চেনা মেজাজে মেসি।
কিক অফ হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘটে গেল ঘটনাটা। ঘাপটি মেরে থাকা কালো বেড়ালটা আচমকাই ঢুকে পড়ল ন্যু কাম্পে। তার পর মাঠে দে ছুট, দে ছুট। লা লিগার প্রথম ম্যাচ, তার গোড়াতেই কিনা কালো বেড়াল পথ কেটে দিল বার্সেলোনার! গত বারের মতো এ বারও কি ট্রফিহীন যাবে? আশঙ্কা ছিল বার্সা সমর্থকদের।
নিরাপত্তা কর্মীদের তৎপরতায় বেড়াল মাঠ থেকে দূর হল। হয়তো বিখ্যাত স্প্যানিশ ক্লাবের গত মরসুম থেকে চলা মন্দভাগ্যটাও তার সঙ্গে বিদায় নিল। না হলে এলচের বিরুদ্ধে মাসচেরানো লালকার্ড দেখায় প্রথমার্ধেই ১০ জন হয়ে যাওয়া বার্সেলোনা লিও মেসির জোড়া গোলের দাপটে ৩-০ জয় পায়! হোক না বিপক্ষের নাম এলচে। যারা কিনা গত বার ১৬ নম্বরে লিগ শেষ করেছিল। বার্সার সমস্যাও তো কম ছিল না। ফাব্রেগাস, সাঞ্চেজ, ক্রিশ্চিয়ান টোলো, ভিক্টর ভালদেসের মতো অভিজ্ঞ প্লেয়ার এ বার অন্য ক্লাবে। তার উপর নেইমারের চোট, সুয়ারেজ এখনও শাস্তিমুক্ত নন, ফরোয়ার্ডে ভরসা বলতে শুধু মেসি।
এই অবস্থায় কোচ হিসেবে প্রথম ম্যাচে লুই এনরিকেকে উতরে দিলেন যুব অ্যাকাডেমির প্লেয়াররা। প্রাক্তন বার্সা মিডফিল্ডারে কাছে যুব অ্যাকাডেমির প্লেয়ারদের উপর ভরসা করা ছাড়া উপায় ছিল না। প্রথম দলেই লা মাসিয়া অ্যাকাডেমির ছয় ফুটবলার নামিয়েছিলেন এনরিকে। তাঁরা কোচের ভরসা রাখতে সফল। বিশেষ করে মুনির আল হাদাদি। ১৮ বছরের স্ট্রাইকার সিনিয়র টিমে ঘরের মাঠে অভিষেকে গোল তো পেলেনই সঙ্গে সমর্থকদের মনও জয় করে নেন।
ন্যু কাম্পের সেই বেড়াল।
মেসি, মুনির আর রাফিনাকে সামনে রেখে দল সাজিয়েছিলেন এনরিকে। প্রথমার্ধেই মুনির আর ইনিয়েস্তার শট পোস্টে লাগে। বার্সাকে প্রথম এগিয়ে দেন মেসিই। ছয় ডিফেন্ডারের মধ্যে থেকে নিখুঁত প্লেসিংয়ে। বিরতির পর ফের বক্সের মাথা থেকে ব্যবধান বাড়ান বার্সার রাজপুত্র। এই নিয়ে পরপর চার মরসুম মরসুমের প্রথম ম্যাচে জোড়া গোল করলেন মেসি। যাতে আর্জেন্তিনীয় তারকা যেন ইঙ্গিত দিয়ে দিলেন বিশ্বকাপ ফাইনালের হতাশা এখন অতীত, তিনি এ মরসুমে সেই ভয়ঙ্কর গোলের খিদেটা নিয়েই নামছেন।
ছবি: এএফপি
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy