অনুর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ নিয়ে পুরো দেশে বিশেষ কোনও প্রচার নেই। কিন্তু তাতে দেশের ছোটদের ঘিরে উচ্ছ্বাসের যে অভাব নেই তার প্রমাণ পাওয়া গেল প্রথম ম্যাচেই। বাইরে থেকে দেখলে বোঝা মুশকিল স্টেডিয়ামের ভেতরে চলছে বিশ্বকাপের ম্যাচ। কিন্তু স্টেডিয়ামে ঢুকলেই পরিবেশটাই বদলে যাচ্ছে। ভর্তি গ্যালারিতে তখন নিজের দেশের হয়ে চলছে জয়ধ্বনী। অচেনা অজানা অনুর্ধ্ব-১৯ দলের ক্রিকেটারও রাতারাতি হয়ে গিয়েছেন হিরো। তাঁদের ঘিরে প্রত্যাশার পারদ ক্রমশ উর্ধ্বমুখী। অনুশীলন ম্যাচে সব বড় দলকে পর পর হারিয়েই বিশ্বকাপের আসরে নেমেছে ব্যাঘ্র বাহিনী। প্রথম ম্যাচ জিতেও নিয়েছেন তাঁরা। এখনও অনুর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে খুব ভাল করতে পারেনি বাংলাদেশ। ২০০৬ সালে সাকিব, তামিমদের নিয়ে গড়া যুব দল শ্রীলঙ্কা থেকে পঞ্চম হয়ে ফিরেছিল দল। এবার সেই ফলকে ছাপিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য নতুদের সামনে। কোচ মেহেদী হাসান মিরাজের সামনে তাই এখন অন্য পরীক্ষা। একঝাঁক তরুণকে নিয়ে দেশের মাটিতে দেশের হয়ে ক্রিকেটকে সাফল্য এনে দেওয়া।
প্রথম ম্যাচ জিতে দেশের মানুষদের প্রত্যাশা আরও বাড়িয়ে দিয়েছেন টিম বাংলাদেশ। পুরো দল পাশে পেয়েছে সিনিয়র দলের প্লেয়ারদেরও। সিনিয়র দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মোর্তাজার সঙ্গে অনেকটা সময় কাটিয়ে যুব দল জানতে পেরেছে দেশের হয়ে বিশ্বকাপে খেলাটা কতটা গর্বের। সঙ্গে রয়েছে চাপও। মাশরাফি তাই ভাইদের সাবধান করে দিয়েছেন। নিজের অভিজ্ঞতার কথা শুনিয়ে বলেছেন, ‘‘এটাই তোমাদের জন্য এগিয়ে যাওয়ার মঞ্চ। বাস্তবের মাটিতে পা রেখে, খেলাটা উপভোগ করো। একদিন সিনিয়র জাতীয় দলের জার্সির স্বপ্নটাই তোমাদের এগিয়ে নিয়ে যাবে।’’ ৩১ জানুয়ারি স্কটল্যান্ডের বিরুদ্ধে বিশ্বকাপের দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে নামবে বাংলাদেশ।
আরও খবর: দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে যাত্রা শুরু করল বাংলাদেশ যুব দল
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy