দিনভর উপবাসের পরে ইফতারের আসরে স্বাদে-গন্ধে ভারী এই পদটি আলাদা মাত্রা আনে। কিন্তু এর রান্না ঝকমারি ব্যাপার। অন্তত দশ-বারো রকম পদ্ধতি আছে। কেউ মাংস আর দানাশস্য (ডাল-চাল-গম) একসঙ্গে ঢিমে আঁচে বানায়, কেউ আলাদা রেঁধে পরে দু’টোকে একসঙ্গে ফোটায়। ৮-৯ ঘণ্টা ধরে রান্নাটি করতে পারলে ভাল। আজকের দিনে সময়ের অভাব ঢাকছে প্রেশার কুকার।
প্রথম ধাপ
উপকরণ:
পাঁঠার মাংস: এক কেজি
টক দই: অাধ কাপ
আদা বাটা: এক টেবিল চামচ
রসুন বাটা: দুই চা চামচ
হলুদ গুঁড়ো: এক চা চামচ
লঙ্কা গুঁড়ো: এক চা চামচ
ধনে গুঁড়ো: আধ চা চামচ
জিরে গুঁড়ো: দুই চা চামচ
গরম মশলার গুঁড়ো: এক চা চামচ
তেজপাতা: ৪টি
দারচিনি: চার টুকরো
লবঙ্গ: ৪টি
পেঁয়াজ কুচি: আধ কাপ
পেঁয়াজ বাটা: অাধ কাপ
নুন-মিষ্টি: স্বাদমতো
সর্ষের তেল: এক কাপ
পদ্ধতি: মাংস ভাল করে ধুয়ে টক দই, আদা-রসুন-পেঁয়াজ বাটা, হলুদ-লঙ্কা-ধনে-জিরে ও গরম মশলার গুঁড়ো মাখিয়ে ম্যারিনেট করুন। এবার কড়ায় তেল দিয়ে তেজপাতা, দারচিনি, লবঙ্গ ফোড়ন দিন। ফাটতে শুরু করলে পেঁয়াজ কুচি দিন। বাদামি রং ধরলে ম্যারিনেট মাংস মশলা-সহ ঢেলে ভাল করে কষুন। তারপর প্রেশার কুকারে সিদ্ধ করে নিন এমন ভাবে, যাতে হাড় ছেড়ে আসে। ঠান্ডা হলে ঢাকনা খুলে হাড়গুলো কাঁটা চামচ দিয়ে তুলে নিন।
দ্বিতীয় ধাপ
উপকরণ:
পাঁচমিশালি ডাল: দু’কাপ
আধ ভাঙা গম: আধ কাপ
পোলাও চাল: আধ কাপ
আদা কুচি: এক টেবিল চামচ
রসুন কুচি: এক টেবিল চামচ
পেঁয়াজ কুচি: এক টেবিল চামচ
কাঁচা লঙ্কা: সাত-আটটা
হলুদ গুঁড়ো: এক চা চামচ
নুন-মিষ্টি: স্বাদমতো
তেজপাতা: ২টি
পদ্ধতি: গম শুকনো কড়ায় একটু নেড়ে নিয়ে ভিজিয়ে রেখে দেবেন তিন-চার ঘণ্টা আগে। চাল-ডাল-গম-সহ সমস্ত মশলা প্রেশার কুকারে তুলে ভাল ভাবে সিদ্ধ করতে হবে। কুকারের ঢাকনা খুলে গেলে ডাল-কাঁটা দিয়ে ভাল করে ঘেঁটে দিতে হবে। এতে রান্না করা মাংস মিশিয়ে আঁচে বসিয়ে একসঙ্গে ফুটতে দিন আরও কিছুক্ষণ। মিলেমিশে দু’টো পদ একাকার হয়ে যায় যেন।
শেষ ধাপ:
পেঁয়াজ কুচি: আধ কাপ
রসুন কুচি: এক চা চামচ
শুকনো লঙ্কা: ৪-৬টি
তেল: সামান্য
পদ্ধতি: আর একটা পাত্রে তেল গরম করে রসুন কুচি-পেঁয়াজ কুচি আর লঙ্কা ভেজে ছড়িয়ে দিন ফুটন্ত হালিমের উপরে। আঁচ থেকে নামিয়ে উপরে দিন লেবুর রস। ধনে পাতা, আদা কুচি সাজিয়ে পরিবেশন করুন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy