যে ভাবে সাজছে শিবপুরের সেই পুজোমণ্ডপ।
ঠাকুর দেখলেই আটলেটিকো দে কলকাতার ম্যাচের টিকিট। তবে শর্ত একটাই, উত্তর দিতে হবে আইএসএল-এ কলকাতার দল সংক্রান্ত প্রশ্নের!
মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল, মহমেডান হই হই করে ঢুকে পড়েছিল মাস খানেক আগেই। পুজোর ভরা বাজারে সেই ত্রিভুজ এ বার হয়ে গেল চতুর্ভুজ। দেবীপক্ষে জুড়ে গেল বাঙালির ফুটবল উন্মাদনার পাওয়ার হাউজ আটলেটিকো দে কলকাতার নাম।
যার ফলে সম্পূর্ণ শারদোৎসবে ফুটবলায়নের বৃত্ত। নেপথ্যে হাওড়া শিবপুরের হালদারপাড়া ফ্রেন্ডস অ্যাসোসিয়েশন। আইএসএল-এ কলকাতার চ্যালেঞ্জ আটলেটিকো দে কলকাতা এ বার পুজোয় তাদের বিশেষ থিম।
বিশেষ থিম কেন? জবাবে পুজো কমিটির সচিব উজ্জ্বল ঘোষ বললেন, “আমাদের এ বারের থিম ছিল নীল সমুদ্রের নীচে স্বর্গরাজ্য। কিন্তু আটলেটিকো দে কলকাতার জনপ্রিয়তা যে ভাবে বাড়ছে, তাতে সেটাকে আর উপেক্ষা করতে পারলাম না।”
শিবপুরের এই পুজোর মণ্ডপের সামনে ইতিমধ্যেই ঝুলতে শুরু দিয়েছে আটলেটিকোর তারকা ফুটবলার লুই গার্সিয়া, ফিকরু তেফেরা, এদেল বেতেদের ছবিওয়ালা ফেস্টুন। সঙ্গে সেই খেলোয়াড়ের পরিচিতি। যা ইতিমধ্যেই সাড়া ফেলেছে এলাকার ফুটবলপ্রেমীদের মধ্যে। হালদারপাড়াকে পুজোর দিনগুলোতে আটলেটিকোর লাল-সাদা আলো আর রঙে সাজিয়ে তোলাটাই তাই এখন ধ্যান-জ্ঞান শিল্পী শান্তনু ভট্টাচার্যের। তাঁর পরামর্শ নিয়েই মণ্ডপে প্রবেশের আগে একশো মিটার রাস্তা মুড়ে ফেলা হচ্ছে আটলেটিকো দে কলকাতার লাল-সাদা রঙের কাপড় দিয়ে। রয়েছেসৌরভের দলের লোগোও।
পুজো প্রাঙ্গন থেকেই লুই গার্সিয়া, সঞ্জু প্রধান, রাকেশ মাসিদের জার্সি, স্কার্ফ, প্যান্ট, ট্র্যাকস্যুট বিক্রির জন্য ব্যবস্থার সঙ্গে আটলেটিকোর খেলার বিভিন্ন মুহূর্ত দেখা যাবে পর্দায়। উৎসবে মুঠো মুঠো ফুটবল বিনোদন কুড়োনোর জন্য রাখা হচ্ছে কলকাতার দলটির সেরা একাদশের কাউট আউট। যার পাশে দাঁড়িয়ে ইচ্ছে মতো ছবিও তোলা যাবে। থাকছে আটলেটিকোর জন্য স্লোগান বা বিতর্ক প্রতিযোগিতাও। যেখানে জিতলে জার্সি কিংবা আটলেটিকো দে কলকাতার ম্যাচের টিকিট মিলবে মুফতে।
আইএসএল ভারতীয় ফুটবলে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত করবে কি না তা সময় বলবে। তবে ১২ অক্টোবর যুবভারতীতে প্রথম ম্যাচের আগেই আটলেটিকো দে কলকাতা যে ফুটবল জনতার ঘরে ঢুকে পড়তে চলেছে, তা স্পষ্ট।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy