Advertisement
০৪ নভেম্বর ২০২৪

ওয়ার্নারকে পাল্টে দিয়েছে নির্বাসন, মানছেন ক্যান্ডিস

গত এক বছর প্রতি মুহূর্তে যে তীব্র যন্ত্রণার মধ্যে দিয়ে তাঁরা জীবন কাটিয়েছেন, তা ব্যাখ্যা করার ভাষা তাঁর অন্তত জানা নেই।

প্রেরণা: স্ত্রী ক্যান্ডিস এবং দুই কন্যাই শক্তি ওয়ার্নারের। ফাইল চিত্র

প্রেরণা: স্ত্রী ক্যান্ডিস এবং দুই কন্যাই শক্তি ওয়ার্নারের। ফাইল চিত্র

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ২০ এপ্রিল ২০১৯ ০২:৩৮
Share: Save:

বল বিকৃতি কাণ্ডে বারো মাসের নির্বাসনের সঙ্গে তাঁর চলতি আইপিএলে ব্যাটের শাসনকে মেলানো কঠিন হয়ে পড়ছে।

সোজাসাপ্টা হিসেব বলছে, এ বার সানরাইজার্স হায়দরাবাদের জার্সিতে ডেভিড ওয়ার্নারের এখনও পর্যন্ত আট ম্যাচে মোট রান ৪৫০। রয়েছে একটি অপরাজিত ১০০ রানের ইনিংস। গড় ৭৫.০০। স্ট্রাইক রেট ১৪৫.১৬। কী ভাবে আবার নিজের স্বাভাবিক পৃথিবীতে ফিরে এলেন তিনি?

সেই রহস্য ফাঁস করেছেন অস্ট্রেলীয় ওপেনারের স্ত্রী ক্যান্ডিস ওয়ার্নার। যিনি জানিয়েছেন, গত এক বছর প্রতি মুহূর্তে যে তীব্র যন্ত্রণার মধ্যে দিয়ে তাঁরা জীবন কাটিয়েছেন, তা ব্যাখ্যা করার ভাষা তাঁর অন্তত জানা নেই। ক্যান্ডিস বলেছেন, ‘‘একটা দমবন্ধ করা পরিবেশের মধ্যে দিয়ে আমাদের চলতে হয়েছে। সকলের কথাবার্তার মধ্যে একটা মেকি ভাব দেখতে পেতাম। তবে এ-ও জানতাম, এই পরিস্থিতিা সাময়িক। আমাদের জীবনে আবার সুন্দর দিন ফিরবে।’’ সঙ্গে যোগ করেছেন, ‘‘ওই সময়ে আমি এবং দুই কন্যা আইভি এবং ইন্ডির একটাই লক্ষ্য ছিল, ডেভিড যেন কোনও সময়ে ভেঙে না পড়ে। ওকে আমরা প্রতিনিয়ত সাহস জুগিয়ে গিয়েছি। বোঝানোর চেষ্টা করেছি, এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসবই। আজ ডেভিডকে আবার স্বাভাবিক মেজাজে দেখে আনন্দে বুক ভরে যাচ্ছে। ওই বারো মাসের নির্বাসন ডেভিডকে আমূল পাল্টে দিয়েছে। এখন যে কোনও প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে ও বুক চিতিয়ে লড়াই করতে পারে। ’’

চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে শেষ ম্যাচে দেখা গিয়েছিল অপূর্ব এক দৃশ্য। বড় মেয়ে আইভি গ্যালারিতে এক পোসটার হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে। যাতে লেখা, ‘গো ড্যাডি।’ যা নিয়ে ম্যাচের পরে ওয়ার্নার বলেছিলেন, ‘‘আমার প্রধান শক্তি দুই মেয়ে। ওদের মুখে হাসি দেখতে চাই। তাই আবার নতুন ভাবে জীবন শুরু করেছি। এ ভাবেই এগোতে হবে।’’ তাঁর আরও মন্তব্য ছিল, ‘‘গত বারো মাস অদ্ভুত এক পরিস্থিতি আমাদের ঘিরে ছিল। তবে আমিও ঠিক করে রেখেছিলাম, আবার মাঠে ফিরে পুরনো বিধ্বংসী মেজাজকে ফিরিয়ে আনতেই হবে। সেই চেষ্টাই করছি।’’

ক্যান্ডিসের গলাতেও শোনা গিয়েছে সেই সুর। তিনি বলেছেন, ‘‘এখনও সময় পেলে আমি ডেভিডক এটা বোঝানোর চেষ্টা করি, গত বারো মাসে কী হয়েছে সেটা আর মনে রাখার প্রয়োজন নেই। তুমি নিজের চেনা জগতে আবার ফিরে এসেছ। যে ভাবে ক্রিকেটবিশ্ব তোমাকে চিনত, সে ভাবেই নিজেকে আবার মেলে ধরতে হবে।’’ যোগ করেছেন, ‘‘আমাদের জীবনে ডেভিডকে বাদ দিয়ে আর কিছুই নেই। যে কোনও প্রতিকূলতার মুখে আমরা ওর সঙ্গেই থাকব। আশা রাখি, বিশ্বকাপেও অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ডেভিড এ ভাবেই আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলে দেশকে ট্রফি উপহার দেবে। আমরা প্রতিনিয়ত এখন এই প্রার্থনাই করে চলেছি।’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE