ম্যান সিটি কোচ পেলিগ্রিনির সঙ্গে তোরে। ছবি: এএফপি
শুধু সিংহাসনে বসাই নয়, সেঞ্চুরি করে বসা।
শুধু সিংহাসনে বসাই নয়, বলা হচ্ছে এখন থেকে ইংলিশ ফুটবলে তাদেরই রাজত্ব চলবে।
ম্যাঞ্চেস্টার সিটি ইপিএলের রং যারা লাল থেকে বদলে দিয়েছে নীলে। এবং ব্রিটিশ প্রচারমাধ্যম যাদের সম্পর্কে বলছে, ইপিএলের নতুন ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড।
গত তিন বছর ট্রফি ক্যাবিনেটে দুটো প্রিমিয়ার লিগ। এক সময় ইপিএলকে বলা হত ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের ‘ঘরের লিগ’। আজ সেই লিগেই রাজত্ব করছে ম্যান সিটি।
পুরো ইপিএলে মোট ১০২ গোল করে জিতেছে পেলিগ্রিনির দল। ধ্বংস করেছে আর্সেনাল, ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডদের। এই মরসুমে আর্সেনালের গোলের সংখ্যা ৬৮, চেলসির ৭১। এর আগে একশোর বেশি গোল করে লিগ জেতার রেকর্ড ছিল চেলসির। সেই ‘১০০ ক্লাবের’ নতুন সদস্য এখন সিটিও।
এই কারণেই প্রিমিয়ার লিগ জয়ের পরে পেলিগ্রিনি বলে দিচ্ছেন যে চ্যাম্পিয়ন হতে হলে এ রকম ভাবেই খেলতে হয়। “ইপিএল জিতে খুশি আমি। কিন্তু চ্যাম্পিয়ন হওয়ার একটা ধরন আছে। আমরা যে ধরনের ফুটবল খেলে জিতেছি তাতে আমি খুশি,” বলেন পেলিগ্রিনি। শুধু মাত্র খেলার ধরন নয়। প্রথম মরসুমে প্রিমিয়ার লিগ ট্রফি ক্যাবিনেটে রেখে পরোক্ষে মোরিনহোকে কটাক্ষ করে বসলেন ম্যান সিটির চিলিয়ান কোচ। যে মোরিনহোর সাহায্যে প্রিমিয়ার লিগ এল সিটির ঘরে, সেই ‘স্পেশ্যাল ওয়ানের’ কটাক্ষ করে পেলিগ্রিনি সাফ বলে দিলেন, “খুবই সহজ কাজ হল, একটা গোল করে রক্ষণে গিয়ে বসে থাকা। কাউকে ছোট করছি না কিন্তু আমার এ রকম ফুটবল ভাল লাগে না।” সরাসরি নাম না করলেও ইঙ্গিত পরিষ্কার ছিল যে মোরিনহোর রক্ষণাত্মক খেলার ধরন পছন্দ নয় পেলিগ্রিনির।
পুরো মরসুম জুড়ে এমনিতেই বহু বার চেলসি কোচের সঙ্গে বাগ্যুুদ্ধে জড়িয়েছিলেন পেলিগ্রিনি। এমনকী একবার বলেও ছিলেন, “চেলসি যেন প্রিমিয়ার লিগ না জেতে। ওরা জিতলে ফুটবলের হার।” শোনা যাচ্ছে, গত কয়েক মাসে এমনিতেই চেলসি কোচের সঙ্গে সম্পর্ক আরও খারাপ হয়েছে পেলিগ্রিনির। পাশাপাশি ম্যান সিটির পুরো দল ধারাবাহিক ছিল বলেই এই খেতাব জেতা সম্ভব হয়েছে, সেই কথা জানিয়ে পেলিগ্রিনি যোগ করেন, “আমি ভাগ্যবান এত ভাল একটা দলের কোচ হতে পেরে। আমি খুশি ইউরোপের বাইরে প্রথম কোচ হিসেবে প্রিমিয়ার লিগ জিততে পেরে।”
পেলিগ্রিনির কটাক্ষ শুনতে হলেও, ম্যান সিটি প্রসঙ্গে মোরিনহোর মুখে ছিল শুধু প্রশংসা। ইপিএল চ্যাম্পিয়ন দলের সম্পর্কে চেলসি কোচ বলে দিলেন, “অবশ্যই ম্যান সিটি যোগ্য দল হিসাবে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। লিভারপুলের থেকে দু’পয়েন্ট, চেলসির থেকে চার পয়েন্টে এগিয়ে ছিল ওরা।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy