স্মিথ: ১৪৩। শুক্রবার ওভালে। ছবি: রয়টার্স।
বিশ্বব্যাপী ক্রিকেটপ্রেমীদের একটা দুর্ভাবনা দিন দিন বাড়ছিল। সেটা হল, ওয়েস্ট ইন্ডিজের এককালীন ক্রিকেটপ্রাসাদের যে বর্তমান রূপ হয়েছে, সেটা অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটেরও ভবিতব্য কি না। অ্যাসেজ হার এর কারণ নয়। ইংল্যান্ডের মাটিতে অ্যাসেজ এর আগেও অস্ট্রেলিয়া হেরেছে। কিন্তু চলতি অ্যাসেজে মাইকেল ক্লার্কদের হারের লজ্জার ধরণ বিশ্বের ক্রিকেট সমর্থকদের রীতিমতো আতঙ্কিত করে তুলেছিল মাইকেল ক্লার্কদের দেশের ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ নিয়ে। কোনও টেস্ট আড়াই দিনে খতম করে দিচ্ছে ইংল্যান্ড, কোনওটা তিন দিনে, এ তো স্টিভ স্মিথদের ক্রিকেটীয় সিস্টেমেই কাঁপুনি তুলে দেওয়ার মতো!
ওভাল টেস্টের দ্বিতীয় দিনের পর আশঙ্কাকে অমূলক মনে হবে। অস্ট্রেলিয়া আবার প্রত্যাবর্তন ঘটাল চেনা-পরিচিত অস্ট্রেলিয়ায়। গর্বের মিনারে যে ইংল্যান্ড সজোরে ধাক্কা মেরেছিল, তাদের ভয়াবহ প্রত্যাঘাতে টুকরো করে দিল। ওভাল টেস্ট সমাপ্তির পর অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট অধিনায়কত্বের তাজ যাঁর হাতে উঠতে চলেছে সেই স্টিভ স্মিথ সেঞ্চুরি করে গেলেন। প্রথম ইনিংস অস্ট্রেলিয়া শেষ করল ৪৮১ রানে। এবং ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংসের আটটা উইকেট উড়ে গেল মাত্র একশো সাত রানে!
সবই হল। শুধু বড় দেরি হয়ে গেল।
অ্যাসেজের ভাগ্য নির্ধারণে ওভাল টেস্টের যে কোনও গুরুত্ব ছিল না, এটা কোনও খবর নয়। আগ্রহের বিষয়বস্তু ছিল যে, মাইকেল ক্লার্ক গর্বের মুকুট পরে বিদায় নেবেন? নাকি অপমানের? অ্যাসেজের পঞ্চম টেস্টের দ্বিতীয় দিনের যা নির্যাস তাতে প্রথমটার সম্ভাবনাই বেশি। গত কাল অস্ট্রেলিয়া ২৮৭-৩ স্কোরে শেষ করেছিল। শুক্রবার শুরু হল ঠিক সেই মেজাজে, যেখানে তারা গত দিন ছেড়ে রেখে গিয়েছিল। স্মিথ (১৪৩), অ্যাডাম ভোজেস (৭৬), মিচেল স্টার্ক (৫৮) করে অস্ট্রেলিয়াকে প্রায় নিশ্ছিদ্র স্কোরে পৌঁছে দিলেন। শুধু তাই নয়, ক্লার্কের বিদায়ী মঞ্চে ইংরেজরা যাতে কোনও রকম বিপন্নতা না আনতে পারে সেটা নিশ্চিত করতে যেন অস্ট্রেলীয় বোলাররাও নেমে পড়লেন। মিচেল মার্শ তিনটে, পিটার সিডল ও নাথন লিঁয় দু’টো করে তুললেন। এবং ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংসে আপাতত সর্বোচ্চ স্কোর দাঁড়াল অধিনায়ক অ্যালিস্টার কুকের—২২। যা পরিস্থিতি, তাতে টেস্টটা আড়াই বা তিন দিনে শেষ করে দিলেই সম্ভবত ক্লার্ককে সেরা শ্রদ্ধাঞ্জলি দেওয়া হবে। সম্মানকে ফিরিয়ে। ক্রিকেট সিস্টেমকে বাঁচিয়ে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy