হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বৃহস্পতিবার রাতে কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড প্রেসিডেন্ট জগমোহন ডালমিয়া। রাতেই তাঁর অ্যাঞ্জিওগ্রাম করা হয়। বিশিষ্ট হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অনিল মিশ্র জানিয়েছেন, ডালমিয়ার বাঁ-দিকের ধমনীতে একাধিক ক্লট অর্থাৎ রক্ত জমাট বেঁধেছিল। সেগুলি সরানো গিয়েছে। সিএবি প্রধানের অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল। তবে তাঁকে অন্তত তিন থেকে চার দিন পর্যবেক্ষণে রাখা হবে।
জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত পঁচাত্তর বছর বয়সি ডালমিয়া নিজের অফিসে ছিলেন। এ দিন দুপুরে তিনি একটি বৈঠক করেন। যেখানে নরম পানীয় পান করার পর থেকে কাশি শুরু হয়েছিল। অস্বাভাবিক রকমের ঘামও হচ্ছিল। অসুস্থ বোধ করায় সেই সময় সব কাজ বন্ধ রেখে সামান্য বিশ্রামও নেন ডালমিয়া। কিন্তু অস্বস্তি না কমায় সন্ধ্যায় বাড়ি চলে যান। বাড়িতে ফিরে অসুস্থতা বাড়তে থাকে। কয়েক বার বমিও হয়। তাঁকে সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। রাত ন’টা নাগাদ ভর্তি করা হয় তাঁকে।
রাতে চিকিৎসকেরা জানান, হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার সময় তাঁর শরীরের রক্তচাপ ও নাড়ির স্পন্দন স্বাভাবিক ছিল। প্রথমে অ্যাঞ্জিওগ্রাম করে ক্লট দেখতে পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে তা সরানোর সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকরা। রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ ক্লট সরানোর কাজ সম্পূর্ণ হয়।
সিএবি প্রধানের শারীরিক অবস্থার কথা জানার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের দুই মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস ও ফিরহাদ হাকিমকে হাসপাতালে পাঠান। অ্যাঞ্জিওগ্রাম হয়ে যাওয়ার পর রাত এগারোটা চল্লিশ মিনিটে ফের নিজে টেলিফোন করে ডালমিয়া-পুত্র অভিষেকের কাছে খোঁজখবর নেন। অভিষেক মুখ্যমন্ত্রীকে বলেন, ‘‘বাবার একটা ক্লট পাওয়া গিয়েছিল। সেটা সরানো হয়েছে। দুশ্চিন্তার কারণ নেই।’’
খবর পেয়ে হাসপাতালে চলে আসেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ও। পরে সৌরভ বলেন, ‘‘ডালমিয়ার পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে মনে হয়েছে, ওঁর অবস্থা স্থিতিশীল।’’ হাসপাতালে ছিলেন বাংলার প্রাক্তন অধিনায়ক দীপ দাশগুপ্ত ও সিএবি-র নানা কর্তা।
বেশ কিছু দিন ধরেই ভাল রকম শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন বোর্ড তথা সিএবি প্রেসিডেন্ট। সিএবিতে আসা কমিয়ে দিয়েছিলেন। গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক থাকলে তাঁকে দেখা যেত। রাতে ডালমিয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ার পর বোর্ড থেকে ক্রিকেটমহল, সর্বত্র উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ে। প্রসঙ্গত, এ বছরই বোর্ড প্রেসিডেন্ট হিসেবে পুনর্নিবাচিত হয়েছিলেন ভারতীয় ক্রিকেটের এই দুঁদে ক্রিকেট প্রশাসক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy