নজরে এখন এঁরা।
ওয়েস্ট ইন্ডিজে সিরিজ জিতে ওঠার পরের দিনেই কোচ নিয়ে বৈঠকের তোড়জোর শুরু হয়ে গিয়েছে। ভারতীয় বোর্ডের চিফ এগজিকিউটিভ অফিসার (সিইও) রাহুল জোহরি গিয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজে। আগে থেকেই রয়েছেন ক্রিকেট অপারেশন্স ম্যানেজার এম ভি শ্রীধর। তাঁরা অধিনায়ক বিরাট কোহালির সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন।
আগামী ১০ জুলাই কোহালিদের নতুন কোচ নির্বাচনের জন্য ইন্টারভিউ হবে। ৯ তারিখ আবেদনপত্র পাঠানোর শেষ সময়সীমা। এখনও পর্যন্ত যা পরিস্থিতি, হট ফেভারিট রবি শাস্ত্রী। দৌড়ে আছেন বীরেন্দ্র সহবাগ এবং টম মুডিও। তবে কোহালির সঙ্গে বোর্ডের সিইও বৈঠক করলে কোচ নির্বাচন পর্ব অন্য মাত্রা পেয়ে যেতে পারে। কারণ, বৈঠক হওয়ার অর্থ কোহালিদের কাছ থেকে সরকারি ভাবে বোর্ডও জেনে নিতে চাইল, কাকে তাঁরা কোচ হিসেবে চান।
শুক্রবার ভারতীয় সময় রাতের দিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজে ভোর হচ্ছে। আগের রাতে কোহালি-শামিদের দাপটে ম্যাচ জেতার পরেই কিন্তু ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছিল, বৈঠক হবে শুক্রবারেই। এ-ও শোনা গেল, টিম ফেরত চায় রবি শাস্ত্রীকেই। কোহালিরা ইতিমধ্যেই প্রভাবশালী মহলে সেই ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছেন। এর পরেও সিইও আসা মানে ধরে নেওয়া হচ্ছে, পেশাদারি ভঙ্গিতে টিমের মনোভাব জানতে চাওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: গেইলদের দেশে ভারতের প্রাপ্তি কুলদীপ, ফিরল শামিও
আবার বোর্ডের সিইও রাহুল জোহরির ক্যারিবিয়ান দ্বীপপূঞ্জে উড়ে যাওয়া ক্রিকেট অ্যাডভাইসরি কমিটির সদস্যদের খুশি করবে কি না, তা নিয়ে অবশ্য প্রশ্ন উঠছে। যদি কোহালির মতামতকেই গুরুত্ব দেওয়া হয়, তা হলে সৌরভ-লক্ষ্মণদের নিজেদের পছন্দের কি আর বিশেষ জায়গা থাকবে? আগের বার শাস্ত্রীকে সরিয়ে দিয়েছিলেন সৌরভ-লক্ষ্মণরা। এ বার যদি তাঁকেই আবার তাঁরা ফেরাতে বাধ্য হন, খুব খুশি হবেন কি না, প্রশ্ন থেকেই যায়।
শোনা গেল, নামী প্রাক্তনরা জড়িয়ে রয়েছে দেখেও বোর্ড ঝুঁকি নিতে চাইছে না। আগের বার কোহালিদের বক্তব্য না শুনেই কুম্বলেকে কোচ করে দেওয়া হয়েছিল। বছর ঘুরতে না ঘুরতেই বিপর্যয় ঘটল। কোহালিদের ড্রেসিংরুম সম্প্রীতি রক্ষা করাটা তাই এ বারে প্রাধান্য পাচ্ছে। কোহালিদের কী মত, সেটা জেনে নিয়ে সৌরভদের কমিটিকে বলে দেওয়া হবে। শোনা গেল, সচিন তেন্ডুলকর প্রিয় অনুজ কোহালিকে সমর্থন করে বলতে পারেন, অধিনায়ক এবং দল যা চাইছে সেটাই দেওয়া উচিত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy