ব্যাট নয়, মন।
নেট সেশন নয়, মেন্টাল কন্ডিশনিং।
আসন্ন জিম্বাবোয়ে সফরের আগে ভারত অধিনায়ক অজিঙ্ক রাহানের ক্রিকেট-মেনু নাকি এখন অনেকটা এ রকমই।
খোঁজ নিয়ে জানা গেল, রাহানে এখন মুম্বইয়ে বেশির ভাগ সময় কাটাচ্ছেন তাঁর ব্যক্তিগত কোচ প্রবীণ আমরের সঙ্গে। যেখানে ব্যাটিং অনুশীলনের চেয়েও অনেক বেশি জোর এখন রাহানে দিচ্ছেন মনের সাধনায়। কারণটাও সহজ।
কারণ, তিনি প্রথম বার দেশকে নেতৃত্ব দিতে চলেছেন।
জুলাইয়ের মাঝামঝি ভারতের জিম্বাবোয়ে সফর শুরু হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু অধিনায়ক রাহানে তাঁর প্রথম ‘অ্যাসাইনমেন্ট’ নিয়ে ইতিমধ্যেই খাটাখাটনি চালু করে দিয়েছেন। এমনিতে তাঁকে অধিনায়ক করা নিয়ে নানা মহলে নানাবিধ কথাবার্তা চলছে। সমালোচকদের কেউ কেউ যেমন প্রশ্ন তুলেছেন, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ওয়ান ডে টিমে যাঁকে টিমে রাখা যানি, তাঁকে কী ভাবে অধিনায়কত্ব দিয়ে দেওয়া হল? কিন্তু উল্টো দিকে আবার সচিন তেন্ডুলকর, দিলীপ বেঙ্গসরকরের মতো প্রখ্যাতরা আস্থা দেখিয়েছেন রাহানে নিয়ে। তবে তাঁর অধিনায়কত্ব ঘিরে চতুর্দিকের জল্পনা নয়, বরং শোনা গেল অধিনায়কত্বের চাপকে দূরে রেখে কী ভাবে ব্যাটিং করতে হবে, বা ফিল্ডিংয়ের সময় কী ভাবে বল পিছু স্ট্র্যাটেজি তৈরি করতে হবে তা নিয়ে পড়ে আছেন রাহানে। তাঁর কোচ আমরে শুক্রবার সাংবাদিকদের বলেও দিয়েছেন, ‘‘সিরিজ পিছু প্রস্তুতিটা আলাদা হয়। টেস্ট সিরিজে ও যে ভাবে নিজেকে তৈরি করে, ওয়ান ডে-তে অবশ্যই তার চেয়ে আলাদা হবে। কিন্তু যেহেতু ও এ বার অধিনায়ক তাই চাপটা এ বার কিছুটা হলেও বেশি। আর তাই আমরা ক্রিকেটের মানসিক দিকটা নিয়েও খাটছি। যাতে ম্যাচে নামলে ও ঠিকঠাক সুইচ অন আর সুইচ অফটা করতে পারে।’’
সেটা কী রকম?
শোনা গেল, গুরু আমরে ক্রমাগত রাহানেকে বলে চলেছেন ব্যাট করার সময় তিনি যে টিমের অধিনায়ক সেটা মাথা থেকে বার করে দিতে। কারণ সব সময় ‘আমি অধিনায়ক, আমার দায়িত্ব বেশি’ মার্কা ব্যাপার মাথায় চললে নাকি অসুবিধে বাড়বে বই কমবে না। পাশাপাশি বলা হচ্ছে তিনি যখন ফিল্ডিং করবেন, তখন তাঁর মনোভাবটা আলাদা হবে। টিমের সাধারণ যোদ্ধার মতো মনোভাব ফিল্ডিংয়ের সময় রাখলে চলবে না। বল পিছু কী স্ট্র্যাটেজি হবে, সেই মতো তাঁকে নিজেকে প্রস্তুত করতে হবে। সাংবাদিকদের আমরে এটাও বলেছেন যে, বাংলাদেশের রাহানের চেয়ে জিম্বাবোয়ের রাহানের মধ্যে পরিবর্তন দেখার সম্ভাবনা আছে ভাল রকম। আরও আগ্রাসী রাহানেকে এ বার দেখা যেতে পারে। জিম্বাবোয়ে সফরের ভারত অধিনায়ককে তিনি নাকি মনে করিয়ে দিচ্ছেন আগ্রাসন মানে লম্বা লম্বা শট মারা নয়। ছক্কা হাঁকিয়ে একশো স্ট্রাইক রেট রেখে যাওয়া। আগ্রাসন মানে, টিমের দরকারে প্রয়োজনীয় রানটা দিয়ে যাওয়া। এবং আমরে আত্মবিশ্বাসী, রাহানে সেটা পারবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy