খেলা চলছে। নিজস্ব চিত্র
রিষড়ার মডার্ন চেজ অ্যাকাডেমির উদ্যোগে ২০তম ‘সারা বাংলা র্যাপিড দাবা’ প্রতিযোগিতা হয়ে গেল। গত শনি ও রবিবার শ্রীরামপুরের বটতলার কাছে একটি ভবনে ওই প্রতিযোগিতা হয়। মোট প্রতিযোগীর সংখ্যা ছিল ২৬৩ জন।
উদ্যোক্তাদের তরফে রুদ্রাণীচরণ চট্টোপাধ্যায় জানান, হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পরে সার্বিক চ্যাম্পিয়ন হন দেবর্ষি মুখোপাধ্যায়। ৮ পয়েন্টের মধ্যে কলকাতার এই দাবাড়ুর সংগ্রহ ৭.৫ পয়েন্ট। ট্রফি ছাড়াও তাঁকে দেওয়া হয় নগদ সাত হাজার টাকা। তাঁর থেকে আধ পয়েন্ট কম পেয়ে রানার্স হন কলকাতার অম্বরীশ শর্মা। তিনি পান ট্রফি এবং নগদ ছ’হাজার টাকা। অম্বরীশের সমান পয়েন্ট পেলেও তৃতীয় হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় কলকাতারই প্রলয় সাহুকে। নগদ ৫০০০ টাকা এবং ট্রফি দেওয়া হয়।
প্রতিযোগিতার সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় ছিল শ্রীরামপুরের পাঁচ বছর বয়সী সারণ্য বন্দ্যোপাধ্যায়। সব থেকে বেশি বয়সের খেলোয়াড় ছিলেন— কলকাতার ৮৭ বছর বয়সী মধুসূদন মুখোপাধ্যায়। ৬ পয়েন্ট পেয়ে বর্ষীয়ানদের মধ্যে সেরা কলকাতার রাজকুমার শর্মা। প্রতিযোগিতার একমাত্র দৃষ্টিহীন দাবাড়ু, উত্তরপাড়ার যুধাজিৎ দে’কে বিশেষ পুরস্কার দেওয়া হয়। তিনি ৫ পয়েন্ট পান।
অনূর্ধ্ব-৬ ছেলেদের বিভাগে সেরা হয় নীলাদ্রি বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই বিভাগে মেয়েদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন সৃজিতা দাস। অনূর্ধ্ব-৮ বিভাগে ছেলে এবং মেয়েদের বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে যথাক্রমে ঋদ্ধিশ চক্রবর্তী ও প্রিয়াঞ্জলি সাহা। ঋতঞ্জয় মণ্ডল অনূর্ধ্ব-১০ বিভাগে ছেলেদের মধ্যে সেরা। মেয়েদের সেরা সমৃদ্ধা মুখোপাধ্যায়। অনূর্ধ্ব-১২ বিভাগে অনিশা ঘোষ মেয়েদের মধ্যে সেরা। ছেলেদের চ্যাম্পিয়ন সায়ন দাস। অনূর্ধ্ব-১৪ বিভাগে ছেলেদের বিভাগে চ্যাম্পিয়ন অভিশঙ্খ দাস। ওই বয়সের মেয়েদের বিভাগে সেরা হয়েছে অদ্রিজা পারিয়া।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy