লর্ডস টেস্টে ইংল্যান্ড ফাস্ট বোলারের বাউন্সারের শিকার স্টিভ স্মিথ পরিবর্তে নামা মার্নাস লাবুশানে। ফাইল চিত্র
অ্যাশেজের দ্বিতীয় টেস্টের পঞ্চম দিন স্টিভ স্মিথের পরিবর্তে মাঠে নামেন মার্নাস লাবুশানে। ক্রিকেট ইতিহাসে তিনিই প্রথম ‘কংকাশান সাব’। জোফ্রা আর্চারের বলে আঘাত লেগেই মাঠ ছাড়তে হয়েছিল স্মিথকে। রবিবার স্মিথের পরিবর্তকেও বাউন্সারে আঘাত করেন আর্চার। ইনিংসের দ্বিতীয় বলই হেলমেটে আছড়ে পড়ে।
কিন্তু লাবুশানে যদিও ঘাবড়ে যাননি। চোট পাওয়ার পরে তিনি আদৌ সংজ্ঞা হারিয়েছেন কি না, তা পরীক্ষা করার জন্য ফিজিয়ো জিজ্ঞাসা করেন, ‘‘তুমি কোথায় আছো?’’ লাবুশানের উত্তর, ‘‘আমি জানি আমি কোথায় আছি। এখন ম্যাডিসন স্কোয়ার গার্ডেনে বক্সিং রিংয়ে দাঁড়িয়ে আছি।’’ তার পরেই হেসে বলেন, ‘‘হেভিওয়েট বক্সিং চ্যাম্পিয়ন উইলি প্যাস্ট্রানো এক বার রিংয়ে আহত হওয়ার পরে এই উত্তরটি দিয়েছিল।’’
আর্চারের বাউন্সারে যদিও ভয় পেয়ে উইকেট ছুড়ে দেননি লাবুশানে। উইকেট কামড়ে পড়ে থেকে দলকে হারের হাত থেকে বাঁচান। ১০০ বলে ৫৯ রানের লড়াকু ইনিংস খেলেন তরুণ ব্যাটসম্যান। উল্টো দিক থেকে ধেয়ে আসা আর্চারের ১৫৪ কিমি/ঘণ্টার বল কী ভাবে সামলালেন তিনি? লাবুশানে বললেন, ‘‘হেলমেটে আঘাত পাওয়ার পরে ফিজিয়োকে বললাম, আমাকে নিয়ে চিন্তা করতে হবে না। ১০০ শতাংশ ফিট আমি। সামান্য ভয় লেগেছিল ঠিকই। কিন্তু লর্ডসে প্রথম বার অ্যাশেজ খেলতে নামার সুযোগ হাতছাড়া করতে চাইনি। ক্রিজে থিতু হতে সময় নিয়েছি। তবে আর্চারকে খেলতে ভাল লাগছিল।’’
লাবুশানে বলেন, ‘‘আর্চারের চোখে চোখ রেখে খেলতে শুরু করি। তার পর থেকে সব কিছু সহজ মনে হতে শুরু করে। শুরুতে যে ভয় পেয়েছিলাম, পরের দিকে আর সেটা ছিল না। প্রাণ খুলে খেলতে থাকি।’’
‘কংকাশান সাব’ হিসেবে খেলা কতটা কঠিন? লাবুশানের উত্তর, ‘‘সত্যি বেশ কঠিন। শনিবার পর্যন্ত কোনও ধারণা ছিল না যে, আমি এই ম্যাচে নামতে পারি। লর্ডসের নেটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ব্যাট করছিলাম। রবিবার হঠাৎ জানতে পারলাম আমি স্মিথের পরিবর্তে খেলছি। স্মিথের জায়গাতেই ব্যাট করতে নামব। তখন কিছুটা স্নায়ুর চাপ অনুভব করি। কিন্তু বাইশ গজে কিছুটা সময় থাকার পরে আর ভয় লাগেনি।’’
নির্দেশ পাওয়ার পরে কী ভাবে নিজেকে তৈরি করলেন লাবুশানে? বলছিলেন, ‘‘বিষয়টি জানার পরেই স্টার্ক ও প্যাটিনসনকে অনুরোধ করি আমাকে ব্যাটিং অনুশীলন করানোর জন্য। দ্বিতীয় টেস্টে যে-হেতু ওরা খেলছে না তাই আমাকে বল করলে ওরাও প্রস্তুতির মধ্যে থাকবে আর আমারও ম্যাচ ফিট হতে সুবিধা হবে। আমার অনুরোধ নির্দ্বিধায় মেনে দীর্ঘক্ষণ নেটে বল করেন দু’জনে। ওদের বল খেলেই আর্চারের জন্য তৈরি হয়েছি।’’
তিনি যদিও বিতর্কিত সিদ্ধান্তে আউট হয়েছেন। বলছিলেন, ‘‘রুট হয়তো বুঝতে পারেনি বলটি মাটিতে পড়েছিল। ম্যাচের মধ্যে এগুলো বোঝাও যায় না। রুটের জায়গায় আমি থাকলেও হয়তো বুঝতে পারতাম না। যা-ই হোক আমার লক্ষ্য ছিল ম্যাচটি বাঁচানোর। সেই লক্ষ্যে সফল হয়েছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy