লাল-হলুদ প্র্যাকটিসে কোচ বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্যের সঙ্গে ডং। ছবি: উৎপল সরকার
ইস্টবেঙ্গল মাঠের খারাপ অবস্থা নিয়ে এর আগে সরব হয়েছিলেন গোয়ান কোচ আর্মান্দো কোলাসো। গত মরসুমে এই মাঠে কলকাতা লিগের ম্যাচ খেলা নিয়েও তিনি বারবার অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন।
আর এই মরসুমের শুরুতেই টিমের সহকারী কোচ দেবজিৎ ঘোষ জানিয়ে দিলেন, ‘‘বর্ষায় মাঠের পরিস্থিতি ভাল নয়। এই মাঠে প্র্যাকটিস হলে যে কোনও সময়ে ফুটবলারদের চোট লাগতে পারে। ক্লাব কর্তাদের তাই অন্য প্র্যাকটিস মাঠের ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে।’’
শনিবার সকালেই ইস্টবেঙ্গল মাঠে অনুশীলনের সময় বড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পান এ বছর লাল-হলুদে সই করা বাবু মণ্ডল। ফিজিক্যাল ফিটনেস ট্রেনিং চলার সময় মেহতাব হোসেনের সঙ্গে আচমকা ধাক্কা লেগে বাঁ দিকের চোখের উপরে কেটে যায় বাবুর। সঙ্গে সঙ্গে রক্ত ঝরতে থাকে। পরে অবশ্য প্রাথমিক চিকিৎসার পর ব্যান্ডেজ বেঁধে আবার অনুশীলনে নেমে পড়েন বাবু। এ দিনের ঘটনা থেকে শিক্ষা পেয়েই হয়তো আশঙ্কিত হয়েছেন দেবজিৎ।
কিন্তু এখন প্রশ্ন, কলকাতা লিগের ম্যাচ তো এই মাঠেই খেলতে হবে ইস্টবেঙ্গলকে? ৮ অগস্ট টালিগঞ্জ অগ্রগামীর বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচ মেহতাবদের। এই পরিস্থিতিতে ইস্টবেঙ্গলের মাঠ-সচিব দীপঙ্কর চক্রবর্তী অবশ্য বলে দিলেন, ‘‘দেবজিৎ কী বলেছে আমি জানি না। তবে কলকাতা লিগের খেলা ইস্টবেঙ্গল মাঠেই হবে। আলাদা প্র্যাকটিস মাঠের ব্যবস্থা ও কাকে করতে বলেছে, সেটাও আমার জানা নেই।’’ বর্ষার মধ্যে একই মাঠে অনেকগুলো টিম (ইস্টবেঙ্গল জুনিয়ার, এরিয়ান, লাল-হলুদের গোলস প্রজেক্টের টিম) প্র্যাকটিস করায় এই মুহূর্তে লাল-হলুদ মাঠের অবস্থা আরও খারাপ হয়েছে। যা জানার পর আইএফএ সচিব উৎপল গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ইস্টবেঙ্গল ম্যাচ আয়োজন করতে পারবে বলে আমাদের জানিয়েছিল। সেই মতো কলকাতা লিগের ক্রীড়াসূচি তৈরি করা হয়েছে। এখনও হাতে এক মাস সময় রয়েছে। আশা করি ওরা মাঠ তৈরি করে ফেলতে পারবে।’’ ১৫ জুলাই থেকে মেহতাব হোসেনরা কল্যাণীতে পনেরো দিনের জন্য আবাসিক শিবিরে চলে যাচ্ছে। তার পর ফিরে লাল-হলুদ ব্রিগেড কোথায় প্র্যাকটিস করবে, সেটাই এখন ধোঁয়াশা।
এ দিকে এ দিন প্রথম প্র্যাকটিসে নামলেন দক্ষিণ কোরিয়ার মিডিও ডু ডং হুয়ান। টিমের সঙ্গে শুধু মাত্র ফিটনেস প্র্যাকটিস করলেও তাঁকে পুরো ফিট বলে মনে হয়নি। মাঠে বল নিয়ে এবং বল ছাড়াও কিছুক্ষণ ফিজিক্যাল ট্রেনিং করার পর জিমে সময় কাটান হুয়ান।
আবাসিক শিবিরের আগে বিদেশি সহ সব ফুটবলারকেই টিমে যোগ দেওয়ার ডেডলাইনের কথা বলেছিলেন কোচ বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য। ১০ জুলাইয়ের মধ্যে ভিন রাজ্যের ফুটবলারদের শহরে আসার ডেডলাইন থাকলেও ডিকা, রবার্ট, হরমনজোৎ খাবরারা কেউই এখনও পর্যন্ত অনুশীলনে যোগ দেননি। তবে দেবজিৎ এ দিন অনুশীলনের পর আবারও সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘১৫ জুলাইয়ের মধ্যে সব ফুটবলারই অনুশীলনে যোগ দিয়ে দেবে।’’
গত বছর ভাল পারফরম্যান্স করার পরও চোটের জন্য ছিটকে যেতে হয়েছিল গোলকিপার শুভাশিস রায়চৌধুরীকে। আইএসএলে দিল্লি ডায়নামোসের হয়ে খেলার পর আবার এই মরসুমে ইস্টবেঙ্গলে সই করবেন বলে জানান তিনি। এ দিন সকালে লাল-হলুদ তাঁবুতে এসে শুভাশিস বলছিলেন, আইএসএলের আগে তিনি ব্রাজিলে যেতে চান রিহ্যাবের জন্য। তবে এখনও ভিসা সমস্যা মেটেনি তাঁর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy