প্রতীকী ছবি।
কাচের সিলিং তা হলে এখনও আছে এ দেশে। যেখানে গত ৬৬ বছর ধরে দেশের সব থেকে সম্মাননীয় এবং ক্ষমতাসীন (হোক না তা শুধুই খাতায়-কলমে) পদটি এক জন মহিলার দখলে, যে দেশে দু’জন প্রধানমন্ত্রী মহিলা, সেখানেই কি না মেয়েদের এমন দশা!
সাম্প্রতিক সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, ব্রিটেনে মোটা মাইনের চাকুরিজীবীদের মধ্যে চার ভাগ পুরুষ, এক ভাগ মহিলা। ২০১৫-১৬ আর্থিক বর্ষে এক লক্ষ পাউন্ডের বেশি মাইনে পেয়েছেন ৬ লক্ষ ৮১ হাজার পুরুষ। কিন্তু এই মাইনেতে চাকুরিরতার সংখ্যা মাত্র ১ লক্ষ ৭৯ হাজার। আরও বেশি মাইনে-বন্ধনীতে গেলে ছবিটা আরও শোচনীয়। ১০ লক্ষ পাউন্ডেরও বেশি মাইনে পেয়েছেন যে ১৯ হাজার ব্রিটিশ, তাঁদের মধ্যে মাত্র দু’হাজার মহিলা। বাকি ১৭ হাজারই পুরুষ।
গত সপ্তাহে প্রকাশিত এই সরকারি পরিসংখ্যানে লিঙ্গ বৈষম্যের আর একটি দিকও উঠে এসেছে। করদাতাদের মধ্যে মাঝারি আয় যাঁদের, তাঁদের মধ্যে পুরুষদের আয় মহিলাদের আয়ের থেকে বেশ কিছুটা বেশি। যাঁরা পার্ট টাইম বা খুব কম মাইনের কাজ করেন, তাঁদের এই সমীক্ষায় রাখাই হয়নি। গবেষকদের মতে, সেই শ্রেণিতে লিঙ্গ বৈষম্য আরও অনেক প্রকট।
বছরের এই সময়েই দেশের প্রতিটি বড় সংস্থাকে তাদের গত আর্থিক বর্ষের রিপোর্ট প্রকাশ করতে হয়। সেই রিপোর্টে কোন কর্মী কত মাইনে পান, তা-ও উল্লেখ করতে হয়। ডেলয়েটের রিপোর্ট বলছে, এই সংস্থায় মহিলা কর্মীরা পুরুষ কর্মীদের থেকে ৪৩ শতাংশ কম মাইনে পান।
ক্যাবিনেটে সরকারি সমীক্ষা পেশ হওয়ার পরে মহিলা চাকুরিজীবীদের এই শোচনীয় পরিস্থিতি সম্বন্ধে আশঙ্কা প্রকাশ করেন দুই টোরি মন্ত্রী— নিকি মর্গ্যান এবং জাস্টিন গ্রিনিং। মর্গ্যানের কথায়, ‘‘এই ধরনের লিঙ্গ বৈষম্য ঘোচাতে অদূর ভবিষ্যতে আমাদের হয়তো সংস্থাগুলিকে কঠোর নির্দেশিকা পালন করতে বলতে হবে। যা না করলে তাদের উপর নিষেধাজ্ঞাও চাপাতে হতে পারে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy