ফাইল চিত্র।
গোয়া ৩ • এটিকে ০
শেষ চারে যাওয়ার রাস্তা প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। ক্ষীণ যেটুকু সম্ভবনা ছিল তাও বৃহস্পতিবার শেষ হয়ে গেল স্টিভ কপেলের দলের। মারগাওতে গিয়ে এফসি গোয়ার কাছে বিশ্রীভাবে হারল এটিকে। লিগ টেবলের কোথায় গিয়ে শেষ করে কলকাতার দল, তা নিয়েই এ বার প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। সের্খিয়ো লোবেরার দল লিগ টেবলের দু’নম্বরে উঠে এল এ দিন। ১৬ ম্যাচে ২১ পয়েন্ট নিয়ে মানুয়েল লানজ়ারোতেরা থেকে গেলেন সেই ছয় নম্বরেই।
এ দিন খেলা শুরুর ৫৩ সেকেন্ডের মধ্যেই গোল করে দলকে এগিয়ে দেন জ্যাকিচন্দ সিংহ। শুরুতেই গোল খেয়ে এটিকে ছন্নছাড়া হয়ে যায়। তারপর দুটি গোল করেন গোয়ার ‘গোলমেশিন’ কোরোমিনাস। ১৫ ম্যাচে ১৩ গোল করে আপাতত সোনার বুটের লড়াইয়ে সবার আগে তিনি। এটিকে এ দিন খেলতেই পারেনি। দলের অধিনায়কমানুয়েল লানজ়ারোতে খেলতে না পারায় দলের মাঝমাঠ জমাট বাঁধেনি। শুরুতেই গোল পেয়ে যাওয়ায় গোয়া ম্যাচের লাগাম নিজের দখলে নিয়ে নেয়। ৬২ শতাংশ বল পজেসন নিয়ে মাঝমাঠ দখলে রাখা মান্দার রাওরা আরও বেশি গোলে জিততে পারত। এটিকে গোলকিপার অরিন্দম ভট্টাচার্য বেশ কয়েকটি নিশ্চিত গোল আটকে দেওয়ায় তা সম্ভব হয়নি। এটিকে সেই অর্থে একটি মাত্র গোলের সুযোগ পেয়েছিল। তা পেয়েছিলেন এদু গার্সিয়া। কিন্তু গোয়ার গোলকিপার নবীন কুমার তা রুখে দেন। এটিকের এই বিশ্রী ফলের জন্য অনেকেই দায়ী করছেন স্টিভ কপেলের রক্ষণাত্মক নীতিকেই। সূত্রের খবর, কপেলকে আর পরের বার রাখা হচ্ছে না। পরের বার ইন্ডিয়ান সুপার লিগে এটিকের সঙ্গে মোহনবাগানের সংযুক্তির কথাবার্তা চলছে। এখনও পর্যন্ত কোনও স্পনসর জোগাড় করতে পারেননি সবুজ-মেরুন কর্তারা। ফলে তাঁরা সমস্যায়। পরিস্থিতি যাই হোক কপেল থাকছেন না কলকাতার দলে। এ দিকে আজ দক্ষিণী ডার্বিতে কোচিতে কেরলের মুখোমুখি হচ্ছে চেন্নাইয়িন এফ সি। দুটি দলই লিগ টেবলের নীচের দিকে। যেই জিতুক তাদের শেষ চারে ঢোকার কোনও সম্ভবনা নেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy