একটা টিম গত বারের চ্যাম্পিয়ন। কিন্তু এ বার রঞ্জি ট্রফির প্রথম ম্যাচেই প্রায় মুখ থুব়ড়ে পড়তে হয়েছে অসমের মতো দুর্বল বিপক্ষের সামনে। তাদের লক্ষ্য এটা প্রমাণ করা যে, তারকাখচিত টিম এ বারও চ্যাম্পিয়ন হওয়ার ক্ষমতা রাখে।
অন্য টিম মরসুম শুরুর আগেই নানা বিতর্কে বিধ্বস্ত। কোচ বাছাই নিয়ে দিনের পর দিন নাটক। শ্রীলঙ্কায় প্রস্তুতি সফরে গিয়ে চূড়ান্ত ব্যর্থতা। তার উপর সিনিয়রের সঙ্গে সিনিয়রের লেগে যাওয়া। বিতর্ক শেষে নতুন অধিনায়ক নির্বাচন। টিমের সামনে চ্যালেঞ্জ— প্রমাণ করা যে তাদের ঘর গোছানো শেষ। যাবতীয় ভাঙাগড়ার শেষে তারা এখন সম্পূর্ণ একটা ইউনিট।
কর্নাটক বনাম বাংলা। গত বারের রঞ্জি চ্যাম্পিয়ন বনাম গত বছর প্রায় অবনমনের খাদে পড়ে যাওয়া টিম। যে দুইয়ের যুদ্ধ শুরু আজ থেকে, বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে। যে যুদ্ধের চব্বিশ আগে দুই অধিনায়কের শরীরী ভাষা দেখলে অবশ্য কর্নাটকী ক্রিকেট ভক্তদেরই বেশি স্বস্তিতে থাকার কথা। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, বাংলার নতুন ক্যাপ্টেন মনোজ তিওয়ারিকে এ দিন কিছুটা হলেও চিন্তিত দেখিয়েছে। অন্য দিকে কর্নাটক অধিনায়ক বিনয় কুমার ছিলেন চ্যাম্পিয়নের মেজাজে। দু’জনের কথাতেও ধরা পড়ল সেটা।
ম্যাচ শুরুর চব্বিশ ঘণ্টা আগে মনোজ যেমন বলে দিলেন, গত বার শোচনীয় বোলিং পারফরম্যান্স সত্ত্বেও দলগত ভাবে ভাল ব্যাট করাটাই এ বছর তাঁদের মূল লক্ষ্য। ‘‘আমাদের কাছে ব্যাটিংটা সব সময় বেশি চিন্তার ব্যাপার। তবে ভিভিএস লক্ষ্মণ এ বার সবার সঙ্গে প্রচুর খেটেছেন। মনে হয় তফাতটা বোঝা যাবে,’’ বলে দিচ্ছেন মনোজ। ও দিকে অসম ম্যাচে মাত্র ১ পয়েন্ট পেয়েও চূড়ান্ত আত্মবিশ্বাসী বিনয় কুমার বলেছেন, ‘‘এ রকম তো হয়ই। গত বারও হয়েছিল। তার পরও তো আমরা ট্রফি জিতেছি।’’
বিনয়, রবিন উথাপ্পাদের কর্নাটক প্রায় গ্রিন টপই তৈরি রেখেছে বাংলার জন্য। যে পিচে বাংলার হয়ে অভিষেক ঘটাতে চলেছেন প্রজ্ঞান ওঝা। পেস বিভাগে অশোক দিন্দা, বীরপ্রতাপ সিংহের সঙ্গে থাকতে পারেন সৌরভ সরকার। তবে টিম সূত্রের খবর, চিন্নাস্বামীর পিচে পরের দিকে লো বাউন্স থাকে। সে ক্ষেত্রে দুই স্পিনারও খেলানো যেতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy