সফল: ১০ উইকেট বাংলার শ্রেয়ান চক্রবর্তীর। ফাইল চিত্র
দু’দিনে পড়ল ৩৯টি উইকেট। অনূর্ধ্ব-২৩ কর্নেল সি কে নাইডু ট্রফির ফাইনাল শেষ দু’দিনেই! শেষ পর্যন্ত লড়াই করেও ট্রফি নিয়ে ফেরা হল না বাংলার। পঞ্জাবের কাছে এক উইকেটে হারল তারা। যে লড়াইয়ের খবর শুনে মুগ্ধ সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, ভিভিএস লক্ষ্মণরা। কিন্তু জাতীয় ক্রিকেট ফাইনালে বাইশ গজের এমন বেহাল অবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেল।
প্রথম ইনিংসে বাংলার ১৯১ রানের জবাবে ১৩৩ রানে শেষ হয়ে যায় পঞ্জাব। চারটি করে উইকেট নিয়ে জ্বলে ওঠেন দুই বঙ্গ-স্পিনার আমির গনি ও শ্রেয়ান চক্রবর্তী। কিন্তু পঞ্জাবের বাঁ হাতি স্পিনার হরপ্রীত ব্রার সাত উইকেট নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ৭৬ রানেই শেষ করে দেন বাংলাকে।
১৩৫ রানের লক্ষ্যে নেমে পঞ্জাব ছয় উইকেট হারিয়ে ১২৪ রান তুলে ফেলার পরেই আচমকা ধাক্কা খায় শ্রেয়ান-গনি জুটিতে। স্কোর দাঁড়ায় ১২৪-৯। শ্রেয়ান নেন ছয় উইকেট। গনি তিনটি। তাতেও শেষ রক্ষা হয়নি। শেষে ইকজোট সিংহের ছয় ও একটি লেগ-বাই বাউন্ডারিতে হারে বাংলা।
এই হারের পরেও অবশ্য বঙ্গ শিবির ভেঙে পড়েনি পরপর দু’টি ফোন আসায়। একটি সৌরভের, অন্যটি লক্ষ্মণ। কোচ সৌরাশিস লাহিড়ীর কাছে আসা ফোনে সৌরভ বার্তা দেন, ‘‘হার নিয়ে আফসোস নেই। ছেলেদের লড়াইয়ে গর্বে বুক ফুলে গিয়েছে আমার।’’ অন্য ফোনে লক্ষ্মণ জানান, ‘‘হার-জিত বড় কথা নয়, ছেলেদের লড়াকু মানসিকতা তৈরি হওয়াই সবচেয়ে খুশির খবর।’’
কিন্তু যে পিচে স্পিনাররাই ৩৩টি উইকেট নিলেন, ম্যাচ শেষ হয়ে গেল দু’দিনেই, সেই পিচ নিয়ে ক্ষুব্ধ ক্রিকেট মহল। সৌরাশিস পিচ নিয়ে অভিযোগ করতে চান না। পাটিয়ালা থেকে ফোনে বলেন, ‘‘পিচ নিয়ে অভিযোগ করলে ছেলেদের লড়াইকে ছোট করা হবে।’’ তবে পিচের ব্যাখ্যা চেয়ে ভারতীয় বোর্ডকে চিঠি পাঠানোর ভাবনা চলছে সিএবি-তে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy