মহিলাদের সুবিধার্থে পথে শৌচাগারের সংখ্যা বাড়ানোর ভাবনা শুরু হয়েছে আগেই। এ বার রাস্তায় মহিলাদের স্যানিটারি ন্যাপকিনের জন্য ভেন্ডিং যন্ত্র বসছে দমদমে।
রাজ্যের মন্ত্রী তথা দমদমের বিধায়ক ব্রাত্য বসুর নির্দেশে দক্ষিণ দমদম পুরসভা নতুন বছরের শুরুতেই দমদম স্টেশন-সহ এলাকার চারটি স্কুলে ওই ভেন্ডিং যন্ত্র বসানোর কাজ করবে। শুধু তা-ই নয়, স্বাস্থ্যকর পরিবেশ বজায় রাখতে ব্যবহৃত ন্যাপকিন নষ্ট করে ফেলার যন্ত্রও থাকবে ভেন্ডিং যন্ত্রের কাছে।
মাসখানেক আগে সল্টলেকে অফিসপাড়ার মহিলাদের কাছে স্যানিটারি ন্যাপকিন সহজলভ্য করেছে মহিলা কমিশন। কমিশনের সদর দফতর জল সম্পদ ভবনে ভেন্ডিং যন্ত্র বসানো হয়েছে। এ বার সেই সুবিধা মিলবে দমদম স্টেশন চত্বরেও। এক দিকে মেট্রো যাত্রীরা, অন্য দিকে প্রতিদিন দমদম স্টেশনে নামা অসংখ্য মহিলা নিত্যযাত্রী— সকলের ক্ষেত্রেই এই ব্যবস্থা ফলপ্রসূ হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
ব্রাত্যবাবুর কথায়, ‘‘প্রথমে ভাবা হয়েছিল, রাস্তায় যত্রতত্র স্যানিটারি ন্যাপকিন যাতে পড়ে না থাকে তার ব্যবস্থা করা হবে। পরে ভেবে দেখা হয়, স্যানিটারি ন্যাপকিন সহজলভ্য করতে পারলে মহিলাদের সুবিধা হবে। তাই দু’ধরনের যন্ত্র বসাতে উদ্যোগী রাজ্য।’’
দু’টি যন্ত্র মিলে একটি ‘ইউনিট’ করা হচ্ছে। আপাতত ঠিক হয়েছে, মতিঝিল স্কুল ফর গার্লস ছাড়া আরও তিনটি স্কুলে ওই ব্যবস্থা হবে। তবে কোন স্কুল, তা ঠিক হয়নি। দক্ষিণ দমদম পুরসভার চেয়ারম্যান পারিষদ দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ওই পুরসভা দমদম, রাজারহাট-গোপালপুর ও বিধাননগর পুর নিগম— এই তিনটি পুর এলাকায় বিন্যস্ত। ফলে তিন পুর এলাকার স্কুলেই ভেন্ডিং যন্ত্র বসানোর কথা ভাবা হচ্ছে।
মহিলা কমিশন জানাচ্ছে, জল সম্পদ ভবনে ওই যন্ত্র বসানোয় সুবিধা পাচ্ছেন বিকাশ ভবন, পূর্ত ভবন, উন্নয়ন ভবনের মহিলা কর্মীরাও। কমিশনের চেয়ারপার্সন সুনন্দা মুখোপাধ্যায়ের কথায়, ‘‘আমরা ভেন্ডিং যন্ত্র বসিয়েছি। ব্যবহৃত ন্যাপকিন নষ্ট করার যন্ত্রটিও বসানো হবে। সরকারের উচিত, এ সব ব্যাপারে আরও বেশি উদ্যোগী হওয়া।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy