বিসিসিআই। ছবি: পিটিআই।
বিশ্ব ডোপিং বিরোধী সংস্থা ওয়াডার সব নিয়ম মানতে গিয়ে তারা ভারতীয় ডোপিং বিরোধী সংস্থা নাডার কর্মপদ্ধতি ও আধিকারিকদের মেনে নিতে রাজি নয় ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। সোমবার আইসিসি-র চেয়ারম্যান শশাঙ্ক মনোহরকে সোমবার এ কথাই স্পষ্ট জানিয়ে দেবেন বোর্ডের কর্তারা।
নাডার কাজকর্মে অতীতে কী কী ভুলভ্রান্তি দেখা গিয়েছে, তার তালিকা ও প্রতিটি ঘটনার একটি বিবরণ প্রস্তুত করেছে বোর্ড। সোমবার মুম্বইয়ে মনোহরকে এই বিবরণ পেশ করবেন তাঁরা। নাডার কর্মপ্রক্রিয়া ও তাদের আধিকারিকদের নিয়ে কেন আপত্তি বোর্ডের, তা বোঝাতেই এই বিবরণ প্রস্তুত করেছেন তাঁরা। রবিবার বোর্ডের এক ওয়াকিবহাল কর্তা সংবাদ সংস্থাকে জানান, ‘‘আমরা ওয়াডার বেশির ভাগ নিয়ম মেনেই কাজ করি। ক্রিকেটারদের ডোপ পরীক্ষা করা হয়। দেশের ক্রিকেটারদের আগাম গতিবিধির তথ্যও দেওয়া হয় ওয়াডাকে। ক্রিকেটারদের ‘বায়োলজিক্যাল পাসপোর্ট’ তৈরির কাজও শুরু করে দিয়েছি আমরা।’’ কিন্তু জাতীয় ডোপিং বিরোধী সংস্থার মাধ্যমে তাদের কাছে পৌঁছনোর যে নিয়ম রয়েছে ওয়াডার, সেই নিয়ম মানতে আপত্তি রয়েছে বোর্ডের। কেন নাডার কর্মপদ্ধতি ও আধিকারিকদের উপর একেবারেই আস্থা নেই, তা বোঝাতেই ওই বিবরণ পেশ করা হবে বলে শোনা যাচ্ছে। ভারতে ২০২১-এর বিশ্ব টি-টোয়েন্টি ও ২০২৩ বিশ্বকাপ ক্রিকেট আয়োজনের জন্য আইসিসি কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে দেড়শো কোটি টাকার করছাড় চাইলেও দেশের কর সংক্রান্ত আইন অনুযায়ী তা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে বোর্ড। কিন্তু এই সমস্যার সমাধানসূত্র রয়েছে বোর্ডের কাছে। সেটাই সোমবারের বৈঠকে মনোহরকে জানাবেন বোর্ড কর্তারা। স্পনসর ও টিভি সম্প্রচারকারী সংস্থা এই করের অঙ্ক মিটিয়ে দিতে রাজি বলে শোনা যাচ্ছে। তাতে আইসিসি রাজি থাকলে এই সমস্যা মিটতে পারে। তবে এই দুই প্রতিযোগিতায় আইসিসি-কে ম্যাচ আয়োজনের জন্য বরাদ্দ অর্থের অঙ্ক বাড়াতে অনুরোধ করবে বোর্ড। ম্যাচপ্রতি ১.৩৭ কোটি টাকা থেকে তা বাড়িয়ে ২.৪১ কোটি টাকা করার অনুরোধ জানানো হবে। পাকিস্তান প্রসঙ্গ উঠলেও সেই ব্যাপারে মনোহর কতটা আগ্রহ দেখাবেন, সেটাই প্রশ্ন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy