প্রায় দেড় বছর আগে পাকিস্তান থেকে ভারতে প্রবেশ করেছিল হাশিম মুসা এবং আলি ভাই ওরফে তালহা। তদন্তকারীদের সূত্র বলছে, সীমান্ত পেরিয়ে প্রথমে ভারতে এসেছিল মুসা। তার পরে আলি। তাদের স্থানীয় এলাকা, পথঘাট চিনিয়েছিল দক্ষিণ কাশ্মীরের বাসিন্দা আদিল হুসেন ঠোকর। জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ বলছে, এই তিন জনই পহেলগাঁওয়ে হামলার সঙ্গে জড়িত। তাদের স্কেচও প্রকাশ করা হয়েছে । ওই তিন জনের খোঁজে চলছে অভিযান।
পুলিশের একটি সূত্র বলছে, প্রায় দু’বছর ধরে কাশ্মীরের বিভিন্ন অংশে সক্রিয় ছিল মুসা এবং আলি। ‘ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’ তদন্তকারীদের একটি সূত্রকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর নাগাদ ভারতে প্রবেশ করেছিল মুসা। তার উপরে মূলত বদগাঁও এলাকায় সক্রিয় থাকার ভার পড়েছিল বলে খবর। তদন্তকারীদের একটি সূত্র বলছে, আলি ভারতে অনুপ্রবেশ করেছিল মুসার পরে। শ্রীনগরের উপকণ্ঠে দাচিগাঁও জঙ্গলে সে সক্রিয় ছিল। এই দাচিগাঁও জাতীয় উদ্যান ত্রালের সঙ্গে যুক্ত। এখানকার ঘন পাহাড়ি জঙ্গল পহেলগাঁও পর্যন্ত বিস্তৃত। তদন্তকারীদের একটি সূত্র মনে করছে, এই জঙ্গলের পথ ধরেই পহেলগাঁও পর্যন্ত যাতায়াত করত জঙ্গিরা। ক্রমে সেই পথ তাদের চেনা হয়ে যায়। আর এতে তাদের সাহায্য করেছিল আদিল।
জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, ২০১৮ সালে এক বার পাকিস্তানে গিয়েছিল স্থানীয় গাইড আদিল। গত বছর সে আবার কাশ্মীরে ফিরেছিল। দক্ষিণ কাশ্মীরের অনন্তনাগের বিজবেহারার গুরে গ্রামের বাসিন্দা সে। তদন্তকারীরা মনে করেন, পাকিস্তানে ‘প্রশিক্ষিত’ জঙ্গিদের কাশ্মীরের পথঘাট চিনিয়ে দিয়েছিল সে। পহেলগাঁওয়ের বৈসরন এলাকায় বহু বার তারা রেকি করেছিল বলেও মনে করছে পুলিশ।
দক্ষিণ কাশ্মীরের এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ানের ভিত্তিতে তিন জনের স্কেচ তৈরি করা হয়েছে। সেই ছবি স্থানীয়দের দেখানো হচ্ছে। সেই সঙ্গে পরিচিত জঙ্গিদের ছবিও দেখানো হচ্ছে স্থানীয়দের। হামলাকারীদের সঙ্গে ওই জঙ্গিদের কোনও মিল রয়েছে কি না, জিজ্ঞেস করা হচ্ছে। এক শীর্ষ পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, তাঁদের নজরে রয়েছে চতুর্থ এক জঙ্গি। সে স্থানীয় নাকি বিদেশি, তা খোঁজ করার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)-র একটি সূত্র বলছে, ঘটনাস্থলে উপস্থিত ৪২ জন স্থানীয়ের বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে। আরও কয়েক জনের বয়ান সংগ্রহ করা হবে বলে খবর।
- জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ের বৈসরন উপত্যকায় মঙ্গলবারের জঙ্গিহানার ঘটনায় ২৬ জন পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় কয়েকটি সূত্রের মতে, নিহতের সংখ্যা অন্তত ২৮। সূত্রের খবর, হামলাকারীরা সংখ্যায় ছিল পাঁচ-ছ’জন।
- জম্মু-কাশ্মীরে ছুটি কাটাতে গিয়েছিল কর্নাটকের এক পরিবার। মঙ্গলবার পহেলগাঁওয়ের বৈসরন উপত্যকায় জঙ্গিদের গুলিতে মৃত্যু হয় মঞ্জুনাথ রাওয়ের। অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচেছেন স্ত্রী পল্লবী এবং তাঁদের পুত্র। কর্নাটকের শিবমোগ্গার বাসিন্দা পল্লবীর দাবি, অতর্কিত তাঁদের আক্রমণ করে তিন থেকে চার জন। তাঁর স্বামীকে খুন করার পর ওই চার জনের এক জন বলে, ‘‘তোকে মারব না। যা, মোদীকে গিয়ে বল।’’
-
২০:৪৭
স্থানীয় ‘স্লিপার সেলের’ সাহায্যেই পহেলগাঁওয়ে হামলা! বলছেন আত্মসমর্পণ করা কাশ্মীরি জঙ্গি -
১৮:২৫
খেলনা রাফালে লেবু-লঙ্কা ঝুলিয়ে কেন্দ্রকে খোঁচা মোদীর প্রতিদ্বন্দ্বীর! বিজেপি বলল ‘দেশদ্রোহিতা’ -
১৮:২১
কয়েক দশক ধরে মোরাদাবাদে বাস ২২ পাক মহিলার, রয়েছে শ’খানেক ছেলেমেয়ে, এ বার নজরে তাঁরাও -
১৮:০৬
ভারতের সামরিক তথ্য চুরির চেষ্টা ‘পাকিস্তানি’ হ্যাকারদের! সাবধানতায় ‘অফলাইন’ করা হল ওয়েবসাইট, বলছে রিপোর্ট -
১৭:১৫
পাকিস্তানের আকাশসীমা এড়াচ্ছে বিভিন্ন বিদেশি বিমান সংস্থা, নেপথ্যে কোন কারণ