ‘ধীরে চলো’ নীতি নিয়েছিল বোর্ড। ইদানীং মায়াঙ্ক পুরোদমে বল করছেন। ফিটনেসের ছাড়পত্র পাওয়ার পরেই তাঁকে দলে নেওয়া হয়েছে।
টেস্ট দলের কাউকেই টি-টোয়েন্টিতে নেওয়া হয়নি। শুভমন গিল, যশস্বী জয়সওয়াল, ঋষভ পন্থের মতো সব তরুণ ক্রিকেটারকেই বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে। সম্পূর্ণ নতুন দল বেছে নেওয়া হয়েছে টি-টোয়েন্টির জন্য।
ভারতের দল: সূর্যকুমার যাদব (অধিনায়ক), অভিষেক শর্মা, সঞ্জু স্যামসন, রিঙ্কু সিংহ, হার্দিক পাণ্ড্য, রিয়ান পরাগ, নীতীশ কুমার রেড্ডি, শিবম দুবে, ওয়াশিংটন সুন্দর, রবি বিষ্ণোই, বরুণ চক্রবর্তী, জিতেশ শর্মা, আরশদীপ সিংহ, হর্ষিত রানা এবং মায়াঙ্ক যাদব।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy