গোলের পর নেইমারের লাফ। ছবি: এপি।
বার্সেলোনা ৩ (সুয়ারেজ, নেইমার, মেসি)
অ্যাথলেটিক ক্লাব ১ (সাবোরিত)
মোট গোল: ৪-৩
এমএসএন জ্বলে উঠতেই বাজিমাত বার্সেলোনার। দুই লেগ মিলে ৪-৩এ বার্সেলোনা জিতে পৌঁছে গেল কোপা দেল রে-র কোয়ার্টার ফাইনালে। শেষ বেলায় বাঁচালেন সেই মেসিই। শুরুটা করেছিলেন সুয়ারেজ, মাঝে ধরলেন নেইমার, শেষ করলেন মেসি। না হলে ৩-৩ এ আটকে থাকা বার্সেলোনাকে সমস্যায় পড়তে হত। প্রথম লেগে ঘরের মাঠে ২-১এ জিতেছিল অ্যাথলেটিক ক্লাব। সেদিনও বার্সেলোনার একমাত্র গোলটি করেছিলেন লিওনেল মেসি। এদিনও বাঁচালেন তিনিই। শুরু থেকেই ম্যাচের উত্তেজনা ছিল তুঙ্গে। ম্যাচ শুরুর ৩৫ মিনিটের মধ্যে গোল করে ক্যাম্প ন্যুতে বার্সাকে এগিয়ে দিয়েছিলেন লুই সুয়ারেজ। বার্সার তিন মূর্তির কৃতিত্বেই গোলের মুখ খুলে যায় শুরুতেই। প্রথমার্ধ শেষ হয় ১-০ গোলেই।
বার্সেলোনা শিবিরে জয়ের উল্লাস। বুধবার ক্যাম্প ন্যুতে। ছবি:এপি।
দ্বিতীয়ার্ধ শুরুর তিন মিনিটের মধ্যেই পেনাল্টি আদায় করেন নেন নেইমার। ৪৮ মিনিটে সেই পেনাল্টি থেকে গোল করতে ভুল করেননি নেইমার। ২-০ গোলে এগিয়ে গিয়ে যখনই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন তখনই সেই সুযোগে বার্সেলোনার জালে বল জড়িয়ে সাময়িক থমকে দেন। অ্যাথলেটি ক্লাবের সাবোরিত টেক্সিদোর। ৫১ মিনিটে ফিরে আসে প্রথম লেগের ফল। সে বার ছিল অ্যাথলেটি ক্লাবের আর এ বারটা তখনও পর্যন্ত বার্সেলোনার হলেও মোট গোল গিয়ে আটকে যায় ৩-৩এ। সেটা ভাঙতে বার্সেলোনার লেগে যায় ৭৮ মিনিট। সেই মেসি, সেই চেনা ফ্রি কিক। অ্যাথলেটিক ওয়ালের উপর দিয়ে সেই ফ্রিকিক চলে যায় গোলে। এখান থেকে আর ফিরতে পারেনি অ্যাথলেটিক ক্লাব।
আরও খবর: বিশ্বকাপ ফুটবলে টিম বেড়ে হবে ৪৮
কোপা দেল রে-র কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছনো ছাড়াও এই ম্যাচ থেকে ছিল অনেক প্রাপ্তি। তিনমূর্তির বার্সেলোনার হয়ে যৌথ গোল হয়ে গেল ৩০০। ২০১৪ থেকে আজ পর্যন্ত। সুয়ারেজ একাই লিখে নিলেন ১০০। নেইমার ফিরলেন গোলে। দেখা গেল মেসির সেই চেনা ফ্রি কিক। সব মিলে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই শেষে জয় হল ফুটবলের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy