স্মিথের পিচ পরীক্ষা। পুণেতে মঙ্গলবার। -নিজস্ব চিত্র
ভারতীয় ক্রিকেটাররা দেখেছিলেন ‘পূর্ণা’। আর অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটাররা দেখলেন ‘লায়ন’। যে সিনেমা আবার অস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছে। যা দেখার পর উচ্ছ্বসিত মিচেল স্টার্কের টুইট, ‘‘দারুণ একটা মুভি দেখলাম মঙ্গলবার রাতে। আমাদের ভাগ্য ভাল, এক জন খুদে অভিনেতাও আমাদের সঙ্গে বসে সিনেমাটা দেখল। কী গল্প! চোখে জল এসে যায়।’’
সিনেমা দেখার আগে অবশ্য অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটাররা পুরোদমে নেট প্র্যাকটিস করেন মঙ্গলবার। এবং সেখানেই পুণের বাইশ গজ নিয়ে লেগে গেল দুই পক্ষে। এক দিকে পিচ প্রস্তুতকারক। অন্য দিকে অস্ট্রেলিয়ার পেসার জস হ্যাজলউড।
পিচ প্রস্তুতকারক পাণ্ডুরঙ্গ সালগাওকরের ভবিষ্যদ্বাণী ছিল, ‘‘পাঁচ দিনের পিচ। এখান থেকে সবাই কোনও না কোনও ভাবে সাহায্য পাবে। ক্যারি-বাউন্স থাকবে।’’ ব্যস। এই ভবিষ্যদ্বাণীই হজম হয়নি অস্ট্রেলীয় পেসার হ্যাজলউডের। সাংবাদিকরা এই নিয়ে প্রশ্ন করতেই ধেয়ে আসে বাউন্সার, ‘‘পিচে বাউন্স থাকবে? বলেন কী! বল যদি বুক সমান উচ্চতায় ওঠে তা হলে বেশ অবাকই হব।’’ তার পরেই একটু তির্যক মন্তব্য, ‘‘টেস্ট শুরু হতে এখনও দেড় দিন মতো বাকি আছে। ম্যাচের দিন পিচ দেখি। আশা করতে দোষ কী, যে বাউন্স থাকবে।’’ হ্যাজলউডের আশঙ্কা অবশ্য উড়িয়ে দেওয়ার নয়। কারণ, ইতিমধ্যেই বোর্ডের কিউরেটর দলজিৎ সিংহ পুণে চলে এসেছেন। যা দেখে অনেকে মনে করছেন, পিচ শেষ পর্যন্ত ঘূর্ণিই হবে।
মঙ্গলবার ভারতীয় ক্রিকেটারদের বেশির ভাগই প্র্যাকটিসে আসেননি। অস্ট্রেলিয়া প্র্যাকটিস করেছে। এমনকী এও দেখা গিয়েছে, টিমের বেশির ভাগ ক্রিকেটার পিচ দেখতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। পিচ নিয়ে অস্ট্রেলীয়দের উদ্বেগ ধরা পড়ছে হ্যাজলউডের কথায়। ‘‘অস্ট্রেলিয়ায় বেশিরর ভাগ পিচেই বল ভাল বাউন্স করে। এখানে সেই বাউন্স পাওয়ার কোনও আশা নেই। তাই উইকেট পাওয়ার জন্য আমাদের অন্য রাস্তা দেখতে হবে,’’ বলেছেন তিনি।
কী হতে পারে আপনাদের অস্ত্র? হ্যাজলউড বলছেন, ‘‘রিভার্স সুইং যেমন একটা উইকেট নেওয়া ডেলিভারি হতে পারে। আবার কাটারও উইকেট এনে দিতে পারে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy