প্রস্তুতি: রাশিয়ার বিরুদ্ধে ফ্রেন্ডলিতে আজ নামছে ব্রাজিল। তার আগে হেডিং অনুশীলনে উইলিয়ান। বৃহস্পতিবার মস্কোয়। এএফপি
এক দিকে বরফে ঢাকা প্রকৃতি। অন্য দিকে নেমারহীন ব্রাজিল ফুটবল দল। রাশিয়া বিশ্বকাপের প্রস্তুতিতে নামার আগে ব্রাজিলের সামনে চ্যালেঞ্জটা কিন্তু বেশ কঠিনই লাগছে।
এই গ্রহের সব চেয়ে দামি ফুটবলার রয়ে গিয়েছেন ব্রাজিলে। পুরোপুরি সুস্থ না হয়েও যাঁকে দেখা গিয়েছে বোনের জন্মদিনের পার্টিতে। সেই নেমার দ্য সিলভা স্যান্টোস (জুনিয়র)-কে ছাড়াই ব্রাজিল তৈরি হচ্ছে আজ, শুক্রবার রাশিয়ার বিরুদ্ধে ফিফা ফ্রেন্ডলি-তে নামতে। খেলা সেই লুঝনিকি স্টেডিয়ামে, যেখানে ১৫ জুলাই ফয়সালা হয়ে যাবে আগামী চার বছরের জন্য বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন কারা হবে।
ব্রাজিল কোচ তিতে-র সামনে একটা বড় চ্যালেঞ্জ হল, নেমার ছাড়া দলকে তৈরি করা। চার বছর আগে সেই বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে নেমার খেলতে পারেননি চোটের জন্য। আর সাত গোলে বিধ্বস্ত হয়ে বিদায় নিতে হয়েছিল ব্রাজিল-কে। এ বার তাই হয়তো তিতে বলছেন, ‘‘নেমার সম্পূর্ণ অন্য ধরনের ফুটবলার। বিশ্বের সেরা তিন ফুটবলারের মধ্যে ওর নাম আসবে। কিন্তু একটা শক্তিশালী দল কখনও এক জন ফুটবলারের ওপর নির্ভর করে থাকে না।’’
নেমার না থাকায় বাঁ দিকের উইংয়ে তিতে খেলাতে চাইছেন জুভেন্তাসের ফর্মে থাকা ফুটবলার ডগলাস কোস্তা-কে। ২৭ বছর বয়সি এই ফুটবলার ব্রাজিলের জার্সিতে ২২ ম্যাচে তিন গোল করেছেন। নেমারের পরিবর্ত ফুটবলার হিসেবে নামার চ্যালেঞ্জটা অবশ্য কোস্তা ভালই উপভোগ করছেন। বৃহস্পতিবার মস্কোয় তিনি বলেছেন, ‘‘নেমারের বিকল্প হতে পারা খুবই কঠিন কাজ। তবে আমরা নিশ্চয়ই চেষ্টা করব সমস্যাটা কাটিয়ে উঠতে। আমাদের দলে কিন্তু অনেক দক্ষ ফুটবলার আছে।’’ তিনি আরও যোগ করেন, ‘‘নেমার না থাকায় কিন্তু কারও কারও সামনে সুযোগ থাকবে নিজেকে তুলে ধরার। এটাও একটা ভাল দিক।’’
কোস্তার সঙ্গে সামনে খেলতে পারেন উইলিয়ান এবং গ্যাব্রিয়েল জেসুস। নেমার না খেললেও ব্রাজিল দলে প্রতিভার অভাব নেই। যার জেরে রিয়াল মাদ্রিদের মিডফিল্ডার ক্যাসেমিরো-কেও হয়তো বাইরে বসে থাকতে হবে। যা নিয়ে তিনি বলেছেন, ‘‘সত্যি কথা বলতে কী, আমার জায়গায় কেউ খেলুক, এটা আমি একদমই চাই না। আমি দেশের হয়ে খেলতে চাই। সব ম্যাচে খেলতে চাই। আমি যে ভাল ফর্মে আছি, সেটা ট্রেনিংয়েও বুঝিয়ে দিতে চাই।’’
নেমার ছাড়া তিতের যদি আর কিছু নিয়ে চিন্তা থাকে, তা হলে সেটা হল দলের ডিফেন্স। রিয়াল মাদ্রিদের লেফট ব্যাক মার্সেলো যদি কোনও কারণে খেলতে না পারেন, তা হলে কিন্তু তাঁর সমস্যা হয়ে যেতে পারে। অন্য ডিফেন্ডার ফিলিপে লুইস চোট পেয়ে বাইরে। এমনকী তৃতীয় বাছাই জুভেন্তাসের আলেক্স সান্দ্রোও প্র্যাক্টিসে চোট পেয়ে গিয়েছেন। ফলে এই জায়গাটা নিয়ে একটা সমস্যা থেকেই যাচ্ছে তিতের।
একই সঙ্গে রয়েছে মস্কোর আবহাওয়া। মাইনাস ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে যেতে পারে তাপমাত্রা। এত সব সমস্যা সত্ত্বেও আত্মবিশ্বাসী তিতে। বলছেন, ‘‘আমরা সেই স্টেডিয়ামে খেলছি, যেখানে বিশ্বকাপ ফাইনাল হবে। আমরা একটা ইচ্ছে নিয়েই কাল খেলার পরে মাঠ ছাড়ব। যেন ১৫ জুলাই আবার এই মাঠে খেলতে পারি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy