Advertisement
১৩ অক্টোবর ২০২৪

সিরিজ জেতার পরও কোহলির এই নির্দয় ভাবটা দারুণ লাগল

পুরো টেস্ট সিরিজে একটাই ভাল উইকেট পাওয়া গেল, ফিরোজ শাহ কোটলায়। অত্যাধিক ঘূর্ণি ছিল না এই উইকেটে। অন্যগুলোতে যেমন ছিল, তার চেয়ে অনেক কম। সেই অর্থে ভাল। তা সত্ত্বেও দক্ষিণ আফ্রিকার পারফরম্যান্সে কোনও পরিবর্তন দেখা গেল না! এটাই বেশ অবাক করে দিয়েছে আমাকে। আসলে আগের টেস্টগুলোতে যা হয়েছে এবং তার প্রভাব প্রোটিয়াদের উপর এমন ভাবে পড়েছে যে, কোটলাতেও তারা সেই মানসিক প্রতিবন্ধকতার জাল ছিঁড়ে বেরোতে পারেনি।

সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়
শেষ আপডেট: ০৯ ডিসেম্বর ২০১৫ ০৩:১৭
Share: Save:

পুরো টেস্ট সিরিজে একটাই ভাল উইকেট পাওয়া গেল, ফিরোজ শাহ কোটলায়। অত্যাধিক ঘূর্ণি ছিল না এই উইকেটে। অন্যগুলোতে যেমন ছিল, তার চেয়ে অনেক কম। সেই অর্থে ভাল। তা সত্ত্বেও দক্ষিণ আফ্রিকার পারফরম্যান্সে কোনও পরিবর্তন দেখা গেল না! এটাই বেশ অবাক করে দিয়েছে আমাকে।

আসলে আগের টেস্টগুলোতে যা হয়েছে এবং তার প্রভাব প্রোটিয়াদের উপর এমন ভাবে পড়েছে যে, কোটলাতেও তারা সেই মানসিক প্রতিবন্ধকতার জাল ছিঁড়ে বেরোতে পারেনি। দক্ষিণ আফ্রিকার মতো লড়াকু দল কেন কিছুই করতে পারল না, কেন লড়াইটা এত সহজে ছেড়ে দিল ওরা, এই কথা ভেবেই বেশ অবাক লাগছে। এমন নয় যে ওরা এই কন্ডিশনে আগে জিতেছে। কিন্তু ওদের লড়াকু মানসিকতার অভাবটা সত্যিই বিস্ময়কর। নতুন ভাবনারও অভাব।

বিরাট কোহলিরা ৩-০-য় সিরিজ জিতে প্রমাণ করে দিল যে ঘূর্ণি উইকেটে আমরা অপ্রতিরোধ্য। বেশিরভাগ টস জেতাটাও কোহলিকে খুব সাহায্য করেছে বলতেই হবে। কারণ, এই ধরনের উইকেটে আগে ব্যাট করে নেওয়াটা বিরাট সুবিধা। বিশেষ করে উপমহাদেশের বাইরের কোনও দল যখন খেলতে আসে, তখন তো আরওই। হাসিম আমলা যতবার টস হেরেছে, ততবারই ওরা শুরু থেকেই অনেকটা পিছিয়ে পড়েছে। কিন্তু তাই বলে ওরা একটুও লড়াই করতে পারবে না!

ঘরের মাঠে কোহলির ক্যাপ্টেনসি দেখে মনে হচ্ছে ও দ্রুত উন্নতি করছে। তবে ওর এই উন্নতি দেখে ক্রিকেটবিশ্ব খুব অবাক হবে বলে মনে হয় না। ওর সম্পর্কে একটা ব্যাপার না বললেই নয়। টেস্ট সিরিজ জেতার পরও ক্যাপ্টেনের এত নির্দয় হয়ে ওঠাটা অস্বাভাবিক লাগল। শেষ দিন চায়ের পরও কোহলির দলের ছেলেদের মধ্যে এত মরিয়া ভাব দেখেও ভাল লাগল। ঘূর্ণি উইকেটে ভারতীয় বোলাররা যে কোনও সময়ে সাফল্য পেতে পারে। কিন্তু যে আত্মবিশ্বাস ওদের শরীরী ভাষায় দেখা গেল, তা যে কোনও অধিনায়কের পক্ষে ভাল খরব।

তবে এই নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই যে অজিঙ্ক রাহানের মতো অনবদ্য ব্যাটসম্যানকে যে কোনও ক্যাপ্টেন তার দলে সব সময় চাইবে। একই টেস্টে জোড়া সেঞ্চুরির মতো পালক ওর মুকুটে। তবে বোধহয় ঘরের মাঠে এমন পারফরম্যান্স দেখা সবে শুরু করলাম আমরা। এর পর আরও দেখব। এ বারও অশ্বিন, জাডেজারাই দাপিয়ে গেল। তবে ওদের সঙ্গে উমেশ যাদবও দেখাল ও কতটা উন্নতি করেছে। ওর উন্নতি ভারতকে যে কোনও কন্ডিশনে ভাল ফল করতে সাহায্য করবে। উমেশকে একটা ম্যাচে নামানোর সিদ্ধান্তটাও বেশ ভাল। দুই পেসার-সহ দলটাকে অনেক ব্যালান্সড দেখাল। এই বোলিং আক্রমণও শক্তিশালী।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE