মার্চে রঞ্জি দলের ক্যাপ্টেনদের সভায় তিনিই প্রথম দাবি তুলেছিলেন, এ দেশে স্পিনারদের বাঁচতে দেওয়া হোক। বেশিরভাগ মাঠেই সবুজ, ঘাসে ভরা উইকেট বানিয়ে যাতে বেদী, প্রসন্ন, বেঙ্কটের দেশে স্পিনারদের জীবন অতিষ্ঠ করে তোলা না হয়, সেই আবেদন সে দিন জানিয়েছিলেন হরভজন সিংহ। চেয়ারম্যানের আসনে বসে তা শুনেছিলেন দেশের আর এক কিংবদন্তি স্পিনার অনিল কুম্বলে।
অবশেষে হরভজনের সেই দাবি মেনে বোর্ড কিউরেটরদের জানিয়ে দিল, আসন্ন মরসুমে ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের জন্য উইকেট তৈরির সময় যেন বাউন্সের উপর জোর দেওয়া হয়। বিশেষজ্ঞরা যার মানে করছেন, দেশের মাঠে ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে লড়াইটা শুধু ব্যাটসম্যান বনাম পেসার নয়, ব্যাটসম্যান বনাম স্পিনারও হতে চলেছে। স্পিনাররাও ফের কিছু করে দেখানোর সুযোগ পাবেন। গত সপ্তাহে মুম্বইয়ে সারা দেশের কিউরেটরদের সেমিনারে ঠিক কী নির্দেশ দেওয়া হয়েছে? পূর্বাঞ্চলের প্রধান কিউরেটর ত্রিপুরার আশিস ভৌমিক বলছেন, ‘‘এ বার থেকে উইকেট তৈরির সময় কিউরেটরদের বাউন্সের উপর ‘ফোকাস’ করতে বলা হয়েছে। প্রতি উইকেটে যথেষ্ট বাউন্স থাকা চাই, এমনই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সবাইকে। উইকেটে বাউন্স থাকলে সাধারণত স্পিনাররা সুবিধা পেয়ে থাকে। বিশেষ করে চার দিনের ম্যাচের শেষ দিকে। যা ঘাসের উইকেটে পাওয়া সম্ভব নয়।’’ প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক ও সিএবি যুগ্মসচিব সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় বোর্ডের এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত। বললেন, ‘‘খুব ইতিবাচক সিদ্ধান্ত। এতে স্পিনাররাও সাহায্য পাবে। ভারতীয় ক্রিকেটেরও এতে ভাল হবে। সিএবি-র ষোলোটা মাঠে এ ধরনের উইকেট বানাব বলে ঠিক করেছি।’’
হরভজন অবশ্য এই ব্যাপারে নীরব। নিয়ম অনুযায়ী, সদ্য টেস্ট খেলে দেশে ফিরেছেন বলে বোর্ডের কোনও সিদ্ধান্ত নিয়ে কথা বলতে পারবেন না। যোগাযোগ করা হলে সে রকমই জানালেন। মার্চের সভায় বাংলার প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন যিনি, সেই অভিজ্ঞ স্পিনার সৌরাশিস লাহিড়ী খবরটা শুনে বেশ উৎসাহিত। বললেন, ‘‘স্পিনারদের কাছে এর চেয়ে ভাল খবর আর কী হতে পারে? এর কৃতিত্ব হরভজনের। মার্চের কনক্লেভে ও ব্যাপারটা অত জোর দিয়ে না বললে বোধহয় বোর্ড এই সিদ্ধান্ত নিত না। আমরা যে ক’জন স্পিনার ওখানে ছিলাম, আমি কর্ণ শর্মা, আমরা তো ওকে সমর্থন করেছিলামই, এমনকী ব্যাটসম্যানরাও করেছিল।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy