চারমূর্তি। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের চ্যালেঞ্জে নামার আগে বার্সেলোনার প্র্যাকটিসে নেইমার, মেসি, পিকে ও সুয়ারেজ। ছবি: এএফপি
আর তিন দিন পরেই বিশ্বফুটবলের নজর থাকবে সান্তিয়াগো বের্নাবাওতে। যখন বিশ্বের সেরা ফুটবল তারকারা খেলবেন এল ক্লাসিকোতে। তার আগেই আবার বড় ধাক্কা খেল রিয়াল মাদ্রিদ। চোটের জন্য মরসুমের প্রথম এল ক্লাসিকোতে অনিশ্চিত হয়ে পড়লেন গ্যারেথ বেল। যে বেঞ্জিমা-বেল-রোনাল্ডোর ত্রিফলার রিয়াল আক্রমণের নেতৃত্ব দেওয়ার কথা ছিল, সেই বিবিসি থেকে এক জন অনিশ্চিত হয়ে পড়লেন। লিভারপুল ম্যাচের আগে দলের সঙ্গে অনুশীলন করতে পারেননি ওয়েলস উইজার্ড।
শনিবার লেভান্তের বিরুদ্ধে উরুর চোটের সমস্যায় খেলতে পারেননি বেল। রিয়াল ওয়েবসাইটে জানিয়ে দেওয়া হয়, “বেলের চিকিত্সা চলছে। ক্লাব চিকিত্সকরা পুরোপুরি চেষ্টা চালাচ্ছেন ওকে দ্রুত সুস্থ করে তোলার।” সাংবাদিক সম্মেলনে রিয়াল মাদ্রিদ কোচ কার্লো আন্সেলোত্তিও সরকারি ভাবে জানালেন, “বেলের অবস্থা খুব একটা ভাল নেই। লিভারপুল ম্যাচের আগে তো কোনওমতেই না। এল ক্লাসিকোতেও ও মাঠে ফিরতে পারবে কিনা সন্দেহ আছে।” তবে ক্লাব যাই বলুক না কেন, ক্লাসিকোর আগে ফিট হতে মরিয়া বেল। সে ভাবে প্রস্তুতিও শুরু করেছেন বলে দাবি স্প্যানিশ মাডিয়ার। অনুশীলনে আলাদা করে ফিটনেস ট্রেনারের কথা মেনে নির্দিষ্ট কিছু কসরত্ও করছেন।
এক দিকে বেল যখন অনিশ্চিত, বার্সা শিবির আবার তেতে আছে লুই সুয়ারেজের প্রত্যাবর্তন নিয়ে। উরুগুয়ের তারকার উপর চাপানো ফিফার নিষেধাজ্ঞা উঠবে শুক্রবার। সুয়ারেজ এখন থেকেই অবশ্য পাখির চোখ করছেন গোল করে রিয়াল ম্যাচ স্মরণীয় করে রাখার। “ঈশ্বরের ইচ্ছায় আমি ফিরতে চলেছি ক্লাসিকোয়। নিশ্চয়ই এর পিছনে কোনও কারণ আছে।” মেসির সঙ্গে বার্সার ঐতিহাসিক জার্সিতে ক্লাসিকোয় খেলা তাঁর কাছে স্বপ্নপূরণের মতোই, সেই কথাই জানালেন সুয়ারেজ। বলেন, “আমি এখন থেকেই অনুভব করতে পারছি সেই মুহূর্তটা যখন বার্সার জার্সি পরে মাঠে নামব।” বিশ্বকাপে জিওর্জিও চিয়েলিনিকে কামড়ে দেওয়ায় চার মাস নির্বাসিত হয়েছিলেন এল পিস্তলেরো। তবে সেই ঘটনার ছায়া কাটিয়ে এখন উরুগুয়ের তারকার নজরে শুধুই ক্লাসিকোর যুদ্ধ। তিনি বলেন, “আমি এমন এক জন ফুটবলার যে ভগবানে বিশ্বাস করি। আরও তো উনিশটা দল আছে। রিয়াল মাদ্রিদের বিরুদ্ধেই কী করে আমার প্রত্যাবর্তন হচ্ছে। সব কিছুই হয়তো লেখা আছে আগে থেকে।” কোনও প্রতিযোগিতমূলক ম্যাচ না খেলতে পারলেও, রিয়াল ম্যাচের আগে অনুশীলনে একশো শতাংশ দিয়ে নিজেকে তাতানোর কাজটাও চালাচ্ছেন সুয়ারেজ। বলেন, “আমি অনুশীলনে ফাঁকি মারছি না। প্রথম দু’মাস ফুটবল খেলতে পারব না ভেবে খুব কষ্ট হয়েছিল। নিজেকে ফুটবলার বলেই মনে হচ্ছিল না তখন। কিন্তু ধৈর্য হারাইনি। অপেক্ষা করেছি ঠিক সময়ের জন্য। যেটা সামনেই। তাই মাঠে নামতে নিজেকে তৈরি করছি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy