—ফাইল চিত্র।
ম্যাঞ্চেস্টার ডার্বিতে পেপ বনাম জোসে লড়াই নিয়ে আগ্রহের মধ্যেই খেতাবের আরও কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে চেলসি। মঙ্গলবার রাতে তারা সাউদাম্পটনকে ৪-২ হারিয়ে অন্য দাবিদার টটেনহ্যামের চেয়ে সাত পয়েন্ট এগিয়ে গিয়েছে।
আর সাউদাম্পটনকে হারানোর সঙ্গে সঙ্গে কথার যুদ্ধেও টটেনহ্যামের উপর চাপ বাড়াতে শুরু করে দিয়েছেন চেলসির ফুটবলাররা। ‘ব্লুজ’-দের দুই গোল স্কোরার এডেন অ্যাজার ও গ্যারি ক্যাহিল বলে দিয়েছেন, টটেনহ্যাম এখন চাপটা টের পাবে। ‘‘ওদের উপর চাপ তৈরি করতে পেরে ভাল লাগছে,’’ বলে দিয়েছেন অ্যাজার। তাঁর সঙ্গে সুর মিলিয়ে ক্যাহিল বলেছেন, ‘‘টটেনহ্যামের চেয়ে আগে খেললাম এই পর্বের ম্যাচটা। অনেক দিন পর এই সুবিধেটা পেয়েছি আমরা। এই জয় খেতাবের দৌড়ে বিশাল একটা পদক্ষেপ হয়ে থাকবে।’’
মঙ্গলবার বেশি রাতের ম্যাচে পঞ্চম মিনিটেই অ্যাজার নীচু শটে গোল করে এগিয়ে দেন চেলসিকে। কিন্তু সাউদাম্পটনের রোমু গোল শোধ করে দেন। হাফ টাইমের ঠিক আগে গোল করে চেলসিকে ফের এগিয়ে দেন ক্যাহিল। হাফটাইমের পর দিয়েগো কোস্তার জোড়া গোল তাদের জয় নিশ্চিত করে দেয়। চেলসির হয়ে পঞ্চাশ গোল করে ফেলার নজিরও গড়লেন কোস্তা। নীল জার্সিতে তাঁর গোল সংখ্যা এখন ৫১। স্টপেজ টাইমে সাউদাম্পটনের হয়ে দ্বিতীয় গোলটি করেন রায়ান বারট্রান্ড। চেলসি ম্যানেজার আন্তোনিও কন্তে বলেন, ‘‘আমরা একটা বড় ধাপ পেরিয়ে যেতে পারলাম। মনস্তাত্ত্বিক দিক থেকে এই ম্যাচটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। বিশেষ করে ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের কাছে ম্যাচটা হারার পর ঘুরে দাঁড়িয়ে এই জয়টা খুবই দরকার ছিল।’’
গত চারটি লিগ ম্যাচের দু’টিতে হেরেছে চেলসি। সম্ভবত সেই কারণেই বেশি চাপে ছিলেন কন্তে। বলেও ফেলছেন, ‘‘আমরা ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের কাছে হেরে তিন পয়েন্ট হারালাম। তার পরেই টটেনহ্যামের সঙ্গে খেলতে হল। তার পর এখানে আর একটা কঠিন ম্যাচ। মানসিক দিক থেকে বিরাট এক লড়াই পাশ করেছি আমরা। গত কয়েক দিন ধরে উদ্বেগের মধ্যে স্বস্তি ফিরে পেয়েছেন চেলসি সমর্থকেরা। এফ এ কাপে টটেনহ্যামকে হারানোর পর প্রিমিয়ার লিগে সাউদাম্পটনের বিরুদ্ধে জয়।
কন্তের কাছেও এটা ফিরে আসার লড়াই ছিল। কারণ, ম্যান ইউয়ের কাছে হারের পর অনেকেই বলে দিয়েছিলেন, মোরিনহোর কাছে তাঁর ট্যাকটিক্যাল হার হল। মঙ্গলবার রাতে জেতার পর চেলসি ম্যানেজার কন্তে এখন ফের সুবিধেজনক অবস্থায় চলে গেলেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy